• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:৩১
নিউজিল্যান্ড সিরিজে বিশ্রামে যাচ্ছেন সিনিয়ররা

সুযোগ পেতে পারেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ

পথরেখা অনলাইন : বিশ্বকাপের আগে দুইভাগে নিউজিল্যান্ড দল বাংলাদেশ সফরে আসবে। ভারতে যাবার আগে খেলবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। বিশ্বকাপ শেষ করে এরপর খেলবে টেস্ট সিরিজ। টানা খেলে ক্লান্ত জাতীয় দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটারকে বিশ্রামে রাখার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সুযোগ পাওয়াটা একরকম নিশ্চিতই বলা যায়। এই সিরিজে ভাল করলে সুযোগ থাকছে বিশ্বকাপ দলে ফেরার।
 
১৭ সেপ্টেম্বর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসবে নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপের আগে এই সিরিজেও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে টাইগার স্কোয়াডে। একইসঙ্গে পেশীর ইনজুরিতে পড়া নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে আরও কয়েকজন ক্রিকেটার বিশ্রামে থাকবেন। আলোচনায় রয়েছেন মুশফিকুর রহিম এবং সাকিব আল হাসানের বিশ্রামের বিষয়টিও! এদিকে শান্তর জায়গায় জাকির হাসানকে দেখা যেতে পারে আসন্ন সিরিজটিতে। এছাড়া ইনজুরি কাটিয়ে তামিম ইকবালের এই সিরিজ দিয়ে দলে ফেরারও সম্ভাবনা বেশি। বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদদেরও।
 
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, অনেক ক্রিকেটারের বিশ্রামের কারণে সুযোগ মিলতে পারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের। বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত ১০টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপ থেকে টাইগারদের বিদায় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গেলেও সুপার ফোরের তাদের আরও একটি ম্যাচ রয়েছে। এরপর নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে সিরিজ মিলিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে ধকল কমাতেই তারকা ক্রিকেটারদের এই বিশ্রামের পরিকল্পনা। এশিয়া কাপ শেষে নিউজিল্যান্ড সিরিজে যে টাইগার ক্রিকেটারদের বড় পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে সেটা সংবাদ সম্মেলনেই বলেছিলেন অধিনায়ক সাকিব, ‘নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩টি ম্যাচ আছে। সেখানে আমরা কিছু জিনিস দেখব। সবারই সুযোগ আছে। এশিয়া কাপে যারা খেলেছে তাদের মধ্যে যারা বিশ্বকাপে কনফার্ম তাদের বিশ্রাম থাকতে হবে বলে আমি মনে করি। প্র্যাকটিস ম্যাচ, ট্রাভেলিং এবং কারও ইনজুরি হলে সমস্যা হবে। তাদের যে রিপ্লেসমেন্ট নেই’।
 
সবাই যেন ফিট থাকে তাই এটা খুব জরুরি। এবাদত হোসেনও নেই। বিশ্বকাপের জন্য তাই চারজন পেসারই যেন ফিট থাকে সেটাও একটা লক্ষ্য রয়েছে। এদিকে নিউজিল্যান্ড সিরিজে ক্রিকেটারদের আবারো দেখার প্রসঙ্গে কলোম্বোতে ম্যাচ শেষে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলছিলেন, ‘রিয়াদের সামনে সুযোগ আছে নিউজিল্যান্ড সিরিজে দলে ফেরার। অভিজ্ঞতার একটা মূল্য তো অবশ্যই আছে। নিউজিল্যান্ড সিরিজে আমাদের অনেকেই খেলবে না হয়তো, ইনজুরির কারণে। ইনজুরির ভয় আছে প্রচুর। এরপরেই যেহেতু বিশ্বকাপ, আমাদের অনেক খেলোয়াড়কেই আমরা খেলাবো না।’ পেসারদের বিশ্রাম দেওয়ার প্রসঙ্গে বিসিবি বস আরও বলেন, ‘বেশিরভাগ পেসারই হয়তো এই সিরিজে খেলবে না। এমনিতেই এবাদত নেই, আরেকটা পেসার যদি ইনজুরড হয় তাহলে আমাদের হাতে আর অপশন নাই। এছাড়া এমনও আছে যারা খেলবে না। তাই নিউজিল্যান্ড সিরিজে আমাদের বেশ কিছু খেলোয়াড়কে সুযোগ দেওয়ার অপশন থাকবে।’ এবারের এশিয়া কাপটা এখন পর্যন্ত ভুলে যাওয়ার মতোই কেটেছে বাংলাদেশের। একমাত্র আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটে-বলে ধারাবাহিকতা দেখা গেছে। বাকি ম্যাচগুলোতে ধারাবাহিকতার অভাব স্পষ্ট হয়েছে বেশ ভালোভাবেই।
 
