• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:১১
মেজর অব. চাকলাদার

পাকিস্তান লেজে গুবরে অবস্থা

পাকিস্তানকে রেকর্ড ২২৮ রানে পরাজিত করল ভারত। বিরাট কোহলি করে নটআউট ১২২ আর সমগ্র পাকিস্তান করে ১২৮। বৃষ্টি, প্রমথনাথ লিখেছিলেন ‘এমন দিনে তারে কি বলা যায়।’ পাকিস্তান শুধু বৈরি আবহাওয়া নয় শৃঙ্খলার সাথে আপোষ করে খেলার লড়াই থেকে পিছলে গেছিল। এই কলম্বোতে পাকিস্তানের দুই কর্মকর্তা ক্যাসিনো ঘুরে সমালিত হলেন। এতেই ফুটে উঠে পাকিস্তান দলের অভ্যন্তরীণ অবস্থা। স্টোরে যা থাকবে তাইত শো-রুমে প্রদর্শিত হবে। তাই ই হয়েছে। বৃষ্টি পুরো এশিয়া কাপকে মান-সম্মত হতে বাধার সৃষ্টি করেছে। 
 
পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপের লড়াইয়ে থাকল ভারত। সুপার ফোরের বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে প্রথম ব্যাট করে রোহিত শর্মারা তুললেন ২ উইকেটে ৩৫৬ রান। অপরাজিত শতরান এল বিরাট কোহলি এবং লোকেশ রাহুলের ব্যাট থেকে। জবাবে ৩২ ওভারে বাবর আজ়মদের ইনিংস শেষ হল ১২৮ রানে। চোটের জন্য ব্যাট করতে নামেননি পাকিস্তানের শেষ দুই ব্যাটার। রেকর্ড ২২৮ রানে জয় পেল ভারত। বল হাতে পাক ইনিংসে ধস নামালেন কুলদীপ যাদব।
 
ওয়াটার লু যুদ্ধে নেপোলিয়ন বৃষ্টির কারণে কামান ব্যবহারে দেরি করে ছিলেন। তিনি আর্টিলারির ছিলেন। কামান তার যুদ্ধ জয়ের ব্রম্মাস্ত্র, বৃষ্টিতে মাটি কাদা কাদা হওয়াতে তিন ঘণ্টা পরে যুগ্ধ শুরু করে ছিলেন। জিতে গিয়ে ছিলেনও তবে ডিউক অব ওয়েলিংটন ওয়াটার লুতে আছেন তাদের আহত সৈন্যদের নিতে। দেখেন নেপোলিয়ন বাহিনী জয়ী হয়ে ময়দান থেকে যাব যাব করছে। ঐ সময় ফ্রেশ সৈন্য দল নিয়ে আক্রমণ করে নেপোলিয়নের জয়ী তবে ‘টায়ার্ড’ সৈন্যদের, পরাজিত ও বন্দী হলেন নেপোলিয়ন। যদি বৃষ্টি না হত তবে তিন ঘণ্টা আগেই যুদ্ধ জয় করে নেপোলিয়ন ময়দান ছেড়ে চলে যেতেন। ওয়েলিংটন যুগ্ধ ময়দানে নেপোলিয়নকে পেতেনই না। সুতরাং বৃষ্টি কে উপেক্ষার বা অবজ্ঞার কোন শক্তি আজও নাই, এশিয়া কাপ তার প্রমাণ।
 
ভারত ব্যাটিং বোলিং এমনকি ফিল্ডিংএ পাকিস্তানকে শিখিয়েছে। পাকিস্তানের বডি ল্যাংগুয়েজ ছিল এক পরাজিত দলের মুখচ্ছবি। পাকিস্তান দলে ওডিআই নম্বর এক ব্যাটার বাবর আযম রয়েছেন, তার বিশ্রাম দরকার, তিনি এই মূহূর্তে দলের বোঝা। তিন পেসার উইকেট নেবার মতন বল করা ভুলেই গেছে। কি মার খেয়েছে তা দুই উইকেটে ৩৫৬ রানের অতি প্রাকৃতিক ইনিংসই প্রমাণ। বিংশ শতাব্দীর লজ্জার হার এখন পাকিস্তানের সাথী। পাকিস্তানের আগামীর ভাল নির্ভর করবে এই হারের মানসিক চাপ মুক্তির উপর।
 
লেখক : সাবেক হকি অধিনায়ক জাতীয় ও সেনাবাহিনী দল এবং জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপ্ত
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।