• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০০:৫৭

জাতীয় দলের বিকল্প ছায়া দল তৈরি

পথরেখা অনলাইন : জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের সবসময়ই নজরদাড়িতে রাখা হয়। তারা কোথায় গেলেন আর নিয়মিত ফিটনেসের মধ্যে আছেন কিনা সেটা তদারকি করা হয়ে থাকে। অনেক দেশেই ছায়া দল হিসেবেও তৈরি করে রাখা হয়। বাংলাদেশও ওয়ানডে বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে তেমনটি করছে। জাতীয় দলের আশে পাশে থাকা ক্রিকেটাররাই একসাথে অনুশীলন করে চলেছেন। মিরপুর শেরেবাংলায় একদিকে চলছে এশিয়া কাপের দলে থাকা ক্রিকেটারদের অনুশীলন, অন্যদিকে রিজার্ভ টিম ঠিক রাখতে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে নিয়ে আলাদাভাবে কাজ করছেন বিসিবির কোচ সোহেল ইসলাম। হাতুরাসিংহের নির্দেশে চলমান এই অনুশীলনে ক্রিকেটারদের মধ্যে আছেন সাইফ হাসান, তাইজুল ইসলাম, সৌম্য সরকার, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত প্রমুখ। মূল দলের কেউ ইনজুরিতে পড়লে বা অন্য কোনো কারণে জরুরি প্রয়োজন হলে যাতে রিজার্ভ দল থেকে কাউকে নেওয়া যায় সেই লক্ষ্যেই এই অনুশীলন। মিরপুর শেরেবাংলায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাইফ হাসান জানালেন, ঠিক কীভাবে তাদের অনুশীলন করানো হচ্ছে।
 
অনুর্ধ্ব-১৯ দলের সাবেক এই অধিনায়কের ভাষায়, ‘আমার কাছে মনে হয়, এটা ব্যাকআপ পরিকল্পনা। আমরা স্ট্যান্ডবাই তালিকায় যারা আছি এবং যারা বিশ্বকাপের পরিকল্পনায় আছে, তাদের জন্য এই আলাদা অনুশীলন। যেন পরবর্তীতে সুযোগ পেলে সবাই প্রস্তুত থাকে। অনুশীলনের ইনটেনসিটিতে যেন জাতীয় দলের সঙ্গে মিল থাকে।  আর যার যার যে ঘাটতি আছে, সেগুলো উন্নতি করা। আমি যে কয়েকদিন দলের সঙ্গে অনুশীলনে ছিলাম, হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে কথা হয়েছে, অনুশীলনের ইনটেনসিটি যেন বেশি থাকে, সেই বার্তাই ছিল।’ এশিয়া কাপের উদ্দেশে ২৬ আগস্ট দেশ ছাড়ার কথা বাংলাদেশ দলের। এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজ শেষে যেতে হবে বিশ্বকাপে। তাই টাইগারদের ব্যস্ততা তাই এখন চরমে। টানা ম্যাচ থাকায় শারিরীক ধকলের ব্যাপার তো আছেই, সেই সঙ্গে আছে চোটে পড়ার আশংকা। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলোই রিজার্ভ ক্রিকেটারদের জন্য জাতীয় দলের দূয়ার খুলে দিতে পারে।
 
সাইফ আরও বলেন, ‘আমাদের জাতীয় দলের স্কোয়াডে ক্রিকেটাররা যারা আছে বিশ্বকাপ খেলেছে, এরকম বড় টুর্নামেন্ট খেলেছে। সবাই অভ্যস্ত। সবাই ভালোভাবে নিজের যত্ন নিতে পারবে এবং সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।’ বিশ্বকাপের বাকি দেড়মাস। মাঝে এশিয়া কাপ থাকলেও বিশ্বকাপের জন্য এখন থেকেই নিজেদের গুছিয়ে নিতে শুরু করেছে বাংলাদেশের ক্রিকেট দল। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এবার ভারত যাবার জন্য ভিসার আবেদন করেছে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। খুব সাধারণ এই প্রক্রিয়াও অবশ্য এখন আলোচনার বিষয়। আর এর পেছনেও আছে বড় কারণ। ভিসার প্রক্রিয়া এবার একটু বাড়তি বিশেষ নজর কাড়ল জাতীয় দলের রাডারে থাকা কয়েকজন ক্রিকেটারের কারণে। বিসিবির সূত্র জানিয়েছে, বিশ্বকাপের জন্য ২৫ জন ক্রিকেটারের ভিসা করিয়ে রাখছে তারা। এশিয়া কাপের দলে থাকা ১৭ জন তো আছেনই। সঙ্গে অপেক্ষমাণ তালিকায় আছেন আরও ৮ ক্রিকেটার। আর এই ৮ ক্রিকেটারের তালিকায় আছেন সৌম্য সরকারও।
 
