• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:৪৪

পাকিস্তানের বিপক্ষে রেকর্ড জয় ভারতের

পথরেখা অনলাইন : বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুলের জোড়া সেঞ্চুরির পর স্পিনার কুলদীপ যাদবের দারুন বোলিং নৈপুন্যে পাকিস্তানকে ২২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে এশিয়া কাপ সুপার ফোর পর্ব শুরু করলো ভারত। রান বিবেচনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডেতে এটিই সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় ভারতের। আগেরটি ছিল ২০০৮ সালে মিরপুরে কিটপ্লাই কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে ১৪০ রানের। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে  ৫০ ওভারে ২ উইকেটে ৩৫৬ রানের পাহাড় গড়ে ভারত। কোহলি ১২২ ও রাহুল ১১১ রানে অপরাজিত থাকেন। জবাবে ৩২ ওভারে ১২৮ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। কুলদীপ ২৫ রানে ৫ উইকেট নেন। বৃষ্টির কারনে রিজার্ভ রেখে দু’দিনে অনুষ্ঠিত হয়েছে এ ম্যাচটি।
 
গতকাল শ্রীলংকার কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল উদ্বোধনী জুটিতে ১০০ বলে ১২১ রান তুলেন। রোহিত ৫৬ ও গিল ৫৮ রানে আউট হন। ১৮তম ওভারে দলীয় ১২৩ রানে রোহিত-গিল ফেরার পর জুটি বাঁধেন কোহলি ও রাহুল। ২৫তম ওভারের প্রথম ডেলিভারির পর বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে গেলে ম্যাচটি আজ রিজার্ভ ডে’তে গড়ায়। বৃষ্টিতে গতকাল খেলা শেষ হবার আগে ২৪ দশমিক ১ ওভার ব্যাট করে ২ উইকেটে ১৪৭ রান তুলেছিলো ভারত। কোহলি ১৬ বলে ৮ এবং রাহুল ২টি চারে ২৮ বলে ১৭ রানে অপরাাজিত ছিলেন। আজও বৃষ্টির কারনে নির্ধারিত সময়ে শুরু হতে পারেনি ভারত-পাকিস্তান লড়াই। প্রায় দেড় ঘন্টা পর খেলা শুরু হলে পাকিস্তানের বোলারদের উপর ব্যাট হাতে ছড়ি ঘুড়িয়েছেন আগের দিন অপরাজিত দুই ভারতীয় ব্যাটার কোহলি ও রাহুল। ৩৩তম ওভারে ভারতের রান ২শ স্পর্শ করেন তারা। এরপর হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন কোহলি ও রাহুল। হাফ-সেঞ্চুরির ইনিংসকে সেঞ্চুরিতে পরিণত করার পথে ৪৫তম ওভারেই দলের রান ৩শ নেন কোহলি-রাহুল জুটি। ৪৭তম ওভারে ওয়ানডেতে ষষ্ঠ সেঞ্চুরি করেন ১০০ বল খেলে রাহুল। পরের ওভারে ৮৪ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৭তম সেঞ্চুরির দেখা পান কোহলি। ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ৪৯ সেঞ্চুরি নিয়ে বিশ^রেকর্ডের মালিক ভারতের শচীন টেন্ডুলকার।
 
জোড়া সেঞ্চুরির পর স্লগ ওভারে রানের গতি বাড়িয়ে ভারতকে ২ উইকেটে ৩৫৬ রানে  রানের পাহাড়ে বসিয়েছেন কোহলি-রাহুল। পাকিস্তানের বিপক্ষে এটি যৌথভাবে সর্বোচ্চ দলীয় রান ভারতের। ২০০৫ সালে বিশাখাপতামে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩৫৬ রান করেছিলো ভারত। ৯টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৯৪ বলে ১২২ রানে অপরাজিত থাকেন কোহলি। এই ইনিংস খেলার পথে বিশ্বের পঞ্চম ও ভারতের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে ১৩ হাজার পূর্ণ করেন কোহলি। এর আগে ১৩ হাজার রান ক্লাবের সদস্য হয়েছেন-ভারতের টেন্ডুলকার (১৮৪২৬), শ্রীলংকার কুমার সাঙ্গাকারা (১৪২৩৪), অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং (১৩৭০৪) এবং শ্রীলংকান সনাথ জয়সুরিয়া (১৩৪৩০)। ১২টি চার ও ২টি ছক্কায় ১০৬ বলে অপরাজিত ১১১ রান করেন গত মার্চের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে নামা রাহুল। তৃতীয় উইকেটে ১৯৪ বলে অবিচ্ছিন্ন ২৩৩ রান তুলেছেন কোহলি-রাহুল। পাকিস্তানের বিপক্ষে যেকোন উইকেটে এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি। ভারতের পক্ষে তৃতীয় উইকেট জুটিতে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। বোলিংয়ে পাকিস্তানের পক্ষে ১০ ওভার করে বল করে আফ্রিদি ৭৯ রানে এবং শাদাব ৭১ রানে ১টি করে উইকেট নেন।
 
৩৫৭ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে পঞ্চম ওভারেই প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। ইমাম উল হককে ৯ রানে ফিরিয়ে দেন  পেসার জসপ্রিত বুমরাহ। দ্বিতীয় উইকেটে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার ফখর জামান ও অধিনায়ক বাবর আজম। তবে  বেশি দূর যেতে পারেননি তারা। দশম ওভারে ইনসুইং ডেলিভারিতে বাবরের (২৪ বলে ১০ রান)স্টাম্প উপড়ে দেন পেসার হার্ডিক পান্ডিয়া। পরের ওভারে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ২ রানে শিকার করে পাকিস্তানকে চাপে ফেলে দেন শারদুল ঠাকুর। ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ঘুড়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান। কিন্তু মিডল অর্ডার ব্যাটারদের বড় ইনিংস খেলার সুযোগ দেননি ভারতের বাঁ হাতি স্পিনার কুলদীপ যাদব।
 
কুলদীপের ঘুর্ণিতে পড়ে ৩২ ওভারে ৮ উইকেটে ১২৮ রান করে ম্যাচ হারে পাকিস্তান। ইনজুরির কারণে পাকিস্তানের শেষ দুই ব্যাটার নাসিম শাহ ও হারিস রউফ ব্যাটিং করেননি। এতে ১২৮ রানে অলআউট হয় পাকরা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন জামান। এছাড়া আগা সালমান ও ইফতিখার আহমেদ ২৩ রান করে করেন। ৮ ওভার বোলিং করে ২৫ রানে ৫ উইকেট নেন কুলদীপ। ৮৭ ম্যাচের ওয়ানডেতে দ্বিতীয়বারের মত ইনিংসে ৫ উইকেট নিলেন কুলদীপ। সুপার ফোর-এ ১২ সেপ্টেম্বর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলংকার মুখোমুখি হবে ভারত। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর সুপার ফোরে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে খেলবে পাকিস্তান। নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছিলো পাকিস্তান।
পথরেখা/আসো
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।