• শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১৩ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৬:৫২

খাবারে শিশুদের অরুচি কেন

পথরেখা অনলাইন : বেশির ভাগ মায়েরই সাধারণ একটাই অভিযোগ, বাচ্চা খেতে চায় না। এক বেলার খাবার খাওয়াতেই দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা লেগে যায়। এ জন্য মা–বাবা বাচ্চাদের দোকানের প্যাকেটজাত খাবারে অভ্যস্ত করিয়ে ফেলেন। এমন উচ্চ ক্যালরির খাবার খেয়ে বাচ্চা অনেক মুটিয়ে যায়।
 
বাচ্চাদের খাবারে অরুচি কেন, আসুন কিছু কারণ জানার চেষ্টা করি।
 
অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার অভাব
আমরা যে খাবার খাই, সেগুলো থেকে পুষ্টির শোষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া। এগুলোকে প্রোবায়োটিক বলে।প্রোবায়োটিকসমৃদ্ধ খাবার অন্ত্রে এই ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করতে কার্যকরী। টক দই, ঘোল, পান্তাভাত—এগুলোতে প্রোবায়োটিক আছে। এ ছাড়া গাঁজন প্রক্রিয়ায় তৈরি প্রায় সব খাবারই প্রোবায়োটিকের জন্য সহায়ক।
 
জিংকের ঘাটতি
শিশুর শরীরে জিংকের ঘাটতি হলে রুচি কমে যায়। মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, কলিজা ও বাদাম জিংকের ভালো উৎস। শাকসবজি থেকেও জিংক পাওয়া যায়। তবে প্রাণিজ উৎস থেকে জিংক পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। জিংক ক্ষুধামান্দ্য দূর করার পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সাহায্য করে। জিংকের অভাবে নখ সাদা ও ভঙ্গুর, ত্বক খসখসে ও চুল পড়ে যেতে পারে। জিংক পরিপাকতন্ত্রের ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে খাওয়ার রুচি বাড়াতে সাহায্য করে।
 
ভিটামিন বি
শিশুদের অরুচির আরেকটি কারণ হতে পারে ভিটামিন বি-১২–এর ঘাটতি। মাছ, মাংস, ডিম, দুধসহ প্রায় সব রঙিন শাকসবজিতে ভিটামিন বি-১২ পাওয়া যায়। তাই প্রতিদিন খাবারে মিশ্র শাকসবজি রাখতে হবে।
 
লাইসিন অ্যামিনো অ্যাসিড
খাবারের মাধ্যমে যে কয়টি অ্যামিনো অ্যাসিডের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হয়, তার মধ্যে লাইসিন অ্যামিনো অ্যাসিড অন্যতম। লাইসিন ক্যালসিয়ামের শোষণ বৃদ্ধি করে দৈহিক বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। সব ধরনের প্রোটিনজাতীয় খাবারে লাইসিন পাওয়া যায়। এ ছাড়া চালে বেশ লাইসিন পাওয়া যায়। চাল–ডাল দিয়ে খিচুড়ি রান্না খুব কার্যকর।
 
ভিটামিন ‘ডি’
ভিটামিন ‘ডি’–এর ঘাটতি থাকলে শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি খুব ধীর প্রক্রিয়ায় হয়। এতে বাচ্চার খাওয়ার চাহিদা কমে যায়। ভিটামিন ‘ডি’–এর সবচেয়ে সহজলভ্য উৎস সূর্যের আলো। সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন বাচ্চার শরীরে ১৫ মিনিট করে রোদ লাগাতে হবে।
 
ভিটামিন ‘সি’
ভিটামিন ‘সি’–এর অভাবেও ক্ষুধামান্দ্য হতে পারে। তাই বাচ্চাকে প্রতিদিন অন্তত একবার ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সবজি বা ফল খাওয়াতে হবে।
 
কৃমির সংক্রমণ
কৃমির সংক্রমণ বাচ্চাদের খাওয়ার রুচি কমায়। শিশুকে বয়স অনুযায়ী নিয়মিত কৃমির ওষুধ খাওয়াতে হবে। নিয়মিত হাত–পায়ের নখ কেটে দিন। খাওয়ার আগে–পরে এবং বাথরুম ব্যবহারের পরে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করুন। বাসি–পচা ও বাইরের খাবার খাওয়াবেন না।
 
মন্দ অভ্যাস
ছয় মাস বয়সের পর থেকে শিশুদের বাড়ির স্বাভাবিক খাবারে অভ্যস্ত করাতে হয়। একটা নতুন খাবার বাচ্চা তখনই খেতে চাইবে, যখন সেটা তার জিহ্বায় সুস্বাদু মনে হবে। খাবারের স্বাদ বোঝার জন্য জিহ্বায় স্বাদগ্রন্থি জন্মগতভাবে থাকে না। ধীরে ধীরে তৈরি হয়। তাই শুরুতে কোনো খাবার বাচ্চা খেতে না চাইলেও চেষ্টা করে যেতে হবে।
পথরেখা /অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।