• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০০:১৮

সাকিব-তামিম দ্বন্ধে অস্থির দেশের ক্রিকেট

পথরেখা অনলাইন :  সাকিব-তামিমের দ্বন্ধে রীতিমতো অস্থির অবস্থা বাংলাদেশের ক্রিকেটে। অনেকে আবার সাকিবের অবস্থানকে একরোখা বলছেন। বিশ্বকাপের দল নিয়ে আর যাই শেষ সময়ে এই নাটকীয়তা কারও কাম্য হতে পারেনা।
 
সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে হঠাৎ করেই বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বাসায় যান প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বিশ্বকাপের দল ঘোষনায় বিলম্বিত ঠেকিয়ে দ্রুততম সময়ে দল দিতেই এই সভা বলে শুরুতে জানা গিয়েছিল। পরে জানা গেছে, মূলত তামিম ইকবালকে নিয়েই এই তিনজনের সভা। সেখানে নাকি ’আনফিট’ তামিমকে বিশ্বকাপের দলে না নিতে নিজেদের অবস্থানের কথা জানিয়ে দেন হাথুরু-সাকিব। এর আগে তামিম বিশ্বকাপে ৫টি ম্যাচ খেলবেন বলে জানালে ক্ষেপে যান সাকিব। এরপর তো মঙ্গলবার দিনভর খবর বের হয়, আবারও অধিনায়কের দায়িত্ব ছাড়ছেন সাকিব। এরপরই বিশ্বকাপের দলের মতো কার হাতে উঠতে যাচ্ছে অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড সেই আলোচনা শুরু হয়। এছাড়া সাবেক অধিনায়ক মাশরাফিও বিসিবি বসের সঙ্গে সভা করতে মিরপুরে আসেন।
 
বর্তমান অবস্থায় বাংলাদেশের ক্রিকেটে কোনো সমস্যা দেখা দিলে ইদানীং দৃশ্যপটে হাজির হন সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। সর্বশেষ তামিম ইকবালের অবসর ও নাটকীয় প্রত্যাবর্তনের ঘটনায় তিনি মধ্যস্থতা করেছিলেন। এবার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে তামিমের দ্বন্ধের জেরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আরও একবার সামনে এসেছেন তিনি। দুপুর ২টা নাগাদ বিসিবিতে প্রবেশ করেন মাশরাফি। সভাপতি পাপানের সঙ্গে বৈঠকের পর বিকেল সাড়ে তিনটা নাগাদ বিসিবি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে বৈঠকে কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে সেটা অবশ্য অজানা। তবে সাকিব-তামিম ইস্যুতেই যে মাশরাফি এসেছেন এবং কথা বলেছেন এটা মোটামুটি অনুমেয়। দুজনের মধ্যে রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মাশরাফি বিসিবি ত্যাগ করলেও এখনও সেখানে রয়েছেন সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। জানা গেছে, মঙ্গলবারই ঘোষণা করা হবে বিশ্বকাপ দল। তার আগে নির্বাচক ও বোর্ড পরিচালকদের সঙ্গে শেষ সময়ের আলোচনা সারবেন পাপন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডের পর চোটের অস্বস্থির কথা জানিয়েছিলেন তামিম ইকবাল।
 
আর যে কারণে শেষ ম্যাচে বিসিবি তাকে বিশ্রামও দেয়া হয়। তবে বিপত্তি বেঁধেছে তামিমের ব্যতিক্রমী চাওয়ায়। বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে ৯ ম্যাচের মধ্যে ৫টি খেলতে চান দেশসেরা এই ওপেনার। বিশ্রামে থাকতে চান কিছু ম্যাচে। বিসিবি বস পাপনকে এই কথা জানাতেই ‍বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তোলেন সাকিব। তামিমের চাওয়া মানা হলে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার অধিনায়কত্ব ছাড়ার কথা জানিয়ে দেন বলে জানা গেছে। বিশ্বকাপ দল ঘোষণার ঠিক আগে নানা নাটকে টালমাটাল বাংলাদেশ ক্রিকেট। সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবাল ইস্যুতে উত্তাল ক্রিকেট পাড়া। বিসিবি ভবনে মাশরাফি প্রবেশ করার পরপর দুই নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক এবং হাবিবুল বাশার সুমনের সঙ্গে তাকে কথা বলতে দেখা গেছে। জানা গেছে, কিছুক্ষণ পর মাশরাফির সঙ্গে বৈঠক করেন পাপন; ইস্যু—সাকিব-তামিম দ্বন্ধ। তবে শোনা গেছে, আনফিট তামিমকে বিশ্বকাপ দলে চান না সাকিব-হাথুরু।
 
সাকিব নাকি এমনও বলেছেন, আনফিট কিংবা হাফ-ফিট কেউ দলে থাকলে তিনি বিশ্বকাপে অধিনায়কত্ব করবেন না। সব জল্পনা ও নাটকীয়তার অবসান হবে আর কিছু সময় পরই। বিশ্বকাপ দল ঘোষনার আগে থেকেই দেশের ক্রিকেটে বইছে চাপা-দ্বন্ধ আর বৈরী আবহাওয়া। যার উৎস হিসেবে সামনে এসেছে বিশ্বকাপে তামিম ইকবালের কেবল ৫ ম্যাচ খেলতে চাওয়া। তামিমের এমন সিদ্ধান্ত পছন্দ হয়নি নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের। সে কারণে বিশ্বকাপের আগে তার অধিনায়কত্ব ছাড়তে চাওয়ার গুঞ্জন উঠেছে। এই ইস্যূতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘বিশ্বকাপে সাকিব অধিনায়ক থাকতে চায় না। কারণ হাফ ফিট কোনো খেলোয়াড় নিয়ে সে বিশ্বকাপে যেতে চায় না।’ যদি শেষ পর্যন্ত সাকিব বিশ্বকাপ দলের অধিনায়কত্ব না করেন তাহলে কে আসবেন নতুন নেতৃত্বে? এটাই এখন টক অব দ্য টাউন। লিটন দাসের কথা বললেও সেখানে রয়েছে শঙ্কা। কেননা টাইগার এই ব্যাটার সাম্প্রতিক সময়ে ফর্মহীনতায় ভুগছেন। যে কারণে লিটনের অধিনায়ক হওয়ার সম্ভাবনা কম। ফলে নাজমুল হোসেন শান্তর নামও আসতে পারে নতুন অধিনায়কের তালিকায়।
 
দেশের ১৬তম ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মঙ্গলবার শেষ ম্যাচে অভিষেক হয়েছে শান্তর। যে কারণে তিনি বিশ্বকাপেও নেতৃত্বের দৌড়ে থাকবেন। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে অধিনায়কের প্রসঙ্গ আসলেই নাম দেখা যায় মেহেদী হাসান মিরাজের। সে কারণে সম্ভাবনা রয়েছে তারও। অপেক্ষা ছিল শুধু চমকের।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।