• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৩:৩১

বায়ুদূষণ ছাড়াও ফুসফুসের সমস্যা বাড়তে পারে

পথরেখা অনলাইন : যন্ত্রনির্ভর জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে মানুষ। যা থেকে শহরাঞ্চলে বাড়ছে দূষণের মাত্রা। এ ছাড়াও বাতাসে ভাসমান বিভিন্ন ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া এবং ধূলিকণার আক্রমণে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নাক দিয়ে অক্সিজেন নেওয়ার সময় শ্বাস-প্রশ্বাসের মধ্যে দিয়ে অশুদ্ধ যাবতীয় কিছু সরাসরি ফুসফুসে পৌঁছে যায়। তার পর তা মিশে যায় রক্তের সঙ্গে। সেখান থেকে নানা রকম সমস্যার সূত্রপাত। সঙ্গে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা তো আছেই। যার প্রভাবে অ্যাজ়মা, সিওপিডি-র মতো রোগের বাড়বাড়ন্ত হয়। কারও কারও ক্ষেত্রে তা ফুসফুসের ক্যানসারের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে পরিবেশবিদ এবং চিকিৎসকেরা বলছেন, বায়ুদূষণ ছাড়াও ফুসফুসের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে আরও তিনটি কারণ-
 
১) ধূমপান
ধূমপান সংক্রান্ত সমস্যা বেড়ে যাওয়ার জন্য দূষণ এবং ধূলিকণার যদি ৬০ শতাংশ দায় থাকে, তা হলে ৪০ শতাংশ দায় কিন্তু ধূমপানের। এই আবহাওয়ায় ফুসফুসের জটিল রোগ বেড়ে যাওয়ার জন্যও দায়ী সেই ধূমপান।বহু দিন ধরে সিপিওডি-তে আক্রান্ত,  চিকিৎসকেরা ধূমপান ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে সিগারেট থেকে শুধু প্রত্যক্ষ ধূমপায়ীরা নন, আশপাশের পরোক্ষ ধূমপায়ীরাও কিন্তু ফুসফুসের সমস্যায় আক্রান্ত হন।
 
২) জৈব, জীবাশ্ম জ্বালানি
বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে এখনও জ্বালানি হিসেবে কাঠকয়লার ব্যবহার রয়েছে। মহিলাদের শ্বাসনালি, ফুসফুসের সমস্যা বা ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ হল এই জ্বালানি থেকে নির্গত ধোঁয়া। এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এলপিজি ব্যবহারের উপর জোর দেন চিকিৎসকেরা। এ ছাড়াও খোলামেলা জায়গায় রান্না না করতে বা খুব বেশি সময় আগুনের ধারে না থাকতে বলছেন তাঁরা।
 
৩) র‌্যাডন গ্যাস
প্রকৃতিই এই গ্যাসের উৎস। পাহাড়, মাটি এবং জলের মধ্যে বায়বীয় অবস্থায় থাকা এই র‌্যাডন গ্যাস বর্ণ, গন্ধহীন। সাধারণত বাড়ির দেওয়ালে থাকা ছিদ্র, ফাটল দিয়ে এই গ্যাস প্রবেশ করে দীর্ঘ দিন পর্যন্ত সেখানে আটকে থাকতে পারে। বহু বছর ধরে এমন বাড়িতে বসবাস করার ফলে শরীরে র‌্যাডন গ্যাসের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই র‌্যাডন গ্যাসও কিন্তু ফুসফুসের জটিলতা বাড়িয়ে তোলার অন্যতম একটি কারণ।
পথরেখা/আআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।