পথরেখা অনলাইন : স্মৃতিশক্তি তুখোড় হলে অনেককিছুই জয় করা সহজ হয়ে যায়। স্মৃতি শক্তিশালী হলে নতুন জিনিস শিখতে এবং মুখস্ত করা সহজ হয়। এটি শিশুকে স্কুলে আরও ভালো পারফরম্যান্স করতে, অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে এবং প্রয়োজনীয় জীবন দক্ষতা তৈরি করতে সহায়তা করে। এমন অনেক খাবার আছে যা খেলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে আপনার শিশুর। স্মৃতিশক্তি হবে প্রখর!আসুন তাহলে জেনে নেই
মায়ের দুধঃ একেবারে ছোটবেলা থেকেই নজর থাকুক শিশুর মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর ওপর। অন্তত ছয় মাস শুধু বুকের দুধই খাওয়ান ওকে। মায়ের দুধই ওকে করে তুলবে তুখোড়, মেধাবী!
ডিমঃ ৮ মাস থেকে কুসুম দিয়েই হোক ডিম-সূচনা। ডিম থেকেই প্রয়োজনীয় আয়রন পাবে । মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সরবরাহও থাকবে নিয়মিত। বিকাশ হবে ওর চিন্তাশক্তি ও বুদ্ধিমত্তার।
শুকনো ফলঃ শিশুর বয়স বছর পের হলেই আমন্ড-আখরোট, কাজু-কিশমিশ, খেজুরের মতো শুকনো ফল খাবার তালিকায় রাখুন। এতে ওর মেধার বিকাশ হবে খুব তাড়াতাড়ি।
জাম ও জামজাতীয় ফলঃ শিশুর বয়স বছর পের হলেই খাবার তালিকায় রাখতে পারেন জাম, লিচু, স্ট্রবেরী, আঙুরের মতো ফল। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মস্তিষ্কের কোষের ক্ষয় রোধ করে, কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
শাকসবজিঃ সবুজ শাক-সবজি (বাঁধা কপি, পালং শাক)-তে থাকা ভিটামিন কে, বিটা ক্যারোটিন বাড়িয়ে তোলে আপনার শিশুর মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা। সেই সাথে জরুরি টমেটোও। টমেটোই বাড়াবে স্মৃতিশক্তি!
ডার্ক চকোলেটঃ ডার্ক চকোলেটে থাকে ৭৫% কোকো যা বাড়ন্ত বাচ্চার মেধা ও বুদ্ধি বিকাশের জন্য খুবই উপকারী। ডার্ক চকোলেটই ওর মস্তিষ্কের নিউরন তৈরি করবে, নতুন জিনিস মনে রাখতে সাহায্য করবে!
সামুদ্রিক মাছ ও মাছের তেলঃ মস্তিষ্কে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিডের ৪০%-ই হচ্ছে ডিএইচএ, যার উৎস সামুদ্রিক মাছ ও মাছের তেল! অবর্শই আপনার শিশুর খাবার তালিকায় সপ্তাহে অন্তত ৩টি দিন মাছ রাখুন।
পথরেখা/অআ