• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০০:৫৯

সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে জিততে চায় বাংলাদেশের মেয়েরা

  • ক্রীড়া -ফুটবল       
  • ৩০ নভেম্বর, ২০২৩       
  • ২৫০
  •       
  • ৩০-১১-২০২৩, ২১:৪৩:৩৩

পথরেখা অনলাইন : দীর্ঘদিন পর হলেও আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামছে বাংলাদেশের নারী জাতীয় দলের ফুটবলাররা। শুক্রবার সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে মাঠে নামতে যাচ্ছে সাবিনা খাতুনের দল। রাজধানীর কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বিকাল ৪ টায় ম্যাচটি শুরু হবে। 
 
গত সেপ্টেম্বরে এশিয়ান গেমসে খেলার পর প্রথমবার আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামছেন নারী জাতীয় দল। প্রতিপক্ষ ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১২ ধাপ এগিয়ে থাকা সিঙ্গাপুর। দুই দলের দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচটি একই স্টেডিয়ামে হবে ৪ঠা ডিসেম্বরে। দুটি ম্যাচেই জিততে চায় বাংলাদেশ। চীনের এশিয়ান গেমসে মেয়েদের অভিজ্ঞতা ভালো ছিল না মোটেও। তিন ম্যাচের দুটিতে হার ও এক ড্র নিয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ করে তলানিতে থেকে। ১৫ গোল হজম করে দিয়েছিল মাত্র ২টি। নেপালের বিপক্ষে ১-১ ড্র’ই ছিল একমাত্র তৃপ্তি। এরপর লেবাননের বিপক্ষে খেলার কথা থাকলেও ম্যাচটি আয়োজন করতে পারেনি বাফুফে। তবে প্রস্তুতির মধ্যেই ছিল মেয়েরা। সিঙ্গাপুর ম্যাচ নিয়ে কোচ সাইফুল বারী টিটুর আশাবাদী হওয়ার কারণগুলোর একটি এটি।
 
এর আগে ২০১৭ সালে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। তাদের বিপক্ষে ডেভেলপমেন্ট টুর্নামেন্টে ৩-০ গোলে হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে সাবিনাদের। অনেক বছর পর সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে খেলা নিয়ে অধিনায়ক সাবিনা বলেন, ‘আগের যে কোন সময়ের চেয়ে আমাদের বর্তমান দল অনেক ভারসাম্যপূর্ণ। দলে টেকনিক্যাল, ফিজিক্যাল সবদিকেই আমাদের উন্নতি হয়েছে। আশাকরি দর্শকরা মাঠে আসবেন, দুটি চ্যালেঞ্জিং ম্যাচ দেখবেন।’ তিনি যোগ করেন, ‘প্রতিটা ম্যাচেই দেখেছি আমরা গোল করলে দর্শকরাই যেন সবচেয়ে বেশি খুশি হন। দেশের ফুটবলের মান যেন রাখতে পারি, উন্নতির ধারাবাহিকতা রাখতে পারি, সেই চেষ্টাই সবাই মিলে করবো। দেশের মাটিতে খেলা, অবশ্যই জয়ের লক্ষ্য থাকবে।’ ছয় বছর আগে হেরে যাওয়া ওই ম্যাচে ছিলেন না মারিয়া মান্দাসহ বয়সভিত্তিক দলের অনেক সদস্যই। যারা এখন দলের অংশীদার, আবার সিনিয়রও হয়েছেন। তাদের জন্য ম্যাচটা আবার প্রতিশোধেরও।
 
লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অধিনায়ক বলেন, ‘আগে কি হয়েছে সেটা না ভেবে আমি মনে করি সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ভালো ম্যাচ হবে। দলের সবাই এখন ভালো খেলছে। মারিয়া ও মনিকা চাকমা যদি ভালো খেলা উপহার দিতে পারে, তাহলে ফল বের করে আনা সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হবে। এই দু’জনের প্রতি আমাদের সবসময় বাড়তি আত্মবিশ্বাস থাকে। মাসুরা এখন অনেক সিনিয়র, অনেক দায়িত্ব নিয়ে খেলে থাকে। এখন আমাদের কেউ পজিশন ধরে খেলে না, যে কেউ যেকোনো পজিশনে খেলতে পারে, এটাই দলের সবচেয়ে ভাল দিক।’ সহ-অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা মানেই বাংলাদেশের জয় আশা করা। আর আমাদের দেশের মাটিতে খেলার সুযোগ পেয়েছি, তাই সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে আমরা সর্বোচ্চটা দিয়ে খেলবো। এতদিন যে প্রস্তুতি নিয়েছি, সেটা আমরা ম্যাচ থেকে বুঝতে পারবো। কোথায় উন্নতি করতে হবে সেটা ম্যাচে দেখে নিতে পারবো। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে দুটি ম্যাচে চেষ্টা করবো ভালো খেলার। জিতে মাঠ ছাড়ার।’ ভালো প্রস্তুতির কথা জানিয়ে কোচ সাইফুল বারী টিটু বলেন, ‘এশিয়ান গেমসে আমরা প্রত্যাশানুসারে খেলতে পারিনি। সেখান থেকে ফেরার পর লেবাননের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে আমাদের খুব ভালো প্রস্তুতি ছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা ওই ম্যাচটা খেলতে পারিনি। ওটা খেলতে পারলে আমাদের অনেক কিছু পাওয়া হতো’।
 
টিটু আরও বলেন, ’সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ আয়োজনের জন্য বাফুফেকে ধন্যবাদ। আমাদের তো নিয়মিত বিরতিতে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলার সম্ভাবনা থাকে কম, সে হিসেবে আমরা এই ধরনের ম্যাচগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকি। প্রতি সপ্তাহে আমি ছয়দিনের ট্রেনিং করিয়েছি, কিন্তু অনুশীলনের বিষয়টি বুঝা যায় ম্যাচের মাধ্যমে। সেটা যদি ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচে হয়, তাহলে তো কথাই থাকে না। তাই আমরাও এখন প্রস্তুত। প্রতিপক্ষ সিঙ্গাপুর ম্যাচ নিয়ে টিটু বলেন, ‘সিঙ্গাপুর একটু অপরিচিত আমাদের কাছে। ওদের কোচ মরোক্কান করিম বেনচেরিফাকে আমি খুব ভালো করে চিনি। ভারতের মোহন বাগান, চার্চিল ব্রাদার্সে কাজ করেছে। মূলত চার্চিল ব্রাদার্সেই ওর সঙ্গে আমার দেখা’। নারী ফুটবলে বাংলাদেশ আর সিঙ্গাপুরের শক্তির পার্থক্য কাছাকাছি। সিঙ্গাপুর র‌্যাংকিয়ে এগিয়ে থাকলেও দূরত্বটা বেশি নয়। বাংলাদেশ ১৪২, সিঙ্গাপুর ১৩০। পরিসংখ্যানের বিচারে তাই দুই দলের লড়াইটা প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণই হওয়ার কথা। কিন্তু ৬ বছর আগে এই দুই দল যখন প্রথম মুখোমুখি হয়েছিল তখন কাগজ-কলমের শক্তির পার্থক্যটা মাঠে আরো বড় করে ফেলেছিল সিঙ্গাপুরের মেয়েরা। ঘরের মাঠ জালান বেসার স্টেডিয়ামে তারা গুনে গুনে ৩ গোল দিয়েছিল বাংলাদেশের জালে। ৬ বছর আগেও কাগজ-কলমের শক্তিতে বাংলাদেশের (১০৩) কাছাকাছিই ছিল সিঙ্গাপুর (৯২)। ওই সময় ১১ ধাপ এগিয়ে থাকা সিঙ্গাপুর এখন এগিয়ে ১২ ধাপ। দুই দেশই ৬ বছরে র‌্যাংকিংয়ে পিছিয়েছে। অর্ধযুগ পর আবার মুখোমুখি হচ্ছে দুই দেশ। এবার দুটি ম্যাচ সাবিনাদের ঘরের মাঠে। পাশাপাশি প্রতিশোধ নিয়ে সিরিজে এগিয়ে যাবারপ পালা।
পথরেখা/আসো
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।