পথরেখা অনলাইন : শীতকাল শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ত্বকের সমস্যাও শুরু হয়ে যায়। ত্বকে জ্বালা এবং শুষ্ক দাগ এই সব সমস্যাই দেখা যায়। এই সময় ত্বককে হাইড্রেটেড রাখা খুবই জরুরি। ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে অনেকেই অনেক ধরনের ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন। সেইসব ক্রিম ছাড়াও প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের যত্ন নিন। অ্যালো ভেরা গুণ নিয়ে আমরা সবাই পরিচিত। অ্যালো ভেরার পাতার ভিতর থেকে বের করা জেল- চুলকানি, শুষ্কতার সমস্যা দূর করে। এই জেল অ্যান্টি-অক্সিডেন্টযুক্ত যা ত্বককে সতেজ রাখে। এছাড়াও এটি রুক্ষ ত্বককে হাইড্রেট ও ময়শ্চারাইজ করে।
হলুদ শুধুমাত্র রান্নার স্বাদ বাড়ানোর কাজে ব্যবহৃত হয় না। হলুদের অনেক গুণাগুণ। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে হলুদ বেশ উপকারী। শুষ্ক ত্বকের পাশাপাশি ফাটা ঠোঁটের পরিচর্যাতেও হলুদ খুবই উপকারী। এছাড়াও এতে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ত্বকের চুলকানি এবং শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে।
তিসির বীজ বা ফ্ল্যাক্স সিডের একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এই কারণেই অনেকেই এই বীজকে নিজেদের খাদ্য তালিকায় রাখেন। এই বীজ আপনার অ্যাকনের পাশাপাশি শীতের শুষ্কতার সমস্যা মোকাবেলায় সাহায্য করে।
শরীরে পুষ্টি জোগানোর পাশাপাশি ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ভিটামিন ই যথেষ্ট কার্যকরী। এটি ত্বককে ভিতর থেকে আর্দ্র করে তোলে। এটি ত্বকের ফোলা ও জ্বালা জ্বালা ভাব অনেকটাই কমিয়ে দেয়। শুষ্কতার হাত থেকে রেহাই পেতে ব্যবহার করুন নারকেল তেল। বহু গুণে সমৃদ্ধ এই তেল। নারকেলে অ্যান্টি অক্সিজেন্ট ও অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল রয়েছে, যা ত্বকের জন্য দারুণ ভাল কাজ করে। এছাড়াও রুক্ষ ও শুষ্ক চুলে দ্রুত এবং খুব ভাল কাজ করে এই তেল। অলিভ অয়েল শীতকালে শুষ্কতা বিরুদ্ধে ম্যাজিকের মত কাজ করে। এতে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শুধু মুখ নয়, সারা শরীরের ত্বকের যত্ন নেয়।
পথরেখা/অআ