• সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪
    ২৭ কার্তিক ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৭:২৮

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে নামছে বাংলাদেশ

পথরেখা অনলাইন : সিলেট সিরিজের প্রথম টেস্টে ১৫০ রানে জয়ের পর বুধবার দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে খেলতে নামছে বাংলাদেশ। মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সকাল সাড়ে নয়টায় ম্যাচটি শুরু হবে। এই ম্যাচে বাংলাদেশের উইনিং কম্বিনেশন ভাঙ্গার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে একজন পেসারের সাথে আরো একজনকে নেওয়া হতে পারে। এছাড়া ম্যাচের আগেরদিন হঠাৎই আঙ্গুলে চোট পাওয়ায় স্পিনার নাঈম হাসানের খেলাও পড়ে গেছে শংকার মধ্যে। যদিও চিকিৎসকের কোন রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ চাইছে ঢাকা টেস্ট জিতে সিরিজ জিততে, অন্যদিকে কিউইরা ম্যাচ জিতে সিরিজ ড্র করতে চাইবে। বিশ্বকাপের আগে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করে নিউজিল্যান্ড। মিরপুরে সেই সিরিজে সেখানে লকি ফার্গুসুনের নেতৃত্বে ইশ সোধি তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে তুলে নিয়েছিল ৬ উইকেট। সেই সিরিজে টাইগারদের কোনো সুযোগই দেয়নি কিউইরা। কিন্তু এবার বাংলাদেশ সফরে এসে দেখছে সাদা পোশাকে উল্টো চিত্র। সিলেটে বড় ব্যবধানে হারের পরও ভেঙে পড়েনি টিম সাউদির দল। বিশেষ করে মিরপুর টেস্ট তাদের দিচ্ছে অন্যরকম অনুপ্রেরণা।
 
শুধু তাই নয়, প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের খেলা দেখেও নিজেদের ঘুরে দাঁড়ানোর পথ খুঁজে পেয়েছে কিউইরা এমনটাই জানিয়েছেন ইশ সোধি। তিনি বলেন, ‘সিলেটে প্রথম টেস্টে হেরে যাওয়া দলে থাকাটা অবশ্যই বেশ কঠিন ছিল। তবে টেস্ট যতোই এগিয়েছে, আমরা ততই ছন্দ খুঁজে পেয়েছি। দীর্ঘদিন ধরে টেস্ট না খেলার পর এই কন্ডিশনে খেলাটা কঠিন হতোই এবং বাংলাদেশ যেভাবে খেলেছে, সত্যি বলতে আমাদেরকে উড়িয়ে দিয়েছে ওরা। তবে পেছন ফিরে তাকিয়ে, এই ম্যাচই আমাদের একটা ‘ব্লুপ্রিন্ট’ দিয়েছে এই কন্ডিশনে সফল হওয়ার ব্যাপারে। আশা করি, আমরা সেসব পরের ম্যাচে মেলে ধরতে পারবো।’ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এই নতুন চক্রে যে সিরিজগুলো থেকে নিউজিল্যান্ড সম্ভাব্য সর্বোচ্চ পয়েন্ট ধরে রেখেছিল, বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজটি সেখানে নিশ্চিতভাবেই থাকার কথা। সেখানেই একটি ম্যাচ হেরে বড় ধাক্কাই খেয়েছে নিউজিল্যান্ড।
 
