• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:৪০

বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলা হচ্ছে না

পথরেখা অনলাইন : ভারতের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে টানা পরাজয়ে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশ দল। টানা হারের ব্যবধানগুলোও হচ্ছে অনেক বেশি। বড় ব্যবধানে পরাজয়ে নেট রানরেটের বেহাল দশায় পয়েন্ট টেবিলের শেষের দিকে রয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। অনেকটা হতশ্রী পারফরম্যান্সের কারণে আগামী চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নাও খেলতে পারে বাংলাদেশ। আট দল নিয়ে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হবে পাকিস্তানে। সেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে কারা খেলবে তা নির্ভর করছে ২০২৩ বিশ্বকাপের ওপর। ক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, ভারতে চলমান বিশ্বকাপের লিগ পর্যায়ের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ সাত দল ও আয়োজক পাকিস্তান খেলবে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। তাতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড। দুটো দলই টুর্নামেন্টে একটি করে ম্যাচ জিতেছে। ৯ নম্বরে থাকা বাংলাদেশের নেট রানরেট-১.৩৩৮ ও আর ১০ নম্বরে থাকা ইংল্যান্ডের নেট রানরেট-১.৬৩৪। বলা দুই দলের মধ্যে দশম স্থানটি পেতে একরকম লড়াই হচ্ছে। গ্রুপ পর্যায়ে বাংলাদেশের ম্যাচ বাকি রয়েছে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
 
অন্যদিকে পাঁচ, ছয়, সাত ও আট নম্বরে থাকা শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নেদারল্যান্ডস, প্রতিটি দলেরই চার পয়েন্ট। তাদের নেট রানরেট মাইনাস হলেও বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে কোন আটটি দল খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে, তা ২০২১ আইসিসির বোর্ড সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল বলে আইসিসির এক মুখপাত্র ক্রিকইনফোকে নিশ্চিত করেছেন। ২০১৭ তে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হয়েছিল। মাঝে চলে যায় চার বছরেরও বেশি সময়। ২ বছর আগে সেই সভায় ২০২৪-৩১ চক্রে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ফেরানোর কথা বলা হয়। এতে অনেক ক্রিকেট বোর্ডই অবাক হয়েছে। তাদের মতে, এটা তারা জানতই না। একই সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ডের মতো দলগুলো খেলতে পারবে না চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। কেননা তারা যে ২০২৩ বিশ্বকাপ খেলতেই পারেনি। ২০১৩,২০১৭ দুটো চ্যাম্পিয়নস ট্রফিই হয়েছিল আট দল নিয়ে।
 
তখন নির্ধারিত সময়ের (কাট অফ টাইম) মধ্যে ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে যারা সেরা আটে ছিল, তারাই খেলতে পেরেছিল চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ক্ষেত্রে পয়েন্ট তালিকায় সেরা সাত দলসহ পাকিস্তানকে নিয়ে খেলার সিদ্ধান্ত আইসিসির কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। আইসিসি বোর্ড সেটা সুপারিশ করেছে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অবস্থা রীতিমতো ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি! যেন কোনোরকমে শেষ হলেই হাফ ছেড়ে বাঁচে টাইগাররা! এমন খারাপ সময়ে সাকিবদের জন্য আরো এক দুঃসংবাদ। ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হবে ৮ দল নিয়ে, এটা আগেই জানিয়েছিল আইসিসি। তবে কিসের ভিত্তিতে নির্বাচন করা হবে এই ৮ দল, তা নিয়ে এতদিন ধোয়াশা ছিল। এবার আইসিসির এক সূত্রের বরাত দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কারা খেলতে পারবে, তা পরিষ্কার করেছে ইএসপিএন ক্রিকইনফো। ক্রিকেটভিত্তিক ভারতীয় এই অনলাইন পোর্টাল বলছে, আসন্ন ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আয়োজক হিসেবে সরাসরি খেলবে পাকিস্তান।
 
আর চলমান বিশ্বকাপের লিগ পর্বের খেলা শেষে পয়েন্ট টেবিলের সেরা সাত দল জায়গা পাবে সেই আসরে। যদি পাকিস্তান সেরা সাতে থাকে তাহলে সবমিলিয়ে সেরা আটে থাকলেও সুযোগ মিলবে আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার। ভারত বিশ্বকাপে অনেকেই বড় সম্ভাবনা দেখেছিলেন বাংলাদেশের। তবে মাঠের পারফরম্যান্সে সেটা এখনো দেখা যায়নি। বরং সমর্থকদের হতাশই করেছেন সাকিবরা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রত্যাশিত এক জয় ছাড়া পাওয়ার মতো আর কিছুই করতে পারেনি তারা। উল্টো বড় ব্যবধানে হেরে সমালোচনার মুখে টাইগাররা। এখন সেরা আটে থাকতে হলে অন্তত আরো দুই ম্যাচ জিততে হবে টাইগারদের। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হারা বাংলাদেশের জন্য এই সমীকরণ মেলানো এখন বামন হয়ে আকাশের চাঁদ ধরার মতো ব্যাপারই! বাংলাদেশ ক্রিকেট দল বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিলো সেমিফাইনাল লক্ষ্য করে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে শেষের দিক থেকে ‘প্রথম’ হয়েই হয়তো দেশে ফিরতে হবে। নেদারল্যান্ডসের কাছে ৮৭ রানের লজ্জাজনক পরাজয়ের পর এখন এমন শঙ্কা এসেই যায়। শেষের দিকে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করার শঙ্কা থেকে আরও একটি সংশয় উঁকি দিচ্ছে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের সামনে।
 
সেটা হলো, আগামী আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে না পার নিয়ে। কারণ, আইসিসি নতুন করে নিয়ম তৈরি করেছে, স্বাগতিক পাকিস্তান ছাড়া বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ সাত দেশ সুযোগ পাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার। সুতরাং, ২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে হলে বাংলাদেশকে অবশ্যই সেরা সাতটি দলের মধ্যে থেকে এবারের বিশ্বকাপ শেষ করতে হবে। নেদারল্যান্ডসের কাছে পরাজয়ের পর সেরা সাতটি দলের মধ্যে থাকতে পারবে কি না- তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ডাচদের কাছে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে সাকিব আল হাসান জানিয়েছেন, বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলার সুযোগ না পেলেও পরের ম্যাচগুলো জিততে চান তিনি। শুধুমাত্র চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জায়গা করে নেয়ার জন্য। ২০২৫ সালে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরবর্তী আসর। সেখানে কারা অংশ নেবে এ ব্যাপারে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি আইসিসি।
পথরেখা/আসো 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।