বাকেরগঞ্জ থেকে ৮/৯ মাইল দূর শিবপুর এখানেই বাঘটাকে শেষ দেখা গেছে, বাসাতে বেশ উৎকন্ঠা। বন্দুকটা নিয়ে গেছে বাঘ মারার জন্য। এসি কাকা, থানার সেকেন্ড অফিসার, বাবার অফিসের ডিড রাইটার রুস্তম কাকা। ৩/৪ জন কনস্টবল এক দিগ্বিবিদয়ী দল থানার বজরাতে করে রওনা হল বাঘ শিকারে। সন্ধ্যা বেলা থানার এক কনস্টেবল বাবার বন্দুকটা আর গুলি নিয়ে বাসাতে আসল ফিরত দিতে। আর বলল ওসি সাহেব, নৌকার মাঝিসহ ৩/৪ জন হাসপাতালে। আব্বা রওনা হতে চাইলে মা বলল- চল আমিও যাব। বীরদের দেখতে যাব না। তারপর বাঘ শিকারের ইতিহাস শুনা গেল।
যে লোকটা শেষ বাঘ দেখে ছিল তাকে বজরাতে নিয়ে যাওয়া বয়েছে। বজরা থেকে ৩০/৩৫ গজ দূরে সুরকি বিছানো রাস্থা, রাস্থার পর আঁক ক্ষেত শুরু , আখ ক্ষেতের শুরু আগের যায়গাটা ফাঁকা, ফাঁকা যায়গা ২০/২৫ গজ।ওখানে বাঘ কাত হয়ে শুয়ে বিশ্রামে। তবে বাঘ এলাকার সাথে এমন ক্যামফ্লেজে যেন একটা সুপারি গাছের পাতা যেটার গোড়া মনে হয় পরে আছে। বাবার বন্দুক ওসি কাকার হাতে। উনার পিছনে ৪/৫ গজদূরে নৌকার মাঝি বৈঠা হাত। ওসি কাকা বাঘ খুঁজতে খুঁজতে বাঘের প্রায় পেটের কাছে চলে আসার পর বাঘ এক হুংকার দিয়েই দিল এক লাফ। থাবা থেকে বাঁচতে নীচু হলেও সামনের চাদিতে নখের আচর ভালভাবেই লাগল। বাঘের চিৎকারে ভয় পেয়ে সেকেন্ড অফিসার গুজা হয়ে ভাগতে চাইছিল। বাঘ তার পাছাতে কামড়ে উঁচু করে উঠিয়ে ফেলল। তারপর তারে ছেড়ে মাঝির রানের উপর পিছনে দুপা দিয়ে দাঁড়িয়ে মুখে কামড় দিতে গেলে মাঝি তার বৈঠার গোড়া বাঘের মুখে ভরে দিল। বাঘ আর মাঝি জড়াজড়িতে ওসি কাকা বাবার বন্দুকটার গোড়া দিয়ে-এই সর বলে বাঘের পিঠে বাড়ি দিল। বাঘ মাঝিকে ছেড়ে দ্বিতীয়বার ওসি কাকার চাদিতে আচ্ছা এক থাবা মেরে আঁখ ক্ষেতে ঢুকে উধাও।
হাসপাতালে মা সবাইর সাথে কথা বললেন। বন্দুক দিয়ে গুলি করার সুযোগ থাকতেও কেউ বন্দুক দিয়ে বারি দেয়? মা ওই সময় বেগম আর সওগাত পত্রিকাত্ লেখেন। বললেন আপনাদের এই বীরত্ব গাঁথা লিখবেন। ওসি কাকা বললেন- ভাবি, মজা করছেন, বাঘের মুখে তো পরেন নাই। পরলে বুঝতেন , হিতাহিত জ্ঞান থাকে না।
(চলবে)
পথরেখা/আসো