• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:২৯

ভারতের বিপক্ষে শেষ হোক রঙিন বাংলাদেশের

পথরেখা অনলাইন : এশিয়া কাপের সুপার ফোরের সর্বশেষ ম্যাচে মাঠে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ হিসেবে এবার মোকাবেলা করতে হবে ভারতের। এরই মধ্যে ফাইনাল নিশ্চিত করা ভারতের জন্য ম্যাচটি শুধুই আনুষ্ঠানিকতার। শুরুতে মুশফিকুর রহিমের এই ম্যাচে খেলার কথা থাকলেও শেষদিকে এসে ছুটি বাড়িয়ে দেয় বিসিবি। সন্তান সম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকতে শ্রীলঙ্কা থেকে দেশে ফিরে আসেন। পরে আবার ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে যাবার কথা থাকলেও সেটি আর হয়নি। তবে সাকিব আল হাসান ঠিকই চলে গিয়ে শেষ ম্যাচ খেলার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন। শেষ শ্যাচে সুযোগ পেতে পারেন এনামুল হক বিজয়। সেক্ষেত্রে লিটন আর বিজয় কে উইকেটকিপিং করবেন সেটাই দেখার বিষয়। শুক্রবার অনুষ্ঠেয় ওই ম্যাচে খেলতে শ্রীলঙ্কা যাননি বাংলাদেশ জাতীয় দলের অভিজ্ঞ মিডল অর্ডার ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। বিসিবির মিডিয়া বিভাগ থেকে এক বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। সম্প্রতি মুশফিকুর রহিম দ্বিতীয় সন্তানের বাবা হয়েছেন। স্ত্রী পাশে থাকতে তিনি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুপার ফোরের ম্যাচ খেলে দেশে ফিরে আসেন। শেষ ম্যাচের আগে ফাঁকা সময় থাকায় আবার কলম্বোয় ফিরতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরিবারের পাশে থাকতে চেয়ে বিসিবির কাছে ছুটি বাড়ানোর আবেদন করলে বোর্ড তা মঞ্জুর করেছে।
 
এদিকে লংকার বিপক্ষে রানে ফেরা তাওহিদ হৃদয় ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটা ভাল খেলতে চান। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বেশ ধারবাহিক এই ব্যটার। তবে চলমান এশিয়া কাপের শুরুর ৩ ম্যাচে রান পাননি। এর আগে একটানা এতটা খারাপ সময় যায়নি তার। তবে সর্বশেষ ম্যাচে লঙ্কানদের বিপক্ষে ফিফটি হাঁকিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। এবার ভারতের বিপক্ষেও ভালো কিছু করার প্রত্যয় তার কণ্ঠে। শেষ ম্যাচের আগে শ্রীলঙ্কায় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে হৃদয় জানান, ‘আমার মনে কোনো এক্সপেকটেশন নাই। আমি কোনো চিন্তা ভাবনা করি না। আমি যখন মাঠে যাব, তখন ট্রাই করব, টিমের জন্য কিছু কন্ট্রিবিউট করার। আমরা টুর্নামেন্টে নাই, বেশি কিছু ভাবছি না, ভালোভাবে শেষ করার প্রত্যাশা।’ মুশফিকুর রহিম না থাকায় হৃদয়দের সুযোগ থাকছে আরও ভালো কিছু করে দেখানোর। তবে হৃদয় বলছেন, ‘আমি আসলে এইভাবে চিন্তা করি না। কার সঙ্গে খেলা, কার দায়িত্ব বেড়ে যাচ্ছে। আমি সব সময় ট্রাই করি আমার যে প্রসেস আছে সেই প্রসেসে থাকার জন্য’।
 
রানে ফিরতে হৃদয়কে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় সারির দল নামাবে ভারত, এমনটাই শোনা গেছে! টানা দুই ম্যাচ খেলে ক্লান্ত ভারতীয় ব্যাটাররা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের আগে বিষয়টি বিরাট কোহলির কণ্ঠেই ফুটে ওঠে। ইতোমধ্যে এশিয়া কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে তারা। বিপরীতে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের। সে কারণে ম্যাচটি এখন কেবলই নিয়মরক্ষার। তাই টাইগারদের বিপক্ষে ভারত তারকা ক্রিকেটারদের বিশ্রামে রাখতে পারে। এমনই আভাস দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, দরজায় কড়া নাড়ছে বিশ্বকাপ। তাই তো টিম ম্যানেজমেন্ট একাধিক তারকা ক্রিকেটারকে বিশ্রামে রাখার কথা ভাবছে। এর মাধ্যমে আগের ম্যাচগুলোর একাদশে জায়গা না পাওয়া ক্রিকেটাররাও খেলার সুযোগ পাবেন। ফলে তাদের দেখা মিলতে পারে বাংলাদেশের বিপক্ষে আসন্ন ম্যাচে। এখন পর্যন্ত কোহলি ও জসপ্রীত বুমরাহকে বিশ্রামে রাখা হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। এছাড়া লোকেশ রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়াও থাকতে পারেন বিশ্রামে।
 
