পথরেখা অনলাইন : ফুলকপি বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় শীতকালীন সবজি। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের প্রধান সবজিগুলোর মধ্যে ফুলকপি অন্যতম। মোগল আমলে ভারতবর্ষে ফুলকপির চাষাবাদ প্রথম শুরু হয় বলে জানা যায়। বাংলাদেশের সর্বত্র ফুলকপির চাষ হয়। ফুলকপি উৎকৃষ্ট এবং উপাদেয়, সবার কাছে সমাদৃত।
অন্যতম গুণের একটি হল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা। যারা ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপজনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন, তারা ফুলকপি খাবারের তালিকায় অবশ্যই রাখবেন। ফুলকপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, প্রোটিন, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, ফাইবার ভিটামিন বি৬, ফলেট, পটাশিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ। যা কিনা মানব শরীরের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করতে সক্ষম। যারা নিয়মিত শারীরিক দুর্বলতার শিকার হন, তারা ফুলকপি বেশি বেশি করে খেতে পারেন।
প্রতি ১০০ গ্রাম ভক্ষণযোগ্য অংশে শ্বেতসার রয়েছে ৮ গ্রাম, আমিষ রয়েছে ২.৩ গ্রাম, নায়াসিন রয়েছে ১.৬ মিলিগ্রাম, ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে ৫০ মিলিগ্রাম। তাছাড়া আরও অন্যান্য খাদ্য উপাদান রয়েছে। ফুলকপি নাম শুনতেই মাথায় নানা রকমের রেসিপি ঘুরপাক খায়। ফুলকপির দম, ফুলকপির রোস্ট, চিলি ফুলকপি, ফুলকপির পাকোড়ার কথা মনে পড়তেই মুহূর্তের মধ্যে যেন জিভে পানি এসে যায়। তাই সারা শীতে জমিয়ে খেতে পারেন।
১. ফুলকপির মধ্যে প্রচুর ফাইবার রয়েছে। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখে।
২. প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
৩. ক্যালসিয়াম থাকায় হাড় ও দাঁতের গঠন মজবুত করে ফুলকপি।
৪. ফুলকপিতে ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক রয়েছে। যা শরীরের ক্ষয় রুখতে সাহায্য করে।
৫. গর্ভবতী নারীরা ফুলকপি খেতে পারেন। প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ এবং বি থাকায়, ফুলকপি ভ্রূণ গঠনে সাহায্য করে।
৬. ওজন কমাতে চাইলেও ফুলকপি খেতে পারেন। ১০০ গ্রাম ফুলকপিতে মাত্র ২৫ ক্যালরি রয়েছে।
৭. ফুলকপিতে ভিটামিন সি ও ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে। ত্বকের বলিরেখা রুখতে এর জুড়ি নেই।
পথরেখা/অআ