পথরেখা অনলাইন : জ্বর-পরবর্তী যে সমস্যাগুলো সাধারণত হয়ে থাকে, তার মধ্যে আছে কম খাবার খাওয়া, অরুচি, বমি বমি ভাবসহ আরও কয়েকটি বিষয়। ফলে আপনার শিশুর পুষ্টির ঘাটতি বা স্বল্পতার কারণে রক্তাল্পতা দেখা দিয়েছে। এই সমস্যার সমাধানে যেভাবে আপনার শিশুর যত্ন নিতে হবে—
শিশুকে প্রতিদিন আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে হবে।
প্রতিদিন আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে হবে। যেমন মাছ (শিং, মাগুর, টাকি, ট্যাংরা, শোল ইত্যাদি), প্রতিদিন অন্তত ১টি ডিম, মুরগির স্যুপ (অথবা শিশু যেভাবে মুরগি খেতে চায়), বিচি-জাতীয় খাবার (শিমের বিচি, কাঁঠালের বিচি, সয়াবিন), শুকনা যেকোনো বিচি সবজি, মাছ বা মুরগির সঙ্গে রান্না করে খাওয়াতে পারেন।
খাওয়াতে হবে শাক–সবজি
শিশুরা সাধারণত শাকসবজি কম পছন্দ করে। সে ক্ষেত্রে লালশাক, সবুজ বা পাঁচমিশালি শাক, সবজির চপ বা পাকুড়া, বিশেষ করে কাঁচকলা, বিটরুট, গাজর, টমেটো ব্যবহার করে বিভিন্নভাবে বাসার তৈরি খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। মনে রাখবেন, আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া সত্ত্বেও হিমোগ্লোবিন তৈরির জন্য প্রয়োজন ভিটামিন সি। তাই খাবারের সঙ্গে লেবু রাখবেন। খাওয়ার পরপরই ফলের জুস দিতে পারেন। কমলা, জাম্বুরা, খেজুর, সফেদা, ড্রাগন ফল, লাল আপেল, আমলকী, আনার ইত্যাদি ফল জুস করে খাওয়াতে পারেন। অন্যদিকে শিশুর অরুচির বিষয়টি খেয়ালে রেখে অল্প অল্প করে ধীরে বারবার খাওয়াতে হবে। যাতে সারা দিনের প্রয়োজন অনুযায়ী পুষ্টিটা সে পেতে পারে। জোর করে বা একবারে বেশি খাওয়ালে হজমে সমস্যা হতে পারে। আর যেসব খাবার অরুচি তৈরি করে এবং আয়রন শোষণে বাধা দেয়, সেগুলো বাদ রাখার চেষ্টা করুন। এ ধরনের খাবারের মধ্যে আছে কোমল পানীয়, কার্বোনেটেড জুস, জাংক ফুড, চা-জাতীয় খাবার ইত্যাদি।
এরপরও রক্তে হিমোগ্লোবিন, আয়রন, ফেরিটিনের পরিমাণের ওপর নির্ভর করে চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ সেবন করান। একজন পুষ্টিবিদের সরাসরি পরামর্শ নিয়ে আরও সঠিকভাবে শিশুর চাহিদা অনুযায়ী খাবারের একটা চার্ট করে নিতে পারেন।
পথরেখা/অআ