বাংলাদেশ টসে জিতে ব্যাংটি নিয়ে প্রথম চারজন ব্যাটারক্ দশ রানে হারায় ।অভিজ্ঞ সাকিব (৫৩) আর মুশফিক (৬৪) রান করে দলকে ১৯৩ রানের এক সম্মানজনক রান তুলতে বড় ভূমিকা রাখে। এই অভিজ্ঞ দুজনের সাথে যদি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ থাকত তবে আমরা ২৫০/২৭০ রান আশা করতেই পারতাম । এশিয়া কাপের মতন বড় আসরে ওপেনার একজন নিয়েছি যার ডেবু হয়েছে এই আসরে তবুও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বাদ ক্রিকেট এখন এ দেশের প্রানের খেলা; কিছু ক্রিকেট কর্তার হাম্বারা ভাবের জন্য লজ্জাজনকভাবে পরাজিত হতে হবে এটা মেনে নেয়াযায় না। ৩৮.৪ ওভারে অমরা অল আউট। কলম্বোতে শ্রীলংকার আর ভারতের সাথে পরের দুই খেলা।
আমাদের যোগ্যতা আছে ফাইনাল খেলার তবে পারফরম্যান্স মাঠে হলেও তার সৃষ্টি মাঠের বাইরের পরিবেশে তৈরি হয়।উপযুক্ত একাদশ সিলেকসনে অযথা হস্তক্ষেপে কখনই রেজাল্ট আসতে পারে না। পাপন সাহেব সভাপতি হিসাবে অকারন দলের খুটিনাটিতে নজর দিলে খেলোয়াড়রা অস্বস্তিতে থাকবেই। ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াছে পাকিস্তানের তিন রেসার শাহীন আফ্রিদি, হারিস রউফ আর নাসিম শাহ ১৪০ কিলোমিটারের বেশী জোরে বল করেছে। একই কথা আমাদের দ্রুত বোলার টাসকিনের জন্যও। বাবর আযম বিশ্ব ক্রিকেটের নাম্বার ওয়ান ব্যাটার। শুরু থেকেই বাবর আযমের সমীহ তাসকিন আদায় করে ছিল এবং ১৭ রানে তাসকিন তাকে আউট করে। এ সময় বৃষ্টি আর লাহোর থেকে ‘পেটাল পুটলি’ বেধে সবার যেতে হবে কলম্বো। সেখানে ওঁত পেতে আছে বৃষ্টি।
ভারতের ক্রিকেট সচিব যিনি এশিয়া ক্রিকেটের ও বিরাট ক্ষমতাধর তিনি এই এশিয়া কাপের সূচি তৈরি করলেন তাতে চার খেলা পাকিস্তানে আর নয় খেলা কলম্বোতে । কলম্বোতে এখন বৃষ্টির সময়। জয় শাহ তার ইচ্ছামতিতে পাকিস্তানকে ঠকাতে গিয়ে এশিয়া কাপকেই পানিতে চুবাচ্ছেন।
লেখক : সাবেক অধিনায়ক জাতীয় ও সেনাবাহিনী হকিদল এবং জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত
পথরেখা/আসো