• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:০৪
এবারেও হল না ভারত-পাক ফাইনাল

রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে অবিশ্বাস্য জয় শ্রীলঙ্কার

রবিবার ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপ ২০২৩ ফাইনাল খেলবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা। অনেকেই ফাইনালে দেখতে চেয়েছিল ভারত-পাকিস্তানের লড়াই, কিন্তু তা আর সম্ভব হল না। ১৪ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপ সুপার ফোরে পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপ ফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করেছে শ্রীলঙ্কা। এইদিন বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি ৫০ ওভার থেকে কমিয়ে ৪২ ওভারে করা হয়েছিল। মরণ-বাঁচনের লড়াইয়ে শেষমুহুর্ত পর্যন্ত লড়াই করে ২ উইকেটে জয়লাভ করেছে শ্রীলঙ্কা। এই ম্যাচ হারায় এখানেই শেষ হয়েছে পাকিস্তানের সফর। রবিবার ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপ ২০২৩ ফাইনাল খেলবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা। অনেকেই ফাইনালে দেখতে চেয়েছিল ভারত-পাকিস্তানের লড়াই, কিন্তু তা আর সম্ভব হল না।
 
মরন-বাঁচনের এই লড়াইয়ে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে আবদুল্লাহ শাফিকের দুর্দান্ত ইনিংস দিয়ে শুরু হয় পাকিস্তানের। অন্যদিকে ওপেনিংয়ে ফাকার জামান ব্যর্থ হওয়ার পর বাবর আজম এসে বেশ ভালোই খেলছিলেন। এই ম্যাচে ২৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর শাফিকের সাথ দিতে ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ রিজওয়ান।
 
 
বাবর তাড়াতাড়ি আউট হয়ে গেলেও, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে রিজওয়ানের ব্যাট থেকে আসে বড় রান। অন্যদিকে শাফিক ৫২ রান করে আউট হন। তারপর শীঘ্রই দুটি উইকেট হারানোই রিজওয়ানের পাশাপাশি ঝড় তুলতে ক্রিজে আসেন ইফতিকার আহমেদ । একদিকে রিজওয়ানের ব্যাট থেকে আসে ৭৩ বলে ৮৬ রানের অপরাজিত ইনিংস অন্যদিকে ইফতিকারের ব্যাট থেকে আসে ৪০ বলে ৪৭ রান। তাদের ইনিংসের ভিত্তিতে ৪২ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫২ রানে পৌঁছায় পাকিস্তান।
 
শ্রীলঙ্কাকে এশিয়া কাপের ফাইনালে পৌঁছাতে হলে প্রয়োজন ছিল ডিএলএসের বিচারে ৪২ ওভারে ২৫২ রান। ফাইনালের লক্ষ্যকে সামনে রেখে দুর্দান্ত শুরু করেছিলেন কুশল প্যারেরা। মাত্র ৮ বলে ১৭ রান করে দুর্ভাগ্যবশত রান আউট হন তিনি। পাথুম নিশাঙ্কা বেশ কিছুক্ষণ টিকে খেলার চেষ্টা করলেও, ২৯ রান করে তিনি আউট হন। তবে ক্রিজে এসে পাকিস্তানি পেসারদের সামলে লড়াই চালিয়ে যান কুশল মেন্ডিস। তার সাথ দেন সাদিরা সামারাবিক্রমা। ৭৭ রানে ২ উইকেট হারানোর পর থেকে শুরু করে দলকে ভরসা জোগান এই জুটি। এই জুটি মিলে পুরো ১০০ রানের পার্টনারশিপ করে। তারপর ইফতিকারের স্পিনের শিকার হন সাদিরা। ৪৮ রান করে ফিরে যেতে হয় তাকে। পরবর্তী ব্যাটসম্যান হিসাবে ক্রিজে আসেন চরিত আশালঙ্কা, সম্প্রতি খুব সুন্দর ছন্দে রয়েছেন তিনি।
 
কুশল মেন্ডিস এবং আশালঙ্কা মিলেও ৪৩ রানের পার্টনারশিপ করেন, এরপর ৯১ রান করে ফিরে যেতে হয় কুশল মেন্ডিসকে। মাত্র ৯ রানের জন্য শতরান হাতছাড়া হয় তার। মেন্ডিসের উইকেটের পর একের পর এক দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে শ্রীলঙ্কা। একসময় দেখে মনে হচ্ছিলো এই ম্যাচটি অনায়াসে জয়লাভ করবে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু শেষ দুই ওভারে ম্যাচের প্রতিচ্ছবি পুরো বদলে যায়। ৪১ তম ওভারে শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে ২ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানেরা। তবে একদিক থেকে ধরে রেখেছিলেন আশালঙ্কা। যখন ২ বলে ৬ রান প্রয়োজন, বলে ছিলেন জামান খান, তখন ভাগ্যবসত থার্ড ম্যানে একটি বাউন্ডারি এবং শেষ বলে ২ রানের সাহায্যে ম্যাচটি জয়লাভ করে শ্রীলঙ্কা। এখানেই শেষ হয় পাকিস্তানের এশিয়া কাপ সফর। অন্যদিকে এই নিয়ে ১১তম এশিয়া কাপ ফাইনালে শ্রীলঙ্কা।
 
স্কোরকার্ড
পাকিস্তান : ২৫২/৭ (৪২ ওভার)
শ্রীলঙ্কা : ২৫২/৮ (৪২ ওভার) ডিএলএস
ফল : শ্রীলংকা ২ উইকেটে জয়ী

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।