• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:৪১

লিটন দাসকে পাচ্ছে বাংলাদেশ তবে...

পথরেখা অনলাইন : এশিয়া কাপ ক্রিকেটের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে বড় ব্যবধানে পরাজয়ের পর সুপার ফোরে খেলা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়ে সেরা চারে খেলার যোগ্যতা অর্জণ করে সাকিব আল হাসানের দল। এখন অপেক্ষা বাকি তিন প্রতিপক্ষের। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ব্যাটে-বলে অসামান্য নৈপুণ্য দেখিয়ে টাইগাররা ম্যাচ জিতেছে ৮৯ রানের বড় ব্যবধানে। এই ম্যাচ জিতে সুপার ফোর নিশ্চিত করে ফেলেছে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন দলটি।
 
এশিয়া কাপের ‘এ’ গ্রুপের অন্য এক ম্যাচ বাকি থাকলেও তাতে চোখ রাখতে হচ্ছে না বাংলাদেশকে। প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং আর দ্বিতীয় ম্যাচের বড় জয়, এই দুয়ের কারণে নেট রানরেটের সুবিধা পাবে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। সমীকরণ যাইই হোক, সুপারফোরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিয়ে তাই আর কোন সংশয় থাকছে না। সুপার ফোরে প্রথম ম্যাচে অবশ্য বড় পরীক্ষা দিতে হবে বাংলাদেশকে। ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর দল পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে হবে টাইগারদের। পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে এক্ষেত্রে। কারণ খেলাটা হবে তাদেরই হোম গ্রাউন্ড লাহোর গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। আফগানদের হারানোর পর তাই এখন পাকিস্তানে অবস্থান করবে বাংলাদেশ।
 
তবে সবচেয়ে সুখবর পেয়েছে সোমবার। সুস্থ হয়ে রাতে পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন, এরই মধ্যে এই উইকেটকিপার ব্যাটারের বাবর আজমের দেশটিতে পৌছার কথা রয়েছে। এশিয়া কাপের হাইব্রিড ফরম্যাট করা হয়েছিল ভারতের আপত্তির কথা মাথায় রেখে। রোহিত শর্মাদের পাকিস্তান না যাওয়ার সুযোগ করে দিতে আগেই নির্ধারিত ছিল গ্রুপ অবস্থান। র‍্যাংকিং বা পয়েন্ট যাইই হোক না কেন, বাংলাদেশ সুপার ফোরে যাবে বি-২ দল হিসেবে। আর শ্রীলঙ্কা বা বাংলাদেশ কোয়ালিফাই না করলে সেক্ষেত্রে যাবে আফগানিস্তান। যেহেতু, বাংলাদেশ এরইমাঝে সুপার ফোর নিশ্চিত করেছে, তাই বি-২ হিসেবে বাংলাদেশের সুপার ফোর খেলা নিশ্চিত। অন্যদিকে গ্রুপ 'এ' থেকে পাকিস্তান খেলবে এ-১ দল হিসেবে। ভারত যাবে এ-২ দল হয়ে। নেপাল যদি অঘটন ঘটিয়েই ফেলে, তবে ভারতের এ-২ স্থানটি দখল করবে তারা। সূচি অনুযায়ী, সুপার ফোরে প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি হচ্ছে এ-১ এবং বি-২। বুধবার ৬ সেপ্টেম্বর গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে হবে সেই ম্যাচ। এ-১ হিসেবে পাকিস্তান এরইমাঝে ফিরে এসেছে নিজ দেশে। আর ম্যাচশেষে বাংলাদেশ থাকছে লাহোরেই।
 
আফগানদের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। যার সুত্র ধরে দুই সেঞ্চুরিয়ার গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের অনার্স বোর্ডে জায়গা পেয়েছেন। রোববার দিনটা যেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য বড় কিছুই ছিল। ২০১৭ সালের পর এবারই প্রথম একই দিনে দুই সেঞ্চুরিয়ান দেখেছে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের বাঁচা-মরার ম্যাচে সেঞ্চুরি পেয়েছেন শান্ত এবং মিরাজ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ৮৯ রানের জয় নিয়ে সুপার ফোরের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলেছে টাইগাররা। যদিও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনো আসেনি। তবে এর আগেই সুঃসংবাদ আরো একটি রয়েছে টাইগার ভক্তদের জন্য। আফগানদের বিপক্ষে এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে পাকিস্তানের লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। আর এই মাঠে জোড়া সেঞ্চুরি করাই ওয়ানডে ক্রিকেটের অর্নাস বোর্ডে নাম উঠেছে শান্ত-মিরাজের। এর আগে ২০০৮ সালে সেঞ্চুরি করে এই বোর্ডে নাম লিখিয়েছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। মূলত এই স্টেডিয়ামে ওয়ানডে ক্রিকেটে কেউ ৫ উইকেট সংগ্রহ করলে বা সেঞ্চুরি করলে তার নাম যুক্ত হয় মাঠের অনার্স বোর্ডে। শান্ত-মিরাজের নাম উঠেছে সেই সুবাদে।
 
এদিকে শাহিন শাহ আফ্রিদিকে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত হচ্ছেন মিরাজরা। আফগান ম্যাচে মেক শিপট ওপেনার হিসেবে খেলা মেহেদী হাসান মিরাজ অবশ্য দেখিয়েছেন ব্যাট হাতে ঝলক। সুযোগ পেলে আবারো খেলতে চান টপ অর্ডারে। একইসঙ্গে সুপার ফোরে পাকিস্তানের পেস আক্রমণ সামলাতেও প্রস্তুত মিরাজ। এ সময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয় পাকিস্তান বোলারদের সামলানো নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে কি না। যেহেতু দলটিতে রয়েছেন শাহিন আফ্রিদি-নাসিম শাহদের মতো গতিময় পেসাররা। মিরাজ বেশ হাস্যোজ্জ্বল ভাবে উত্তর দিয়েছেন, ‘আমি যে কোনো বোলারের মুখোমুখি হতে সব সময়ই প্রস্তুত। আমি কোনো বোলারকে নিয়ে দুশ্চিন্তা করি না। আমি মিডল অর্ডারে ভালো খেলতে চাই। হ্যাঁ, পরের ম্যাচটা আমার জন্য দারুণ সুযোগ। টপ অর্ডারেও খেলতে পারব। টিম ম্যানেজমেন্ট সে সুযোগ দিলে ভালোই হবে।’ মিরাজ-শান্তর পরিচয় কত দিনের? এক যুগ তো হবেই। সেই বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকে এক সঙ্গে খেলছেন এই দুজন। অনূর্ধ্ব-১৯ দলে দুজনই ছিলেন লিডারশিপ গ্রুপে। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের সিঁড়ি পেরিয়ে গত ছয়-সাত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটও তাঁরা এক সঙ্গেই খেলছেন। মিরাজ-শান্তর বন্ধুত্ব, বোঝাপড়া অনেক আগে থেকেই। দুজনের বোঝাপড়ার এ নির্যাসটাই দেখা গেল এদিন। দুজনের ১৯০ বল খেলে যে ১৯৪ রানের এক কাব্যিক জুটি হলো তৃতীয় উইকেটে। লিটন দাসের বদলি হিসেবে শ্রীলঙ্কায় পাঠানো হয় নতুন করে ডাক পাওয়া ক্রিকেটার এনামুল হক বিজয়কে। 
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।