• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:১৩

বিকেলে রঙে রঙিন বাংলাদেশে

পথরেখা অনরাইন : সিলেট টেস্টের প্রথমদিনে ৩১০ রানে ৯৮ উইকেট নিয়ে শেষ করেছিল। দ্বিতীয়দিন সকালে আর কোন রান যোগ না করেই বাকি উইকেটের পতন ঘটে। এরপর ব্যাট করতে নেমে ভালই জবাব দিচ্ছিল নিউজিল্যান্ড। অনেকবার জীবন পেয়ে সেঞ্চুরি করা কেন উইলিয়ামসন মাথা ব্যথার কারণ হলেও দিন শেষে কেটে গেছে সেই হতাশা। ১০৪ রানে সাবেক এই অধিনায়কের বিদায়ের পর ৮ উইকেটে ২৬৬ রান করে দিন শেষ করেছে। আলোর স্বল্পতার কারণে এদিন ১০ ওভার কম খেলতে হয়েছে দু’দলকে। নয়তো বাংলাদেশ প্রতিপক্ষকে অলআউট করার স্বাদ পেত। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের লিড নেওয়ার পথে সবচেয়ে বড় অন্তরায় ছিলেন উইলিয়ামসন। একটা প্রান্তে ধরে জুটির পর জুটি গড়ে যাচ্ছিলেন। টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৯তম সেঞ্চুরিও তুলে নেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। অবশেষে উইলিয়ামসনকে সাজঘরের পথ দেখিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। বাঁহাতি এই স্পিনারের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ডিফেন্স করেও বোল্ড হয়ে গেছেন উইলিয়ামসন। ২০৫ বলে ১০৪ রানের ধৈর্যশীল ইনিংসে ১১টি বাউন্ডারি হাঁকান কিউই তারকা। দিন শেষে কাইল জেমিসন ৭ আর টিম সাউদি ১ রানে অপরাজিত আছেন। তার আগে স্পিনার ইশ সোধি ফিরে যান কোন রান না করেই।
 
রানের হিসেবে কিউইরা এখনও পিছিয়ে আছে ৪৪ রানে। দ্বিতীয় দিনে ব্যাট করতে নেমে ৪৪ রানের মাথায় ২ উইকেট হারায় কিউইরা। সেখান থেকে ম্যাচ দখলে রাখেন কেন উইলিয়ামসন। জুটি গড়েন হেনরি নিকোলস, ড্যারেল মিচেল ও টস ব্লান্ডেলের সঙ্গে। একে একে সবাইকে ফেরান তাইজুল-মিরাজ-শরিফুল-নাইমরা। তবে ফেরাতে পারেননি আঠার মতো লেগে থাকা উইলিয়ামসনকে। এই ডানহাতি ব্যাটারের সঙ্গে জুটি গড়া নিকোলস ১৯ রান করে পেসার শরিফুলের শিকার হয়ে ফেরত যান। মিচেল আউট হন তাউজুলের ঘূর্ণিতে (৫৪ বলে ৪১)। নাইম হাসানের বলে আউট হওয়ার আগে ব্লান্ডেল করেছেন ৬ রান। এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ওপেন করেন ডেভন কনওয়ে ও টম ল্যাথাম। তাইজুল-মিরাজের ঘূর্ণিতে সেটি বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেননি তারা। দলীয় ৩৬ রানের মাথায় ল্যাথাম ও ৪৪ রানের মাথায় আউট হয়ে যান কনওয়ে। ল্যাথামকে ফেরান বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তাইজুলকে সুইপ খেলতে গিয়ে ফাইন লেগ অঞ্চলে নাইম হাসানের হাতে ক্যাচ হন ল্যাথাম। এরপর কনওয়েকে ফেরান অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ।
 
