• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১২:৩৪

স্মৃতির আয়নায় দেখা-দুই

বাকেরগঞ্জ থেকে ৮/৯ মাইল দূর শিবপুর এখানেই বাঘটাকে শেষ দেখা গেছে, বাসাতে বেশ উৎকন্ঠা। বন্দুকটা নিয়ে গেছে বাঘ মারার জন্য। এসি কাকা, থানার সেকেন্ড অফিসার, বাবার অফিসের ডিড রাইটার রুস্তম কাকা। ৩/৪ জন কনস্টবল এক দিগ্বিবিদয়ী দল থানার বজরাতে করে রওনা হল বাঘ শিকারে। সন্ধ্যা বেলা থানার এক কনস্টেবল বাবার বন্দুকটা আর গুলি নিয়ে বাসাতে আসল ফিরত দিতে। আর বলল ওসি সাহেব, নৌকার মাঝিসহ ৩/৪ জন হাসপাতালে। আব্বা রওনা হতে চাইলে মা বলল- চল আমিও যাব। বীরদের দেখতে যাব না। তারপর বাঘ শিকারের ইতিহাস শুনা গেল।
 
যে লোকটা শেষ বাঘ দেখে ছিল তাকে বজরাতে নিয়ে যাওয়া বয়েছে। বজরা থেকে ৩০/৩৫ গজ দূরে সুরকি বিছানো রাস্থা, রাস্থার পর আঁক ক্ষেত শুরু , আখ ক্ষেতের শুরু আগের যায়গাটা ফাঁকা, ফাঁকা যায়গা ২০/২৫ গজ।ওখানে বাঘ কাত হয়ে শুয়ে বিশ্রামে। তবে বাঘ এলাকার সাথে এমন ক্যামফ্লেজে যেন একটা সুপারি গাছের পাতা যেটার গোড়া মনে হয় পরে আছে। বাবার বন্দুক ওসি কাকার হাতে। উনার পিছনে ৪/৫ গজদূরে নৌকার মাঝি বৈঠা হাত। ওসি কাকা বাঘ খুঁজতে খুঁজতে বাঘের প্রায় পেটের কাছে চলে আসার পর বাঘ এক হুংকার দিয়েই দিল এক লাফ। থাবা থেকে বাঁচতে নীচু হলেও সামনের চাদিতে নখের আচর ভালভাবেই লাগল। বাঘের চিৎকারে ভয় পেয়ে সেকেন্ড অফিসার গুজা হয়ে ভাগতে চাইছিল। বাঘ তার পাছাতে কামড়ে উঁচু করে উঠিয়ে ফেলল। তারপর তারে ছেড়ে মাঝির রানের উপর পিছনে দুপা দিয়ে দাঁড়িয়ে মুখে কামড় দিতে গেলে মাঝি তার বৈঠার গোড়া বাঘের মুখে ভরে দিল। বাঘ আর মাঝি জড়াজড়িতে ওসি কাকা বাবার বন্দুকটার গোড়া দিয়ে-এই সর বলে বাঘের পিঠে বাড়ি দিল। বাঘ মাঝিকে ছেড়ে  দ্বিতীয়বার ওসি কাকার চাদিতে আচ্ছা এক থাবা মেরে আঁখ ক্ষেতে ঢুকে উধাও।
 
হাসপাতালে মা সবাইর সাথে কথা বললেন। বন্দুক দিয়ে গুলি করার সুযোগ থাকতেও কেউ বন্দুক দিয়ে বারি দেয়? মা ওই সময় বেগম আর সওগাত পত্রিকাত্ লেখেন। বললেন আপনাদের এই বীরত্ব গাঁথা লিখবেন। ওসি কাকা বললেন- ভাবি, মজা করছেন, বাঘের মুখে তো পরেন নাই। পরলে বুঝতেন , হিতাহিত জ্ঞান থাকে না।
(চলবে)
পথরেখা/আসো
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।