ভারত -পাকিস্তান এশিয়া কাপে ফাইনালে পরস্পর মুখোমুখি হয় নাই। এবারেও পাকিস্তান যে এভাবে পিছল খাচ্ছে তাতে বেশ কিছু ‘যদি’ পক্ষে আনতে হবে। পাকিস্তান তার ক্রিকেট কংকাল ভারতের বিরুদ্ধে দেখিয়েছে। বাবর আযম একজন ব্যাটার আর ক্যাপ্টেন হিসাবে ভারতের বিরুদ্ধে পুরাপুরি ব্যর্থ অথচ কোহলি ছিলেন সাবলিল। ফাইনালে যেতে হলে বৃহস্পতিবার শ্রীলংকাকে হারাতে হবে। এখানে পাকিস্তানের দরকার মানসিক শক্তি ফিরিয়ে আনা, যেভাবে ভারত পাকিস্তানকে ‘চাবি মাইরা ছাইড়া দিছে’ তাতে এই দুনিয়া ঘোরে বন বন ছন্দে ছন্দে কত রং বদলায়— এই রং দেখা বাদ দিয়ে, আস্ফালন ছেড়ে বাস্তবতাকে সম্মান দিয়ে শ্রীলংকাকে ১৪ সেপ্টেম্বর হারিয় ফাইনালে আসুক, উপমহাদেশের সবাই এটাই চাচ্ছে। ছোটকালে গ্রামে শীতকালে পালা হত।
‘রাম লক্ষণ শীতা হরণ, রাবণ বধের পালাল’— বিভীষণ রাবণের ভাই, সৃষ্টি ছাড়া ‘স্টুপিড’, শয়তানি করে রাবণের ছেলে মেঘনাদকে যে কিনা ট্রোজান ওয়ারের হেক্টরের মতন বড় বীর রাবণের ছেলে মেঘনাদকেও হত্যা করায়। সেই শ্রীলংকাতে বিভীষণ নেই আছে বৃষ্টি।
প্রতিটি খেলা বৃষ্টিতে আটকাচ্ছে তাতে যেমন ব্যাটার, বোলার দের একাগ্রতা আর ছন্দ হারাচ্ছে তেমনি টিভির সামনে বসে থাকা ক্রিকেট আগ্রহীরা অসন্তুষ্ট হচ্ছে। অসবের পিছনে আছে এশিয়া ক্রিকেট কাউন্সিলের আর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তা জয় শাহ। তিনি পাকিস্তানের মাঠে মাত্র ৪টা খেলা রেখে সব খেলা শ্রীলংকা অথবা মম্বাইতে সরিয়ে নেন। পাকিস্তানে এ সময় বৃষ্টি নেই আর শ্রীলংকা তো ক্যামন বৃষ্টি তা প্রতিটি খেলাতে হানা দিয়ে তার ভার ভারিক্কি ওজন বুঝিয়ে দিচ্ছে। জয়তু বৃষ্টি! রিস্তা খুঁজলে জয়শাহর লংকার বিভীষণের আত্মীয় হবে হয়ত। শ্রীলংকা আগে নাম অছিল ‘সিলন’ ভারত মহাসাগরের কাছে ভারতের দক্ষিণ পুর্বের দ্বীপ। ১৮৩২ সন থেকে শ্রীলংকাতে ক্রিকেট শুরু হয়।
লেখক : সাবেক হকি অধিনায়ক জাতীয় ও সেনা বাহিনী দল এবং জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপ্ত
পথরেখা/আসো