• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:২৩

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের সন্ধানে বাংলাদেশ

পথরেখা অনলাইন : এশিয়া কাপ ক্রিকেটে প্রথম লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। সুপার ফোরে উঠলেও পারফরম্যান্স মন ভরাতে পারেনি। এক আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ই দর্শক-সমর্থকদের মন ভরাতে পারলেও শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে পারফরম্যান্স মোটের প্রত্যাশিত ছিলনা। দুটো ম্যাচেই অলআউট হয়ে গেছে দুইশ রানের নিচে। লংকানদের বিপক্ষে ১৯৪ ও পাকিদের বিপক্ষে মাত্র ১৯৩ রানে অলআউট হয়ে গেছে সাকিব আল হাসানের দল। সুপার ফোরে বাকি রয়েছে দুটি ম্যাচ। শনিবার স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আর সবশেষ ম্যাচে ১৫ সেপ্টেম্বর লড়বে ভারতের বিপক্ষে। ভঙ্গুর দল নিয়ে দাশুন শানাকার দলের বিপক্ষে মাঠে নামবে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের দল। ইনফর্ম নাজমুল হোসেন শান্তর পর দেশে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে আরেক ধারাবাহিক ব্যাটার মুশফিকুর রহিমেরও। এমনিতেই দলের ব্যাটিংয়ের দৈন্যদশা দেখা যাচ্ছে। বিশ্বকাপের আগে যা বড্ড চিন্তায় ফেলে দিচ্ছে। পাকিস্তানের কাছে পরাজয়টাও সম্মানজনক ছিল না কারণ এই গাদ্দাফি স্টেডিয়ামেই আগের ম্যাচে ৩৩৪ রানের বিশাল স্কোর গড়েছিলো টাইগাররা। সেই মাঠেই পরের ম্যাচে মুখ থুবড়ে পেড়েছে টাইগার ব্যাটাররা। সুপার ফোরের হার দিয়েই তাই শুরু করতে হলো। এই রাউন্ডে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে হবে আবার কলম্বোয়।
 
পাকিস্তানের কাছে হারলেও ওই ম্যাচ দিয়েই ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিবের। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘মাস কয়েক আগে আমি যখন সেখানে এলপিএল খেলেছিলাম, দেখেছি, পিচ কিছুটা ধীরগতির, কিছুটা উঁচু-নিচু। সেটা হয়তো আমাদের সাহায্য করবে। আশা করি, আমরা কলম্বোয় ভালো করব।’ পাল্লেকেলেতে এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মোকাবিলা করেছিলো টাইগাররা। ওই ম্যাচেও প্রথমে ব্যাট করে ১৬৪ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিলো লাল সবুজ প্রতিনিধিরা। হেরেছিলো ৫ উইকেটে। সেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই কলম্বোয় ঘুরে দাঁড়ানোর আশা টাইগার অধিনায়কের। বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ দিয়েই শেষ হয়েছে এশিয়া কাপের পাকিস্তান পর্ব। বাকি সব ম্যাচ শ্রীলঙ্কার কলম্বোয়। যেখানে পাকিস্তানের পরের ম্যাচটাই চিরপ্রতিদ্বন্ধী ভারতের বিপক্ষে, ১০ সেপ্টেম্বর। এদিকে ফাইনাল খেলতে যে সমীকরণের সামনে বাংলাদেশ দাড়িয়ে আলোচনা হচ্ছে সে বিষগুলো নিয়ে। ফাইনাল ও সুপার ফোর মিলিয়ে বাকি ছয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে শ্রীলঙ্কার কলম্বোয়। যদিও আগে থেকেই সেখানে বৃষ্টির কারণে ম্যাচ সম্পন্ন হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
 
পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ বড় ব্যবধানে স্বাগতিকদের কাছে হেরেছে। যা তাদের ফাইনাল খেলার পথে বড় বাধা। আবহাওয়া তথ্য বলছে, আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিনই বৃষ্টিতে ভাসতে পারে কলম্বো। আর সেদিনই মাঠে গড়ানোর কথা এশিয়া কাপের ফাইনাল। সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচ লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুপার ফোরের বাকি ম্যাচগুলো বৃষ্টির কারণে না হলে পাকিস্তান এক ম্যাচের জয় দিয়েই ফাইনালে পা রাখবে। কেননা এর সঙ্গে তারা পরিত্যক্ত ম্যাচ থেকেও পাবে একটি করে পয়েন্ট। একইভাবে ম্যাচপ্রতি একটি করে পয়েন্ট পাবে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কা। তবে প্রথম ম্যাচ হারের কারণে সেই দৌড়ে আগেই পিছিয়ে গেছে টাইগাররা। এছাড়া ভারত-পাকিস্তানের হাইভোল্টেজ আরেকটি ম্যাচও ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। বৃষ্টির শঙ্কা ছাপিয়ে ম্যাচ মাঠে গড়ালে নিজেদের দিনে যারা জিতবে তারা ফাইনালে উঠবে।
 
আপাতত পরিসংখ্যান এমনটাই বলছে। কিন্তু ম্যাচ পুরোপুরি না হলে শ্রীলঙ্কা ও ভারতের পয়েন্ট সমান থাকবে। সেক্ষেত্রে তাদের নেট রানরেট বিবেচনায় নেওয়া হতে পারে। সুপার ফোরের পাঁচ ম্যাচও ওই ভেন্যুতেই হওয়ার কথা রয়েছে। ফাইনাল ম্যাচও বৃষ্টিতে পন্ড হয়ে গেলে দুই ফাইনালিস্ট দলের মাঝে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি ভাগাভাগি করা হবে। সুপার ফোরের পরবর্তী দুই ম্যাচে বাংলাদেশ যথাক্রমে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও ভারতের। এশিয়া কাপের সুপার ফোরের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। আর এই ম্যাচ শেষেই দেশে ফিরতে চান মুশফিকুর রহিম। পারিবারিক কারণে টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচ অসমাপ্ত রেখেই টাইগার এই উইকেটকিপার ব্যাটার দেশে ফিরতে চান বলে টিম ম্যানেজমেন্টকে জানিয়েছেন। বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, মুশফিক এবং জান্নাতুল কেফাইয়াত মন্ডি দম্পতির সংসারে আসতে যাচ্ছে নতুন অতিথি। দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের সময় স্ত্রীর পাশে থাকতেই মুশফিক দেশে ফেরার চিন্তা করছেন। ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তার ঢাকায় থাকা প্রয়োজন বলে ইতোমধ্যে টিম ম্যানেজমেন্টকে জানিয়েছেন মুশফিক। সুপার ফোরে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে। মুশফিকের পারিবারিক এই বিষয়টি বাংলাদেশ দলও গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে বলে জানা গেছে। এর আগে ভারতীয় পেসার জসপ্রীত বুমরাহও সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকতে এশিয়া কাপের মাঝপথে ভারতে ফিরে গিয়েছিলেন। এদিকে, মুশফিক ফিরে আসলে তার বিকল্প হিসেবে আর কাউকে শ্রীলঙ্কায় পাঠানো হবে কি না জানা যায়নি।
 
সবকিছুই এখন নির্ভর করছে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শনিবারের ম্যাচের ওপর। এদিকে, ফিল্ডিং কোচ শন ম্যাকডারমটের সহকারী হিসেবে কলম্বোতে টাইগাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ফয়সাল হোসেন। জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ও ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের ফিল্ডিং কোচ ছিলেন তিনি। মূলত সহকারী ফিল্ডিং কোচ হিসেবে বিসিবির সঙ্গে কাজ করবেন বাংলাদেশের সাবেক এই ক্রিকেটার। শুক্রবার বিকেলে অনুশীলন করেন টাইগাররা। জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামবে সফরকারীরা।
পথরেখা/আসো
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।