পথরেখা অনলাইন : ১১৬ রানের মামুলি পুজি নিয়ে একটা সময় পরাজয়ের দোড়গোড়ায় দাড়িয়ে ছিল বাংলাদেশ দল। এরপর শেষ ওভারে আফিফ হোসেন ধ্রুবর অসাধারন বোলিংয়ে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ২ রানের জয় দিয়ে সেমিফাইনালে পৌছে গেছে সাইফ হাসানের দল। শেষ ওভারে মালয়েশিয়ার প্রয়োজন ছিল ৫ রান, হাতে ছিল ৩ উইকেট। এমন রোমাঞ্চকর ম্যাচেই দলকে জয় এনে দিলেন আফিফ হোসেন। শেষ ওভারে তাঁর দুর্দান্ত বোলিংয়ে ২ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এ জয়ে এশিয়ান গেমসের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। শেষ ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম তিন বলেই ডট দেন আফিফ। চতুর্থ বলে আউট করেন বাংলাদেশের জয়ে কাটা হয়ে দাঁড়ানো বীরেনদ্বীপ সিংকে। মালয়েশিয়ার এই ব্যাটার আউট হওয়ার পরেই বাংলাদেশের জয়ের পথ সহজ হয়। শেষে তাই করলেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার। শেষ ২ বলে ২ রান দিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেছেন তিনি।
১১৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭২ রানের মাথায় ৬ উইকেট হারায় মালয়েশিয়া। তখন জয়ের সুবাস পাচ্ছিল বাংলাদেশ। তবে সপ্তম উইকেটে আইনুল হাফিজের সঙ্গে ৪০ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ থেকে বাংলাদেশকে ছিটকে দিচ্ছিলেন বীরেনদ্বীপ। কিন্তু শেষ ওভারে ৫ রানের হিসাব মেলাতে পারেননি তিনি। আসলে তাঁকে মেলাতে দেননি আফিফ। শেষ ওভারে তাঁর দুর্দান্ত বোলিংয়েই অপরিচিত মালয়েশিয়ার বিপক্ষে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে বাংলাদেশ। অথচ, এবারের টুর্নামেন্টে ভারতের পর সবচেয়ে শক্তিশালী দল গঠন করেছে বাংলাদেশ। আগামী ৬ অক্টোবর ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনাল খেলবে বাংলাদেশ। এর আগে শেষ আটের ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা হয় ধ্বংসস্তুুপে। দলীয় ৩ রানের মাথায় ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। চতুর্থ উইকেটে সেই ধাক্কা সামলান সাইফ হাসান-আফিফ জুটি। দুজনে মিলে ৩৮ রান যোগ করেন দলীয় খাতায়।
২৩ রানে আফিফ আউট হওয়ার পর বাংলাদেশ ১১৬ রান পায় অধিনায়ক সাইফের ফিফটিতে। ৫২ বলে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন। তিনি। তবে এই সংগ্রহ শাহাদাত হোসেনের ২১ ও জাকের আলির ১৪ রানের অবদানও কম নয়। মর্নিং শোজ দ্য ডে— এই প্রবাদকে ভুল প্রমাণ করতেই যেন খেলল বাংলাদেশ। এশিয়ান গেমস ক্রিকেটের কোয়ার্টার ফাইনালে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে টাইগারদের শুরুটা হয়েছিল চরম ব্যাটিং বিপর্যয় দিয়ে। কিন্তু শেষটা তারা রাঙিয়েছে দারুণ এক জয় দিয়ে। তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে অপ্রত্যাশিত ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। প্রাথমিক এই ব্যাটিং ব্যর্থতার পর অধিনায়ক সাইফ হাসানের ওয়ানডে মেজাজের এক ফিফটিতে টেনেটুনে ১১৬ রান করে টাইগাররা। এই পুঁজি নিয়ে ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত চলে তুমুল লড়াই। এদিকে শেষ ওভারে আফিফকে বোলিং দেওয়ার ব্যাখ্যা দিয়ে অধিনায়ক সাইফ হাসান বলেছেন, ’আমাদের বোলিং অপশন লিমিটেড ছিল। উইকেট স্লো এবং আফিফ ভালো বল করেছে তাই আফিফকেই শেষ ওভার দেয়া হয়েছে। আমরা অবশ্যই ব্যাকফুট থেকে শেষ ওভার শুরু করেছিলাম এরপরও বিশ্বাস ছিল একটা উইকেট নিতে পারলে জিতব। আফিফ সেই কাজটি করেছে’।
পথরেখা/আসো