• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:৩৩

শতবর্ষ পর অলিম্পিক গেমসে চালু হচ্ছে ক্রিকেট

পথরেখা অনলাইন : এক আসর পর এশিয়ান গেমসে ফিরেছে ক্রিকেট খেলা। সেখান থেকে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী ক্রিকেট দল ব্রোঞ্জ পদক জয় করেছে। এবার ১২৮ বছর পর অলিম্পিকে ফিরছে ক্রিকেট। অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটলো। ক্রিকেটারদের শতবর্ষ পর হলেও বছরের লালিত স্বপ্ন অবশেষে সত্যি হতে যাচ্ছে। অলিম্পিকে ফিরছে বর্তমান সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা ক্রিকেট। বিশ্বের অন্যতম বড় ক্রীড়া আসর ধরা হয় অলিম্পিককে। সেই অলিম্পিকেই এতদিন ছিল না ক্রিকেটের মতো বৈশ্বিক একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। বিশ্বের ১০৮টি দেশ আইসিসি ক্রিকেট কাউন্সিলের সদস্য। এতবড় ক্রীড়াজজ্ঞে ক্রিকেটের মতো জনপ্রিয় খেলা না থাকায় অনেকদিন ধরেই এটা নিয়ে আলোচনা চলছিল। অবশেষে অলিম্পিকে ফিরলো ক্রিকেট। ১৯০০ সালে প্যারিস অলিম্পিকে প্রথম ও শেষবারের মত ক্রিকেট ইভেন্টে অংশ নিয়েছিল দেশগুলো। তবে অপেক্ষার অবসান হলেও ২০২৪ অলিম্পিকে ক্রিকেট থাকছে না। মূলত ২০২৮ লস এঞ্জেলস অলিম্পিক থেকেই ফিরছে ক্রিকেটের ইভেন্ট।
 
ভারতের মুম্বাইতে আগামী ১৫ ও ১৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবে কর্তৃপক্ষ। গতবছরের জুলাই থেকেই আইসিসি চেষ্টা করে যাচ্ছে ক্রিকেটকে অলিম্পিকে ফিরিয়ে আনতে। আইসিসি, মূলত অলিম্পিকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকেই প্রস্তুাব করেছে। যেখানে পুরুষ ও নারী উভয় ক্রিকেটেই ৬টি করে দল খেলবে। এই ছয়টি দল থাকবে আইসিসি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট র্যাংকিংয়ের শীর্ষ ৬টি দল। আইসিসির পক্ষ থেকে টি-টেন ও ওয়ানডের জন্যেও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। যা পরবর্তীতে অলিম্পিক কমিটি বাতিল করে দেয়। এখনো টুর্নামেন্ট কী রকম হবে সেটি নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে দ্রুতই সেটি হবে বলে আশা ব্যক্ত করেছে আইসিসি।
 
অনেকের মতেই অলিম্পিক গেমসই ‘দ্যা গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’। বিশ্বের প্রায় সকল ক্রীড়া ইভেন্ট আর বিশ্বসেরা তারকাদের এক মিলনমেলা এই অলিম্পিক। প্রতি চার বছর পর পর বসে এই অলিম্পিকের আসর, যেখানে অংশগ্রহণ করতে মুখিয়ে থাকেন ক্রীড়াবিদরা। তবে সারাবিশ্বের সবরকমের ক্রীড়া ইভেন্ট দেখা গেলেও অলিম্পিকে উপেক্ষিতই রয়ে গিয়েছে ক্রিকেট। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় এই খেলা ঠিক কী কারণে নেই, তার যৌক্তিক ব্যাখ্যাও দেয়া হয়নি কখনোই। তবে আশার কথা, লম্বা সময় পর ক্রিকেট ফিরে আসতে পারে অলিম্পিকে। অলিম্পিকে ক্রিকেট শেষবার দেখা গিয়েছিল ১৯০০ সালে। সেবার গ্রেট ব্রিটেন স্বর্ণ ও ফ্রেঞ্চ এথলেটিক ক্লাব ইউনিয়ন রৌপ্য জয় করে।
 
এরপর থেকে আর ক্রিকেট খেলা হয়নি বৈশ্বিক এই প্রতিযোগিতায়। ১৯৮৬ সালে অ্যাথেন্স অলিম্পিকে ক্রিকেট রাখা হলেও পর্যাপ্ত সংখ্যক দল অংশ না নেওয়ায় শেষপর্যন্ত মাঠে গড়ায়নি কোনো বল। তবে এরপর থেকে নিয়মিত চেষ্টা করা হয়েছে ক্রিকেটকে অলিম্পিকে ফিরিয়ে আনার জন্য। ২০২৪ অলিম্পিক আসরে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্তির জন্য আইসিসি চেষ্টা করলেও তা আর হয়নি। তবে ২০২৮ লস এঞ্জেলেস অলিম্পিকে ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্তি অনেকটাই নিশ্চিত। খোদ অলিম্পিক কমিটিই এবার ক্রিকেট অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করেছে। খবরটি নিশ্চিত করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। আইসিসির চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলে বলেন, 'আমরা অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি, এলএ২৮ অলিম্পিকে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করেছে। যদিও এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। এক শতকেরও বেশি সময় পর ক্রিকেটের অন্তর্ভুক্তির এই সম্ভাবনা বড় এক পদক্ষেপ’। এখন শুধু সময় পরিবর্তনের অপেক্ষা।
 
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহেই অলিম্পিকে ক্রিকেট ফেরানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। ক্রিকেট ছাড়াও ফ্ল্যাগ ফুটবল বা রাগবি, স্কোয়াশ, বেসবল এবং ল্যাকরোশকে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে কথা চলছে। সব ঠিক থাকলে ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে যুক্ত হবে নতুন এই পাঁচ ইভেন্ট। 
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।