• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২৩:৩০

কোন আপেল বেশি ভালো লাল নাকি সবুজ

পথরেখা অনলাইন : আপেলে রয়েছে উচ্চ মানের ফাইবার, সহজে হজম হওয়ার ক্ষমতা, প্রচুর অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট। মূলত পিগমেন্টের কারণে আপেলের রং ভিন্ন হয়। অ্যান্থোসায়ানিন লাল রঙের জন্য দায়ী। সবুজ আপেলে থাকে ক্লোরোফিল নামক পিগমেন্ট। লাল আপেলের খোসা বেশ পাতলা আর কিছুটা মিষ্টি ও রসাল হয়। সবখানেই এই আপেল পাওয়া যায়।সবুজ আপেল ও লাল আপেলে একই রকম পুষ্টি রয়েছে। তবে সবুজ আপেল কিছু ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর। সবুজ আপেলে কম চিনি ও কার্বোহাইড্রেট এবং বেশি ফাইবার, প্রোটিন, পটাশিয়াম, আয়রন ও ভিটামিন কে থাকে। পুষ্টির একমাত্র প্রধান পার্থক্য হচ্ছে ভিটামিন এ, যা লাল আপেলের তুলনায় সবুজ আপেলে প্রায় দ্বিগুণ থাকে। আবার লাল আপেলে সবুজ আপেলের তুলনায় বেশি পরিমাণে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট থাকে।
 
কোনটি কার জন্য উপকারী
লাল আপেলে কার্বোহাইড্রেট, সুগার বেশি ও ফাইবার কম। সবুজ আপেলে বেশি ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট ও সুগার কম। এটি লো জিআই গ্রুপের ফল ও ক্যালরি তুলনামূলক কম। সুতরাং যাঁরা ওজন কমাতে চান, ডায়াবেটিস আছে, তাঁদের জন্য সবুজ আপেল উপকারী।
 
আবার সবুজ আপেলে ভিটামিন এ লাল আপেলের প্রায় দ্বিগুণ। এটি দৃষ্টিশক্তির উন্নতি, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি, ব্রণের ঝুঁকি কমাতে এবং হাড়ের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।সবুজ আপেল ও লাল আপেলে একই রকম পুষ্টি রয়েছে। তবে সবুজ আপেল কিছু ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর। লাল আপেল অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা আমাদের কোষকে অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। পেকটিন, কোয়ারেকটিন ও ফ্ল্যাভোনয়েড—এসব অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সবুজ আপেলে থাকলেও লাল আপেলে পরিমাণটা বেশি। অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার শরীরের ফ্রি র‍্যাডিক্যাল কমিয়ে দেহ থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। এতে হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কোষের স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যায় বলে ত্বক থাকে তারুণ্যোজ্জ্বল।
 
মনে রাখা ভালো
দুই বছরের আগে বাচ্চাকে আপেল স্লাইস না দেওয়াই ভালো। শিশুর বয়স ৮–৯ মাস হলে আপেল পিউরি করে খাওয়ানো ভালো। আপেল পিউরি ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানার সময় থেরাপিউটিক ডায়েট হিসেবেও কাজ করে।
 
 কোষ্ঠকাঠিন্য হলে আপেল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।আপেল কেটে রেখে দিলে তা কিছুক্ষণের মধ্যে বাদামি বর্ণের হয়ে যায়। লেবুপানিতে বা আনারসের জুস দিয়ে মাখিয়ে ঢেকে রেখে ব্রাউনিং রিঅ্যাকশন প্রতিরোধ করা যায়।
পথরেখা/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।