এই অলরাউন্ডারের বলে খেই হারিয়ে শর্টলেগে শাহাদাত হোসেনের তালুবন্দি হন এই কিউই ওপেনার। মধ্যাহ্নভোজের পর আউট হন নিকোলস। ৪২ বলে ১৯ রান করে শরিফুলের বলে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসানের হাতে ক্যাচ হন তিনি। তার আগে উইলিয়ামসনের সঙ্গে ৫৪ রানের জুটি করেছিলেন নিকোলস। একটা প্রান্ত ধরে ছিলেন কেন উইলিয়ামসন। একের পর এক জুটি গড়ে গেছেন। নিকোলসের সঙ্গে ৫৪, মিচেলের সঙ্গে ৬৬ রানের পর গ্লেন ফিলিপসের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটেও ৭৬ রান যোগ করেন তিনি। কিছুতেই জুটিটা ভাঙছিল না। অবশেষে কিউই ইনিংসের ৭৫তম ওভারে মুমিনুল হকের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। আর বল হাতে নিয়েই অধিনায়ককে উইকেট উপহার দেন মুমিনুল। টার্ন করা বল ফিলিপসের (৪২) ব্যাটে লেগে প্রথম স্লিপে গেলে নিচু ক্যাচ দারুণভাবে লুফে নেন শান্ত। বাংলাদেশকে পেলেই যেন জ্বলে ওঠে কেন উইলিয়ামসনের ব্যাট। ভেন্যু বদলায়, সংস্করণ বদলায়-উইলিয়াসনের ব্যাটে দেখা যায় রানের ফোয়াড়া। আর জীবন পেলে তিনি যে কতটা ভয়ংকর হয়ে ওঠেন, সেটা যে তাঁর ভালোই জানা। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে বেশ কিছু রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন উইলিয়ামসন।
 
জবাব দিতে নেমে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করতে নামা নিউজিল্যান্ডের ৩৬ রানে পড়ে যায় প্রথম উইকেট। এরপরই তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন উইলিয়াসন। তিনি আসার পর দলীয় ৪৪ রানে হারায় দ্বিতীয় উইকেট। দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর সাবধানী ব্যাটিং করতে থাকেন উইলিয়ামসন। পরিস্থিতি অনুযায়ী কীভাবে ব্যাটিং করতে হয়, সেটা তাঁর যেন ভালোই জানা। ৭৫ বলে তুলে নিয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩৪ তম ফিফটি। ফিফটি করলে তা সেঞ্চুরিতে পরিণত করার অভ্যাস তো উইলিয়াসমনের অনেক আগে থেকেই। সেখানে তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পথে তাইজুল ইসলামকে একটা ধন্যবাদ তিনি দিতেই পারেন। ৪৯ তম ওভারের শেষ বলে নাঈম হাসানকে স্লগ সুইপ করতে যান উইলিয়ামসন। মিড উইকেটে সেই সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেছেন তাইজুল। ৫৯ রানে জীবন পাওয়া উইলিয়ামসন টেস্টের ২৯ তম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। ৭৬ তম ওভারের চতুর্থ বলে নাঈমকে স্কয়ার লেগে ঠেলে পৌঁছে যান তিন অঙ্কে। ১৮৯ বল লেগেছে এই সেঞ্চুরি করতে। বাংলাদেশের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড ব্যাটারদের মধ্যে টেস্টে সর্বোচ্চ ৪ সেঞ্চুরি এখন উইলিয়ামসনের। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা টম লাথাম করেছেন ৩ সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের বিপক্ষে আরও রেকর্ড গড়েন উইলিয়ামসন। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৮৭ রান এখন তাঁর।
 
সংক্ষিপ্ত স্কোর (দ্বিতীয় দিন শেষে) , বাংলাদেশ : ৩১০/১০
নিউজিল্যান্ড : ২৬৬/৮ কেন উইলিয়ামসন ১০৪, গ্লেন ফিলিপস ৪২, ডারে মিচেল ৪১, তাইজুল ইসলাম ৪/৮৯, মুমিনুল হক ১/২, শরিফুল ইসলাম ১/৪৪, মেহেদি হাসান মিরাজ ১/৫৭, নাইম হাসান ১/৬১।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।