তবে এ নিয়ে অবশ্য বেশি চিন্তার সুযোগ পাচ্ছে না টিম ম্যানেজমেন্ট। ভারতের বিপক্ষে ১৫ সেপ্টেম্বর ম্যাচের পর এশিয়া কাপ থেকে ছুটি হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের। এর দুদিন পরই বাংলাদেশে চলে আসবে নিউজিল্যান্ড দল। হঠাৎ তাল হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশ কিউইদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজকে নিতে যাচ্ছে পরীক্ষার মঞ্চ হিসেবে। সাকিব আল হাসান-মুশফিকুর রহিমের মতো কয়েকজন ক্রিকেটার বিশ্রামে যেতে পারেন সিরিজে। বিশ্রাম পেতে পারেন তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলামরাও। ২৬ সেপ্টেম্বর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে খেলে ভারতের উদ্দেশে উড়াল দেওয়ার প্রস্তুতি নেবে দল। দুটি প্রস্তুতি ম্যাচের পর দল আসল মঞ্চে খেলবে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ দলের সামনে ঠাসা সূচিই। নিয়মিত ক্রিকেটারদের ধকল থেকে মুক্তি, নতুন কারও চোটে না পড়ার সাবধানতা এবং কিছু ‘অস্থিতিশীল’ পজিশনের জন্য বিকল্প দেখা, এই হচ্ছে বিশ্রামের মূলমন্ত্র। চোটে এরই মধ্যে বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেছে পেসার ইবাদত হোসেনের। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে আছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এ মুহূর্তে নিয়মিত ক্রিকেটারদের নিয়ে ঝুঁকি না নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সাকিবও, ‘আর ইনজুরি আমরা নিতে পারব না। আমাদের বেঞ্চে এমন শক্তিশালী আর নেই যে কেউ ইনজুরিতে পড়লে তার জায়গায় সহজেই আরেকজনকে নেওয়া যাবে। আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, সবাই যেন ফিট থাকে, সুস্থ থাকে। তাহলে যেন আমরা অ্যাভেইলেবল ক্রিকেটারদের থেকে সেরা একাদশ বাছাই করতে পারি।’
 
আগামী ২১, ২৩ আর ২৬ সেপ্টেম্বর মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে টাইগাররা মুখোমুখি হবে কিউইদের। ওই সিরিজ শুরুর দিন দশেক আগে হঠাৎ গুঞ্জন, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলবেন না অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এর আগে বিমানবন্দর ছাড়ার আগে তাসকিন আহমেদ বলেছিলেন, এশিয়া কাপ জেতা সম্ভব। দেশে সবশেষ প্রেস ব্রিফিংয়ে সাকিব আল হাসানের বক্তব্য ছিল, সুপার ফোর নিশ্চিত করতে চান তিনি। বাংলাদেশ অবশ্য সুপার ফোরে গিয়েছে। সেটাও সমীকরণের মারপ্যাঁচ মিলিয়ে। সুপার ফোরে ভাল কিছু করা হয়নি। চার ম্যাচের মধ্যে জয় এসেছে কেবল আফগানিস্তÍানের বিপক্ষে। টানা এই ব্যর্থতার জন্য কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে দলীয় অধিনায়ক এবং কোচকে। তবে সাবেক ক্রিকেটার এবং বর্তমানে বোর্ডের দায়িত্বে থাকা আকরাম খান আঙুল তুলেছেন সিনিয়রদের দিকে। 
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।