• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:৪১
সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু ৩০ নভেম্বর

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লড়াই করার প্রত্যয়

পথরেখা অনলাইন : বিশ্বকাপে নয় ম্যাচের মধ্যে মাত্র দুটিতে জিতেছে বাংলাদেশ দল। যার ফলস্বরুপ জার্সি স্পন্সর হারিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দারাজের সঙ্গে চুক্তি ছিল। কিন্তু প্রতিষ্টানটি আর চুক্তি বাড়াতে রাজি না হওয়ায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মঙ্গলবার শুরু হওয়া প্রথম টেস্টে স্পন্সর ছাড়াই মাঠে নামতে হবে বাংলাদেশকে। যদি এই সময়ের মধ্যে স্পন্সর জোগাড় করতে পারে তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানের নাম থাকবে। এছাড়া আঙ্গুলের ইনজুরির কারণে এই সিরিজে থাকছেন না সাকিব আল হাসান। এরই মধ্যে তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। এই বাহাতি অলরাউন্ডারকে ছাড়াই মাঠে নামতে হবে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেষ্টটি মাঠে গড়াতে যাচ্ছে। সকাল সাড়ে নয়টায় ম্যাচটি শুরু হবে। এই ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপের দুঃখ ভুলে আবারও মাঠে নামতে যাচ্ছে লাল সবুজ প্রতিনিধিরা। কিন্তু এই টেস্টে দলের গুরুত্বপূর্ন তিন খেলোয়াড়কে পাচ্ছে না স্বাগতিকরা। সাদা পোশাকের নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এমনকি সহ-অধিনায়ক লিটন দাসও নেই। পাওয়া যাচ্ছে না নানা নাটকীয়তার মধ্যদিয়ে যাওয়া তামিম ইকবালকেও। পুনর্বাসনের মধ্যে আছে পেসার ইবাদত হোসেন ও তাসকিন আহমেদও থাকছেন না এই সিরিজে।
 
সিরিজে অভিজ্ঞদের মধ্যে আছেন কেবল মুশফিকুর রহিম আর মুমিনুল হক সৌরভ। একঝাঁক নিয়মিত ক্রিকেটার নেই এবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে। সেরা দল না পাওয়া নিয়ে আক্ষেপ করছেন না প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। এটিকে যতটা না চ্যালেঞ্জ, তার চেয়ে বেশি সম্ভাবনা হিসেবেই দেখছেন তিনি। কোচের মতে, নতুনদের জন্য এটি বড় সুযোগ। তার কাছে মনে হচ্ছে দলের তরুণদের এগিয়ে যাওয়ার এখনই সময়। সাকিব-লিটনের অনুপস্থিতিতে এই টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দেবেন নাজমুল হোসেন শান্ত। যিনি এখন পর্যন্ত খেলেছেন ২৩ টেস্ট। সিলেটে সংবাদ সম্মেলনে কোচ হাথুরুসিংহে বলেন, ‘আমাদের তাসকিন, ইবাদতও নেই। এতোজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে না পাওয়া যেকোনো দলের জন্যই চ্যালেঞ্জিং। বিশেষ করে বাংলাদেশের জন্য। কারণ, তারা সবাই তিন সংস্করণের ক্রিকেটই খেলে। কেউ ১৫ বছর ধরে খেলছে, আবার কেউ খেলছে ১০ বছর ধরে। এজন্য বলছিলাম একটা দিক থেকে আমরা সামনে তাকাতে পারি। তরুণরা সেটা করতে পারে। সামনে এগিয়ে যাওয়ার এটাই সঠিক সময়। কারণ, কয়েকজন ক্রিকেটার লম্বা সময় ধরে খেলছে। তারা সারাজীবন খেলবে না। এটা অবশ্য অনেকগুলো কারণে ঘটেছে। আমার মনে হয় এটা রোমাঞ্চকর’।
 
নাজমুল হোসেন শান্তকে এই দলের অধিনায়ক করা হয়েছে। মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসান, সাদমান ইসলামরা জাতীয় ক্রিকেট লিগে ভালো খেলেছেন। মুশফিক, শান্ত বিশ্বকাপ থেকে ফেরার পর এক রাউন্ডের ম্যাচ খেলেছেন। এছাড়া খালেদ, শাহাদাত, হাসান মুরাদরা, নাঈম হাসানরা রয়েছেন ছন্দে। মুমিনুল হক অপেক্ষায় ভালো কিছু করার। জাতীয় লিগে খেলোয়াড়রা খেলায় প্রস্তুতিতে সন্তুষ্টির আভাস মিলল অধিনায়কের কথায়, ‘যারা বিশ্বকাপ খেলেছে তাদের জন্য আমরা এনসিএলকে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছি। প্রস্তুতির জন্য তারা এনসিএলের শেষ রাউন্ড খেলেছে। বেশিরভাগ ব্যাটারই সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে। বাকিদের মধ্যে বেশিরভাগই এনসিএল খেলছিল। এটা দেখতে প্রায় নতুন বাংলাদেশের মতো। জোর করে এমন কিছু করা হয়নি। কিছু চোটে কারণে এমনটা হয়েছে। আমরা যতটা পারি ততটা প্রস্তুত। সত্যি বলতে টেস্ট সিরিজের জন্য আমি মুখিয়ে আছি।’ একাধিক অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের সঙ্গে তরুণ ক্রিকেটারদেরও স্কোয়াডে রেখে আবারও পরখ করতে চাইছেন হাথুরুসিংহে। এবার কিউইদের হারিয়ে বিশ্বকাপের ব্যর্থতা ভুলতে চান স্বাগতিকরা।
 
প্রতিপক্ষ শক্ত হওয়ায় সেটি মোটেও সহজ হবে না বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা। বলা যা, বাংলাদেশের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জই অপেক্ষা করছে। সিলেটের উইকেটের ঐতিহ্যের কারণেও একদম টানিং উইকেট পাওয়া কঠিন। এমনিতে বেশ ভালো বাউন্স থাকায় সিলেটে ব্যাটাররা পান বাড়তি সুবিধা। ইনিংসের শুরুর দিকে প্রভাব বিস্তার করেন পেসাররা। ঘরের মাঠে টেস্টে স্পিনই বাংলাদেশের প্রধান শক্তি। আর খেলা যদি হয় উপমহাদেশের বাইরের কোন দলের বিপক্ষে তাহলে তো কথাই নেই। সহজ এই পথেই হাঁটা অনুমেয়। তবে সিলেট টেস্টে এত সহজে সমাধান টানা যাচ্ছে না। বাংলাদেশে খেলা বলেই প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড তেমন প্রস্তুত হয়েই এসেছে। মাত্র তিন পেসারের সঙ্গে স্কোয়াডে রেখেছে বিশেষজ্ঞ চার স্পিনার। উপমহাদেশের বাইরের অন্য দলগুলোর তুলনায় কিউইরা স্পিনেও অনেক পারদর্শী। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাই একদম টার্নিং উইকেট দিলে ঝুঁকিটা বাংলাদেশের জন্যও থাকবে বেশি। বাংলাদেশের ব্যাটারদের তুলনায় স্পিন বরং ভালোই সামলান ব্ল্যাক ক্যাপসরা।
পথরেখা/আসো
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।