পথরেখা অনলাইন : বিশ্বে প্রতিবছর দুই কোটিরও বেশি মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। এর অন্যতম প্রধান কারণ উচ্চ রক্তচাপ। এটি নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জরুরি মন্তব্য করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হৃদরোগজনিত মৃত্যুর ৮০ ভাগ প্রতিরোধযোগ্য হলেও বাংলাদেশে হৃদরোগের ঝুঁকি এবং হৃদরোগজনিত মৃত্যু ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। তবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা গেলে উচ্চ রক্তচাপজনিত হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনও নিশ্চিত করতে হবে।
শনিবার বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে গ্লাবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের (জিএইচএআই) সহযোগিতায় গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা প্রগতির জন্য জ্ঞান) আয়োজিত বাংলাদেশে হৃদরোগ ঝুঁকি এবং করণীয় শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এসব তথ্য তুলে কথা বলেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও জনস্বাস্থ্যবিদরা। ওয়েবিনারে জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রতি চারজনে ১ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত। বিশ স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতিবছর ২ লাখ ৭৩ হাজার মানুষ হৃদরোগে মৃত্যুবরণ করে, যার ৫৪ শতাংশের জন্য দায়ী উচ্চ রক্তচাপ। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তদের (৩০-৭৯ বছর বয়সী) অর্ধেকই
জানে না যে তাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসাসেবা গ্রহণের হার খুবই কম, মাত্র ৩৮ শতাংশ। নিয়মিত ওষুধ সেবনের মাধ্যমে রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে মাত্র ১৫ শতাংশ অর্থাৎ প্রতি সাতজনে ১ জন।বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, তৃণমূল পর্যায়ে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং এ খাতে সরকারের বাজেট বৃদ্ধি করার মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপজনিত হৃদরোগ ঝুঁকি অনেকাংশেই মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।
ওয়েবিনারে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ইপিডেমিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, অসংক্রামক রোগজনিত মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ উচ্চ রক্তচাপ। এটি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে আসবে।বিনামূল্যে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ প্রদানের পাশাপাশি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপজনিত হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
পথরেখা/অআ