• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০০:৫৫

গল্পে গল্পে ক্রীড়াঙ্গন

ক্রীড়াঙ্গন আর রাজনীতি একবারে আলাদা করার উপায় নাই। মেজর হাফিজ বিএনপির এই নেতা ছিলেন সাড়া জাগানোর ফুটবলার। ছিলেন ভাল ক্রিকেটার। ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ছিলেন দেশ শ্রেষ্ঠ। ইনু সাহেব-সালাম মুর্শেদি-মাশরাফি-জয় এমন বহু নাম করা যায় যারা রাজনীতিতে অশার আগে ক্রীড়াঙ্গনে জড়িত ছিলেন। পাকিস্তানের ক্রিকেটার ইমরান খান দেশের প্রধানমন্ত্রীও ছিলেন।
 
জানা মতে এদের সময় ক্রীড়াঙ্গনে টাকার গাছ লাগান হয় নাই, তাই টাকার ফুলঝরিও ছিল না। তবে সব সময়ই রাজনীতিতে টাকার স্রোত বিদ্যমান ছিল। যে টাকা ক্রীড়াংগনের জন্য বরাদ্দ হয় তা যদি সুষ্ঠু বাটোয়ারা হত তবে আমাদের ক্রীড়াঙ্গন হত দেশ বিদেশের এক আদর্শ এলাকা। সমগ্র বিশ্বকে হকচকিয়ে দিয়ে আমাদের আছে দোকানসহ স্টেডিয়াম। এই দোকানের বরাদ্দ, সালামি, ভাড়া এ থেকে আয়, তারপরও ক্রীড়ামহল গরীব। এ সব টাকা যায় কোথায়? ক্রীড়া মন্ত্রনালয়, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এনাদের কর্তা সাহেবরা ভাল জানেন।
 
সাকিব সাহেব এবার ভোটে দাঁড়িয়েছেন। টাকার প্রতি উনার বিশেস মোহ সর্বজন বিদিত। ক্রীড়ামহলের টাকা উড়ে বেরায়, একা পকেটস্থ করার বাসিন্দাদের মধ্যে সাকিব সাহেব ঢুকে না পরার কোনো কারণ নাই। এত বড় প্লেয়ার তয় টাকার লোভ এক করতে দ্বিধা লাগে তবে তার কর্মকাণ্ড তাকে আজ এ পর্য়ায়ে দাড়া করিয়েছে। শেখ হাসিনা-যুগ এখন, কলাগাছ দাড় করালেও জয়ী হয়ে আসবে। সাকিবও জয়ী হবে তবে তিনি ব্যর্থ ক্যাপ্টেন হয়েও যখন মনোয়ন পেয়েছেন তখন জিত হবেই। তারপর অভাবি এ ক্রীড়ামহল সর্ব ক্ষেত্রে অপেশাদারিত্বে চালুনির মতন শত ছিদ্রে জর্জরিত  সেখান একজন ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের দরকার ছিলই। সাকিব হতে পারত সেই বীর কিন্তু ব্যাক ট্রাক’ করলে নিরাশাই সামনে আসে।
 
আ যে গপ্পো- বিল কিতনা  হুয়া ? 
-খানা পিনা কুছ নেহি, গ্লাস তোরা আট আনা’
আমাদের আসল কাজ থেকে বেহুদা কাজেই সময় আর টাকার শ্রাদ্ধ করি।
 
এইত কয় দিন আগে সিংগাপুরে ৪০ প্লাস হকি দল পাঁচ খেলায় ৪৭ গোল খেয়ে আসল। কেনা কাটা বিমান ভাড়া হোটেল থাকা তে ডলার ব্যয়ে, গোল দিতে পারি নাই, ডলার দিছি। এ সব অযাচিত ব্যয় বন্ধ করবে কে? মেশিনে যে তেল উৎপাদন হয় মেশিন সচল রাখতে সেই তেল মেশিনই ঢালতে হয়।
 
ক্রীড়া মহলের সমস্যা চিহ্নিত করার লোক মনে হয় প্রশাসনে নাই। “কারার ঐ লৌহ কপাট ভেংগে ফেল করলে লোপাট”- এখন লৌহ কপাটই ক্রীড়ামহলের কর্তারা খুঁজে পায় না। পাইলেই সমস্যার সমাধান হবেই। চেষ্টার শেষ নাই। দেশে সমস্যা খুঁজছে, পাচ্ছে না। এখন বিদেশ ঘুরছে সমস্যা ধরে এনে সমাধান করবেই।
সমস্যার এবার রক্ষা নাই।
 
লেখক : সাবেক হকি অধিনায়ক জাতীয় ও সেনাবাহিনী দল, জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপ্ত খেলোয়াড় এবং সদস্য আন্তর্জাতিক  স্পোর্টস প্রেস  এসোশিয়েসন
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।