• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:০২

বিশ্বকাপে ভোগাবে বাংলাদেশের ব্যাটিং?

পথরেখা অনলাইন : সিনিয়রদের তুলনায় তরুনদের আধিক্য এখন বাংলাদেশ দলে। এক ম্যাচ ভাল হলে পরের কয়েক ম্যাচ খারাপ হচ্ছে। এই যেমন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৯৪ রানের অলআউট হওয়ার পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩৩৪ রান করে বাংলাদেশ। এরপর সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে আবারও ১৯২ রানে অলআউট হয়ে যায় সাকিব আল হাসানের দল। এই তিন ম্যাচ দিয়ে খুব সহজেই অনুমান করা যায় বাংলাদেশের ব্যাটিং গভীরতা কেমন হতে পারে। সে কারণে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যাটিং ভোগাবে, এমনটাই মনে করছেন ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে দলে বেশি তরুন ক্রিকেটার থাকলেও তাদেরকে নিয়ে বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে খেলা বেশ কঠিন। এশিয়া কাপের শুরুতে বড়সড় ধাক্কা খাওয়া বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত দাপট দেখিয়েই সুপার ফোরে উঠেছিল। যেখানে প্রথম পরীক্ষাতেই ব্যর্থ টাইগারদের ব্যাটিং লাইনআপ। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম বাদে সেভাবে কেউই ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ব্যাটিংয়ে এই দশা দেখেছিল বাংলাদেশ। পরবর্তীতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে উদ্ভুত হওয়া আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ যেন আবারও পথ হারিয়েছে। পাকিস্তান এই ম্যাচের আগের দিনই একাদশ ঘোষণা করে দেয়।
 
যার ফলে তখনই জানা গিয়েছিল তাদের বিপক্ষে খেলার চ্যালেঞ্জটা কত বড়! নতুন বলে শাহিন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহর প্রথম স্পেল যেকোনো দলের টপ অর্ডারের জন্য বিশাল হুমকি। এই দুজন উইকেট নিতে ব্যর্থ হলে হারিস রউফ তো আছেনই। বাংলাদেশের বিপক্ষে পেস বোলিংটা শক্তিশালী করতে একাদশে নেওয়া হয় ফাহিম আশরাফকেও। সেই আক্রমণভাগের সামনে বাংলাদেশের শুরুতে ব্যাটিং নেওয়া নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। পাকিস্তান পেস অ্যাটাকের সামনে টাইগার ব্যাটাররা ছিলেন বুধবার রীতিমতো অসহায়। শুরুটা মেক-শিফট ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজকে দিয়েই হয়েছে। আগের ম্যাচের এই সেঞ্চুরিয়ান এদিন সফট ডিসমিসাল হয়ে ফিরেছেন কোনো রান না করেই। জ্বর কাটিয়ে তিনে নামা লিটন দাস ভালো শুরুর আভাস দিয়েও ১৬ রানে বিদায় নেন। অন্যদিকে আরেক ওপেনার নাঈম শেখ এদিনও বেশ সাবলীলভাবে খেলেছেন। তবে পাক পেসারদের সামনে উইকেট বিলিয়ে দেন ব্যক্তিগত ২০ রানের মাথায়। চলমান এশিয়া কাপে ব্যাট হাতে তৃতীয়বারের মতো ব্যর্থ হয়েছেন তরুণ ক্রিকেটার তাওহীদ হৃদয়। পাক পেসার হারিস রউফের বলে তিনি ২ রানে বিদায় নেন। পরের সময়টাতে সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিম বাংলাদেশকে স্বপ্ন দেখান।
 
এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মিলে দলকে বড় পুঁজির দিকেই নিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে দলীয় ১৪৭ রানে ব্যক্তিগত ৫৩ রানে বিদায় নেন সাকিব। এরপর একপ্রান্ত আগলে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন মুশফিক, যার ধারাবাহিকতায় তিনিও অর্ধশতকের দেখা পান। যদিও সেটিকে বেশি দূর নিয়ে যেতে পারেননি মিস্টার ডিফেন্ডেবল, তিনি বিদায় নেন ৬৪ রানে। এদিকে শামীম পাটোয়ারীর আউট হওয়ার ধরন নিয়েও চলছে সমালোচনা। ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব পেয়েও কাজে লাগাতে পারলেন না এই ব্যাটার। অহেতুক মারমুখী মেজাজে দেখাতে গিয়েই বিদায় নেন। পরবর্তীতে আফিফ হোসেন আবারও হতাশ করেছেন, ফিরেছেন মাত্র ১২ রানে। শেষদিকে দলের টেল-এন্ডার ব্যাটারদের উইকেট পড়েছে তাসের ঘরের মতো। ফলে বাংলাদেশ মাত্র ১৯৩ রানেই থামে। তার আগে মুশফিক-আফিফদের আউট হওয়ার ধরনও ছিল বেখেয়ালী! যথেষ্ট ওভার বাকি থাকা সত্ত্বেও অপ্রয়োজনীয় শট খেলেছেন এসব টাইগার ব্যাটার। বাংলাদেশের যখন প্রথম ইনিংস শেষ হয়, তখনও বাকি ছিল ১১.২ ওভার। রীতিমত আরেকটি ব্যাটিং ব্যর্থতার মিছিলেরই প্রদর্শনী হয়েছে। এই দায়টা আসলে কার, সমস্যাটা কোথায়?
 
আগের ম্যাচে ধারাবাহিক হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দিয়েও কেন ফের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিলেন ব্যাটাররা। দ্রুত এমন অবস্থা থেকে ফিরতে না পারলে আসন্ন বিশ্বকাপে ভালো কিছুর স্বপ্ন দেখাটাও কঠিন হয়ে উঠবে টাইগার ক্রিকেটভক্তদের জন্য। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩৩৪ রানের পুঁজি নিয়ে ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। পরে একই মাঠে শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তানের ম্যাচে দু’দলেরই স্কোর ছিল ৩০০ ছুঁই ছুঁই। এমন উইকেটে টসে জিতে ব্যাটিংই নিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু মাত্র ১৯৩ রানে অলআউট হয়ে যায় টাইগাররা। ব্যাটিং-বান্ধব পিচে এটি মামুলি টার্গেটই। স্বাগতিকরা সহজেই পেরিয়ে যায় টার্গেট। এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্বে প্রথম ম্যাচে প্রথম হার দেখলো বাংলাদেশ। লাহোরে ৭ উইকেটে জয় পায় পাকিস্তান। এদিন ‘পুরনো ভূত’ ভর করে বাংলাদেশের ব্যাটারদের ওপর। বাজে শটে উইকেট খোয়ান বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যাটাররা। প্রথম পাওয়ার প্লে’র ১০ ওভারের মধ্যেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। এমন অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে বড় পুঁজি গড়া সহজ নয়। বাস্তবে তা হয়ওনি। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেন, ‘আমরা কিছু অরডিনারি শট খেলেছি এবং শুরুতে কয়েকটি উইকেট হারিয়েছি। এমন ভালো উইকেটে শুরুর ১০ ওভারে চার উইকেট খোয়ানো উচিৎ হয়নি। কিন্তু এটা ঘটে। আমাদের জুটিটা ভালো ছিল (মুশফিুকের সঙ্গে সাকিবের) তবে মনে হয় আরও ৭-৮ ওভার দীর্ঘ হওয়া দরকার ছিল।  এমন দারুণ পিচে এটা ছিল আমাদের খুবই বাজে ব্যাটিং প্রদর্শনী তবে আমাদের পরের ম্যাচের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’
পথরেখা/আসো  
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।