কিছুদিন আগেই দীর্ঘ সময়ের ইনজুরি থেকে ফিরেছেন বুমরাহ। ইতোমধ্যে দলের নিজের প্রভাবও রাখতে শুরু করেছেন। অন্যদিকে চিরপ্রতিদ্বন্ধী পাকিস্তানের বিপক্ষে ১২২ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলেছিলেন কোহলি। তার সঙ্গে লোকেশ রাহুলও পান ম্যাজিক ফিগারের দেখা। ফলে পাকিস্তানকে ৩৫৬ রানের যৌথ সর্বোচ্চ রান বেধে দেয় ভারত। পরে অবশ্য পাকিস্তান মাত্র ১২৮ রানেই গুটিয়ে যায়। ওই ম্যাচের পরই ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকারের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে কোহলি বলেছিলেন, ‌‘আমি অনুরোধ করব আপনি যাতে সাক্ষাৎকারটা খুব ছোট করেন। আমি প্রচন্ড ক্লান্ত। মাঠে প্রচুর দৌড়ে রান নিয়েছি। প্রত্যেক সময়েই মনে হচ্ছিল, ভাগ্য ভালো যে আমরা নিয়মিত টেস্ট খেলি। আমি ১০০টার ওপর টেস্ট খেলেছি। তাই কীভাবে পরদিন মাঠে নামতে হয় সেটা আমার জানা আছে।’ ৩৫ বছর বয়স পূর্ণ হতে যাওয়া কোহলির ধকল হয়তো আগামী ম্যাচে কমতে পারে। শোনা যাচ্ছে, রাহুলের জায়গায় টিম ম্যানেজমেন্টের বিবেচনায় আছেন সূর্যকুমার যাদব। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা এই ব্যাটার কেমন করতে পারেন তার একটা পরীক্ষাও হয়ে যাবে। টাইগারদের বিপক্ষে কোহলির জায়গা নিতে পারেন শ্রেয়াস আইয়ার। চোটের কারণে তিনিও দুই ম্যাচ একাদশের বাইরে ছিলেন।
 
এই ম্যাচে এমনকি পেস অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়াকেও নিয়ে বেশি ঝুঁকি নিতে চায় না দলটি। তিনি বিশ্রামে গেলে খেলবেন শার্দুল ঠাকুর। বুমরাহ’র জায়গায় ফিরতে পারেন মোহাম্মদ শামি। অন্যদিকে, এশিয়া কাপে বাজে সময় পার করছে সাকিব আল হাসানের দল। তাই সুপার ফোরের শেষ ম্যাচ জিতে তারা নিশ্চয়ই সান্ত্বনা পেতে চাইবে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এবারের এশিয়া কাপ মিশন শেষ হবে টাইগারদের। এর আগে চোট জর্জরিত স্কোয়াড বাংলাদেশ এশিয়ানদের শ্রেষ্ঠত্বের আসরে খেলতে গিয়েছিল। তিনদিনের ছুটি কাটিয়ে দুবাই হয়ে কলম্বো ফিরে গেছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বিসিবির সিনিয়র মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম নিশ্চিত করেছেন যে, বুধবার কলম্বো পৌঁছে বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ৮টায় জাতীয় দলের অনুশীলনেও যোগ দিয়েছেন টাইগার ক্যাপ্টেন। কলম্বোয় জাতীয় দলের সঙ্গে থাকা বিসিবি সিনিয়র পরিচালক ও ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের কাছে মুঠোফোনে এ প্রশ্ন রাখা হলে তিনি বলেন, ‘আসলে কিপারের ভূমিকায় কাকে দেখা যাবে, তা নির্ভর করছে কম্বিনেশনের ওপর। কম্বিনেশনই বলে দেবে কে কিপিং করবে?’ একইভাবে ঢাকায় নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলেও জানা যায়নি।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।