কিন্তু ২৫ জনের  মধ্যে নেই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সবার আগে সোমবার ভিসা প্রক্রিয়া করতে যান জাতীয় দলের কোচ হাথুরুসিংহে। এরপর বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুসসহ তাসকিন আহমেদ, মুশফিকুর রহিম, তানজিদ হাসান তামিম, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, নাসুম আহমেদ, শেখ মেহেদী হাসান, সৌম্য সরকার এবং বাকি ক্রিকেটাররা গেছেন। জানা গেছে, এদিন সবাই ভিসা করতে গেলেও পারিবারিক কারণে ছিলেন না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের মায়ের অসুস্থতাই তার না আসার কারণ বলে জানা গিয়েছে। অবশ্য তার বিকল্প হিসেবে ভাবতে থাকা শেখ মাহেদি কিংবা শামীম হোসেন পাটোয়ারী সেরেছেন ভিসা আবেদনের কাজ। সৌম্য ছাড়াও, এশিয়া কাপের স্কোয়াডে না থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে ভিসা আবেদন সম্পন্ন করেছেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ, রিশাদ হোসেন ও জাকির হাসান। এরপর রিশাদ, সৌম্য, জাকিরদের এমন উপস্থিতি থেকে ধারণা করা হচ্ছে, বিশ্বকাপের মূল স্কোয়াডে না থাকলেও পরিকল্পনার অংশ হিসেবে থাকছেন তারা। ব্যাকাপ ক্রিকেটার কিংবা ৮ জনের বিশেষ ক্যাম্পে থাকতে পারেন এসব ক্রিকেটার। এদিন ভারতের ভিসার কাজে অনুপস্থিত ছিলেন আরও একজন। তিনি জাতীয় দলের ওপেনার এবং সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
 
অবশ্য বিসিবি সূত্রে জানা যায়, আগেই তামিমের ভিসা থাকায় তার আর আসার প্রয়োজন হয়নি। তবে প্রথম দিনের বিশেষ ক্যাম্পে ছিলেন না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। যদিও বুধবার তিনি অনুশীলনে ফিরেছেন। আসন্ন এশিয়া কাপের দল ঘোষণার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) পরিকল্পনা করেছে বিশেষ ক্যাম্প করে প্রস্তুত করা হবে আট খেলোয়াড়কে। যাতে মূল দলের কেউ ইনজুরিতে পড়লে কিংবা ছিটকে গেলে সেই জায়গায় পরিবর্তন করা যায় খেলোয়াড়। শোনা যাচ্ছিল এই ক্যাম্পে থাকবেন জুলাই মাসের প্রাথমিক ক্যাম্পে অনুশীলন করা ৩২ খেলোয়াড় থেকে বাদ পড়া কয়েক জন। সেই হিসেবে মার্চ মাস থেকে দলের বাহিরে থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকেও এই ক্যাম্পে রাখার কথা ছিল। তবে প্রথম দিনের অনুশীলনে দেখা যায়নি এই অলরাউন্ডারকে। মিরপুরে চলমান এশিয়া কাপের মূল দলের অনুশীলন শেষ হতেই বিশেষ ক্যাম্পের অনুশীলন শুরু হয়। এখানে টাইগারদের সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, জাকির হাসান, সাইফ হাসান, তাইজুল ইসলাম, মোসাদ্দেক হোসেন, তানজীম হাসান সাকিব ও খালেদ আহমেদসহ দেখা গেল অনেককে। তিনদিন পর এসে ক্যাম্পে যোগদান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাকেও যে বিশ্বকাপের সম্ভাব্যদের তালিকায় রাখা হয়েছে, বাদ দেওয়া হয়নি সেটা একরকম প্রমাণিত হয়েছে।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।