• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২৩:২৭

শিশুর আয়রন ও হিমোগ্লোবিন বারাতে

পথরেখা অনলাইন : জ্বর-পরবর্তী যে সমস্যাগুলো সাধারণত হয়ে থাকে, তার মধ্যে আছে কম খাবার খাওয়া, অরুচি, বমি বমি ভাবসহ আরও কয়েকটি বিষয়। ফলে আপনার শিশুর পুষ্টির ঘাটতি বা স্বল্পতার কারণে রক্তাল্পতা দেখা দিয়েছে। এই সমস্যার সমাধানে যেভাবে আপনার শিশুর যত্ন নিতে হবে—
 
শিশুকে প্রতিদিন আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে হবে। 
প্রতিদিন আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে হবে। যেমন মাছ (শিং, মাগুর, টাকি, ট্যাংরা, শোল ইত্যাদি), প্রতিদিন অন্তত ১টি ডিম, মুরগির স্যুপ (অথবা শিশু যেভাবে মুরগি খেতে চায়), বিচি-জাতীয় খাবার (শিমের  বিচি, কাঁঠালের বিচি, সয়াবিন), শুকনা যেকোনো বিচি সবজি, মাছ বা মুরগির সঙ্গে রান্না করে খাওয়াতে পারেন। 
 
খাওয়াতে হবে শাক–সবজি
শিশুরা সাধারণত শাকসবজি কম পছন্দ করে। সে ক্ষেত্রে লালশাক, সবুজ বা পাঁচমিশালি শাক, সবজির চপ বা পাকুড়া, বিশেষ করে কাঁচকলা, বিটরুট, গাজর, টমেটো ব্যবহার করে বিভিন্নভাবে বাসার তৈরি খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। মনে রাখবেন, আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া সত্ত্বেও হিমোগ্লোবিন তৈরির জন্য প্রয়োজন ভিটামিন সি। তাই খাবারের সঙ্গে লেবু রাখবেন। খাওয়ার পরপরই ফলের জুস দিতে পারেন। কমলা, জাম্বুরা, খেজুর, সফেদা, ড্রাগন ফল, লাল আপেল, আমলকী, আনার ইত্যাদি ফল জুস করে খাওয়াতে পারেন। অন্যদিকে শিশুর অরুচির বিষয়টি খেয়ালে রেখে অল্প অল্প করে ধীরে বারবার খাওয়াতে হবে। যাতে সারা দিনের প্রয়োজন অনুযায়ী পুষ্টিটা সে পেতে পারে। জোর করে বা একবারে বেশি খাওয়ালে হজমে সমস্যা হতে পারে।  আর যেসব খাবার অরুচি তৈরি করে এবং আয়রন শোষণে বাধা দেয়, সেগুলো বাদ রাখার চেষ্টা করুন। এ ধরনের খাবারের মধ্যে আছে কোমল পানীয়, কার্বোনেটেড জুস, জাংক ফুড, চা-জাতীয় খাবার ইত্যাদি।  
 
এরপরও রক্তে হিমোগ্লোবিন, আয়রন, ফেরিটিনের পরিমাণের ওপর নির্ভর করে চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ সেবন করান। একজন পুষ্টিবিদের সরাসরি পরামর্শ নিয়ে আরও সঠিকভাবে শিশুর চাহিদা অনুযায়ী খাবারের একটা চার্ট করে নিতে পারেন।
পথরেখা/অআ
 
 
 
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।