• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২৩:২২

এ সময়ে শিশুর জ্বর

পথরেখা অনলাইন : মৌসুমি  জ্বর নানা ধরনের ভাইরাসের কারণে হতে পারে। যেমন করোনাভাইরাস, ডেঙ্গু, রাইনো ভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, রেসপিরেটরি সিনসাইটিয়াল ভাইরাস ইত্যাদি। সব ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ এক নয়। ভাইরাস জ্বরে শিশুদের সাধারণত সর্দি–কাশি, গলা, মাথা ও শরীর ব্যথা হয়। অনেক সময় পাতলা পায়খানা ও বমি হতে পারে। ডেঙ্গু জ্বরে ১০১ থেকে ১০৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকতে পারে। সঙ্গে প্রচণ্ড মাথাব্যথা, বিশেষ করে মাথার পেছনে ও চোখের কোটরে প্রচণ্ড ব্যথা। মেরুদণ্ডেও প্রচণ্ড ব্যথা করে। জ্বর একটানা থাকতে পারে, আবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ার পর আবার জ্বর আসতে পারে। চার দিন পর হঠাৎ করে ছেড়ে দিতে পারে জ্বর।
 
কখন জটিলতা
জ্বর ছেড়ে দেওয়ার পর ৪৮ থেকে ৯৬ ঘণ্টা ক্রিটিক্যাল পিরিয়ড বা খারাপ সময় শিশুর জন্য। এই জ্বরবিহীন সময়ে শরীরে লাল র‍্যাশ উঠতে পারে, চুলকানি হতে পারে, যা অবশ্য তিন দিনের বেশি থাকে না। ডেঙ্গুতে হঠাৎ করে রক্তচাপ কমে গিয়ে জটিল (ক্রিটিক্যাল) পর্যায়ে চলে যেতে পারে। তখন ক্রিটিক্যাল কেয়ার সাপোর্ট প্রয়োজন হয়।সাধারণ সর্দি–জ্বর শিশুদের তেমন কোনো ঝুঁকির মধ্যে ফেলে না। তবে কখনো কখনো নিউমোনিয়ার মতো জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
 
কখন হাসপাতালে যাবেন
জ্বর যদি তিন দিনের বেশি স্থায়ী হয় এবং এর তীব্রতা বাড়তে থাকে। প্রচণ্ড কাশি ও কাশির সঙ্গে যদি বুক দেবে যায়, শ্বাসের গতি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়। যেমন দুই মাসের কম বয়সী শিশুর শ্বাসের গতি মিনিটে ৬০ বা তার বেশি; দুই মাস থেকে এক বছরের কম বয়সী শিশুদের ৫০ বা তার বেশি এবং এক থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত ৪০ অথবা তার বেশি হলে দেরি না করে বাচ্চাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।
 
সাধারণ সর্দি–জ্বরে করণীয়
সাধারণ সর্দি–জ্বর হলে শিশুকে বিশ্রামে রাখতে হবে। প্যারাসিটামল, অ্যান্টিহিস্টামিন–জাতীয় ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শমতো খাওয়াতে হবে।কুসুম গরম পানি দিয়ে গা মুছে দিতে হবে। প্রচুর তরল ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে, সঙ্গে বুকের দুধও। কাশির জন্য কুসুম গরম লেবুর শরবত ও বড় বাচ্চা হলে মধু দিয়ে লেবু চা দিতে হবে।মনে রাখতে হবে শিশুদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য দরকার ব্যায়াম, খেলাধুলা। সঙ্গে পুষ্টিকর খাবার ও প্রচুর পরিমাণে পানি।এখন যেহেতু ডেঙ্গুর সময়, সে জন্য জ্বর হলে অবহেলা করা উচিত নয়। দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।পথরেখা /অআ
 
 
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।