• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:৩১

শেষ বলে ছক্কায় ভারতের জয়

পথরেখা অনলাইন : বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের বদলা নিয়েছে ভারত। যদিও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ের প্রথম ম্যাচেও বর্ণহীন ভারতীয় দলের বোলিং হতাশ সৃষ্টি করেছিল। প্রথমে ব্যাট করে জশ ইংলিসের আগ্রাসী শতরানের সুবাদে ম্যাথু ওয়েডের দল করে ৩ উইকেটে ২০৮ রান। ভারতীয় ব্যাটারদের পাল্টা দাপটে কুপোকাত চ্যাম্পিয়ন শিবির। অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব, ইশান ও রিঙ্কু সিংহদের লড়াই টান টান ম্যাচে ভারতকে জয় এনে দিল ২ উইকেটে । শেষ বলে ছক্কা মেরে ৮ উইকেটে ২০৯ রান তুলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারত। 
 
জয়ের জন্য ২০৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের উইকেট হারায় ভারত। কোনও বল খেলার আগেই রানেআউট হন তিনি। তৃতীয় ভারতীয় হিসাবে ডায়মন্ড ডাক করলেন রুতুরাজ। এর আগে এমন লজ্জার নজির রয়েছে অমিত মিশ্র এবং যশপ্রীত বুমরার। অন্য ওপেনার যশস্বী জয়সওয়ালও বড় রান পেলেন না। ৮ বলে ২টি চার এবং ২টি ছয়ের সাহায্যে ২১ রান করে আউট হলেন ম্যাথু শর্টের বলে। ২২ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ভারতের ইনিংসের হাল ধরেন ঈশান কিশন এবং সূর্যকুমার যাদব।
 
বিশ্বকাপে রান না পাওয়া সূর্যকুমারকে আবার চেনা মেজাজে দেখা গেল ২০ ওভারের ক্রিকেটে। দু’জনের মধ্যে তিনিই বেশি আগ্রাসী ছিলেন। তাঁদের তৃতীয় উইকেটের জুটিতে উঠল ১১২ রান। ইশান খেললেন ৩৯ বলে ৫৮ রানের ইনিংস। ২টি চার এবং ৫টি ছক্কা মারলেন তিনি। রান পেলেন না তিলক বর্মা (১০ বলে ১২)। ছয় নম্বরে নেমে আগ্রাসী ব্যাটিং করলেন রিঙ্কু সিংহ। উইকেটের অন্য প্রান্তে অবিচল ছিলেন সূর্যকুমারও। তিনি করলেন ৪২ বলে ৮০ রান। অধিনায়কের ব্যাট থেকে এল ৯টি চার এবং ৪টি ছয়। তিনিই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার পেলেন।
 
ব্যর্থ অক্ষর প্যাটেল (২)। শেষ বেলায় সহজ পরিস্থিতিতে উইকেট ছুড়ে দিলেন তিনি। অকারণ তাড়াহুড়ো করে পর পর আউট হলেন রবি বিষ্ণোই, আরশদীপ সিংহেরা। সহজ পরিস্থিতি কঠিন করে জিতল ভারত। তবে শেষ বলে ঠান্ডা মাথায় জয় এনে দিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের রিঙ্কু। তিনি শেষ পর্যন্ত করলেন ১৪ বলে ২২ রান। মারলেন ৪টি চার। শেষ বলে জয়ের জন্য ভারতের দরকার ছিল ১ রান। সেই বলে রিঙ্কুর ছক্কা মূল্যহীন হয়ে গেল সিন অ্যাবট ‘নো’ বল করায়। ফলে ১ বল বাকি থাকতেই ৮ উইকেটে ২০৯ রান তুলে জয় পেল ভারত।
 
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ৪৭ রান খরচ করে ২ উইকেট নিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত তনবীর সাঙ্ঘা। জেসন বেহরেনড্রফ অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সফল বোলার। তিনি ২৫ দিয়ে ১ উইকেট নিলেন। মার্কাস স্টোইনিস ৩ ওভারে দিলেন ৩৬ রান। নাথান এলিস খরচ করলেন ৪৪ রান। শর্টের ১৩ রানে ১ উইকেট। অ্যাবট ৪৩ রান দিয়ে ১ উইকেট নিলেন।
 
বিশাখাপত্তনমের ২২ গজে সুবিধা করতে পারেননি ভারতের বোলারেরাও। যদিও টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারতের নতুন অধিনায়ক সূর্যকুমার। এ দিন অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শুরু করেন স্টিভ স্মিথ এবং শর্ট। শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে খেলতে শুরু করেন অসি ওপেনারেরা। যদিও শর্ট বড় রান পেলেন না। রবি বিষ্ণোইয়ের বলে শর্ট ১১ বলে ১৩ রান করে আউট হলেও তার প্রভাব পড়ল না অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে। তিন নম্বরে নামা ইংলিস এবং স্মিথ দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে তুললেন ১৩০ রান। যা কার্যত চালকের আসনে বসিয়ে দিল অস্ট্রেলিয়াকে। বিশ্বকাপ ফাইনালে রান না পাওয়া স্মিথ করলেন ৪১ বলে ৫২ রান। প্রথম বার ওপেন করতে নামা স্মিথে ব্যাট থেকে এল ৮টি চার।
 
অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস ভাল জায়গায় পৌঁছাল মূলত ইংলিসের দাপুটে ইনিংসের জন্য। ক্রিকেটজীবনে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথম শতরান পেলেন অসি ব্যাটার। ৫০ বলে ১১০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেললেন তিনি। তাঁর ব্যাট থেকে এল ১১টি চার এবং ৮টি ছক্কা। শেষ পর্যন্ত ২২ গজে ছিলেন মার্কাস স্টোইনিস এবং টিম ডেভিড। স্টোইনিস করলেন অপরাজিত ৭ রান। ডেভিডের ব্যাট থেকে এল অপরাজিত ১৯ রানের ইনিংস।
 
আরশদীপ সিংহ আর মুকেশ কুমার ছাড়া কোনও বোলার ভরসা দিতে পারেননি অধিনায়ক সূর্যকুমারকে। আরশদীপ দিলেন ৪৩ রান। চোটের জন্য বিশ্বকাপ দল থেকে শেষ মুহূর্তে বাদ পড়া অক্ষর দিলেন ৩২ রান। হতাশ করলেন বিশ্বকাপের মাঝ পথে ভারতীয় দলে ঢোকা প্রসিদ্ধ কৃষ্ণও। তিনি ইংলিশের উইকেট পেলেও দিলেন ৫০ রান। বিষ্ণোই ১ উইকেট পেলেও খরচ করলেন ৫৪ রান। ৪ ওভারে বাংলার মুকেশ কুমার দিলেন ২৯ রান। শেষের দিকে ভাল বল করলেন তিনি। শেষ ওভারে দেন মাত্র ৫ রান।
পথরেখা/আসো
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।