তবে বাস্তবতা বলছে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর কাজটি যে সহজ হবে না, সেটিও মানছেন এই লেগ স্পিনার। তবে তিনি ভরসা রাখছেন দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের ওপর। ইশ সোধি বলেন, ‘গত এক দশকে এই দলের যে অসাধারণ সাফল্য, সেটির পেছনে বড় ভূমিকা ছিল জয় বা হার, দু’টিকেই এক পাশে সরিয়ে রাখতে পারা। কোনো কিছুতেই নিশ্চিত ধরে না নেয়া। ঘুরে দাঁড়ানোর কাজটি সবসময়ই কঠিন। তবে ম্যাচ হারলেও অভিজ্ঞ অনেকেই এই দলে আছে। আগেও আমরা এই অবস্থানে ছিলাম, এই কাজটা করেছি। আমরা জানি পরের ম্যাচে কীভাবে নিজেদেরকে মেলে ধরতে হবে এবং আশা করি, পরের ম্যাচে তা করতে পারবো।’ শেষ ম্যাচ জিতে মিরপুরে জিতে সিরিজ ড্র করার লক্ষ্য এখন সফরকারীদের। নিজ দেশের মৌসুম শেষ হওয়ার পর গত কয়েক মাসে তারা সফর করেছে পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ ও বিশ্বকাপে ভারতে। তারপরও বেশির ভাগ ক্রিকেটারকে লম্বা সময় থাকতে হয়েছে দেশের বাইরে। মিরপুর টেস্টের পর তারা ফিরে যাবেন দেশে। বিশ্বকাপে সেমিফইনালে হারের দুঃখ ভুলে শেষটায় জয় সঙ্গী করে দেশে ফিরতে চান তারা।
 
বাংলাদেশ সফরে টেস্ট সিরিজের শুরুটা ভালো হয়নি নিউজিল্যান্ডের। সাদা পোশাকের প্রথম ম্যাচে নাজমুল হোসেন শান্তের দলের কাছে হেরে গেছে। এই পরাজয় নিয়ে বেশি না ভেবে দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের চিন্তায় মরিয়া কিউই শিবির। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে কোনো বিভাগেই সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। এদিকে এই সিরিজে সাকিব-লিটন-তামিম-মাহমুদউল্লাহ-তাসকিনরা নেই। ঝান্ডা নতুনদের হাতে। টেস্ট ক্রিকেটে নীরব পালাবদল হচ্ছে বাংলাদেশ দলে। এক সময়ের নিয়মিত তারকারা ক্রমেই দূরে সরছেন, নতুনরা এসে দায়িত্ব নিচ্ছেন। তাতে কিছু সাফল্য যোগ হওয়ায় নতুন আদলে ছুটে চলার প্রেরণা পাচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে নির্ভার হতে পারছেন কি নির্বাচকরা। এই পালাবদলের শুরুটা ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে। নিউজিল্যান্ডের মাঠে গিয়ে টেস্টে তাদের হারানোর মতো বড় ঘটনার জন্ম দেয় বাংলাদেশ। তখন কিউইরা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়ন, ঘরের মাঠে দুর্বার। মাউন্ট মঙ্গানুইতে সেই টেস্টে সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালরা ছিলেন না। মুশফিকুর রহিম দলে থাকলেও পারফর্ম করেননি। এবাদত হোসেন, মুমিনুল হক, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, এরা সবাই রাখেন বড় ভূমিকা। বাংলাদেশ পায় নিজেদের ইতিহাসের সেরা জয়।
 
তবে এখন যে গতিতে ছুটে চলার কথা সাদা পোষাকের। সেটি হয়নি। কেন জানি ওয়ানডের মতো জয়গান গাইতে পারেনি। এবারো দলে সাকিব-তামিম নেই। মুশফিকুর ছিলেন অবশ্য, এবার এক ইনিংসে ফিফটি করে তার ভূমিকা রেখেছেন। চোটের কারণে এবাদত, তাসকিনকে পায়নি বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত কারণে ছুটিতে লিটন দাস। সেরা সমন্বয় না পেয়েও সিলেটে পুরো শক্তির নিউজিল্যান্ডকে টেস্টে হারিয়ে এগিয়ে যাওয়ার এক বার্তা দিল সাকিবের পরিবর্তে শান্তর দল। নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনের মতে এই জয় লাল বলের ক্রিকেটে আগামীর উজ্জ্বল বার্তা। ‘আমাদের নিয়মিত অনেক খেলোয়াড় ছিল না স্কোয়াডে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল এসব খেলোয়াড় ছাড়াও বড় দলের বিপক্ষে আমরা কেমন করি। এই পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে বলব তরুণরা দাঁড়িয়েছে এবং পারফর্ম করে দেখিয়েছে।’ টেস্টে পুল বড় করা, নিয়মিতদের না পেলেও ব্যাকআপ খেলোয়াড়দের প্রস্তুত।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।