রবিবার ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপ ২০২৩ ফাইনাল খেলবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা। অনেকেই ফাইনালে দেখতে চেয়েছিল ভারত-পাকিস্তানের লড়াই, কিন্তু তা আর সম্ভব হল না। ১৪ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপ সুপার ফোরে পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপ ফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করেছে শ্রীলঙ্কা। এইদিন বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি ৫০ ওভার থেকে কমিয়ে ৪২ ওভারে করা হয়েছিল। মরণ-বাঁচনের লড়াইয়ে শেষমুহুর্ত পর্যন্ত লড়াই করে ২ উইকেটে জয়লাভ করেছে শ্রীলঙ্কা। এই ম্যাচ হারায় এখানেই শেষ হয়েছে পাকিস্তানের সফর। রবিবার ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপ ২০২৩ ফাইনাল খেলবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা। অনেকেই ফাইনালে দেখতে চেয়েছিল ভারত-পাকিস্তানের লড়াই, কিন্তু তা আর সম্ভব হল না।
মরন-বাঁচনের এই লড়াইয়ে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে আবদুল্লাহ শাফিকের দুর্দান্ত ইনিংস দিয়ে শুরু হয় পাকিস্তানের। অন্যদিকে ওপেনিংয়ে ফাকার জামান ব্যর্থ হওয়ার পর বাবর আজম এসে বেশ ভালোই খেলছিলেন। এই ম্যাচে ২৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর শাফিকের সাথ দিতে ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ রিজওয়ান।
বাবর তাড়াতাড়ি আউট হয়ে গেলেও, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে রিজওয়ানের ব্যাট থেকে আসে বড় রান। অন্যদিকে শাফিক ৫২ রান করে আউট হন। তারপর শীঘ্রই দুটি উইকেট হারানোই রিজওয়ানের পাশাপাশি ঝড় তুলতে ক্রিজে আসেন ইফতিকার আহমেদ । একদিকে রিজওয়ানের ব্যাট থেকে আসে ৭৩ বলে ৮৬ রানের অপরাজিত ইনিংস অন্যদিকে ইফতিকারের ব্যাট থেকে আসে ৪০ বলে ৪৭ রান। তাদের ইনিংসের ভিত্তিতে ৪২ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫২ রানে পৌঁছায় পাকিস্তান।
শ্রীলঙ্কাকে এশিয়া কাপের ফাইনালে পৌঁছাতে হলে প্রয়োজন ছিল ডিএলএসের বিচারে ৪২ ওভারে ২৫২ রান। ফাইনালের লক্ষ্যকে সামনে রেখে দুর্দান্ত শুরু করেছিলেন কুশল প্যারেরা। মাত্র ৮ বলে ১৭ রান করে দুর্ভাগ্যবশত রান আউট হন তিনি। পাথুম নিশাঙ্কা বেশ কিছুক্ষণ টিকে খেলার চেষ্টা করলেও, ২৯ রান করে তিনি আউট হন। তবে ক্রিজে এসে পাকিস্তানি পেসারদের সামলে লড়াই চালিয়ে যান কুশল মেন্ডিস। তার সাথ দেন সাদিরা সামারাবিক্রমা। ৭৭ রানে ২ উইকেট হারানোর পর থেকে শুরু করে দলকে ভরসা জোগান এই জুটি। এই জুটি মিলে পুরো ১০০ রানের পার্টনারশিপ করে। তারপর ইফতিকারের স্পিনের শিকার হন সাদিরা। ৪৮ রান করে ফিরে যেতে হয় তাকে। পরবর্তী ব্যাটসম্যান হিসাবে ক্রিজে আসেন চরিত আশালঙ্কা, সম্প্রতি খুব সুন্দর ছন্দে রয়েছেন তিনি।
কুশল মেন্ডিস এবং আশালঙ্কা মিলেও ৪৩ রানের পার্টনারশিপ করেন, এরপর ৯১ রান করে ফিরে যেতে হয় কুশল মেন্ডিসকে। মাত্র ৯ রানের জন্য শতরান হাতছাড়া হয় তার। মেন্ডিসের উইকেটের পর একের পর এক দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে শ্রীলঙ্কা। একসময় দেখে মনে হচ্ছিলো এই ম্যাচটি অনায়াসে জয়লাভ করবে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু শেষ দুই ওভারে ম্যাচের প্রতিচ্ছবি পুরো বদলে যায়। ৪১ তম ওভারে শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে ২ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানেরা। তবে একদিক থেকে ধরে রেখেছিলেন আশালঙ্কা। যখন ২ বলে ৬ রান প্রয়োজন, বলে ছিলেন জামান খান, তখন ভাগ্যবসত থার্ড ম্যানে একটি বাউন্ডারি এবং শেষ বলে ২ রানের সাহায্যে ম্যাচটি জয়লাভ করে শ্রীলঙ্কা। এখানেই শেষ হয় পাকিস্তানের এশিয়া কাপ সফর। অন্যদিকে এই নিয়ে ১১তম এশিয়া কাপ ফাইনালে শ্রীলঙ্কা।
স্কোরকার্ড
পাকিস্তান : ২৫২/৭ (৪২ ওভার)
শ্রীলঙ্কা : ২৫২/৮ (৪২ ওভার) ডিএলএস
ফল : শ্রীলংকা ২ উইকেটে জয়ী