• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০০:৪৪

স্মৃতির আয়নায় দেখা -৩

সাহেবগঞ্জ থেকে বাকেরগঞ্জের দিকে গেলে ৪/৫ টা ঘর মিলে মুচিবাড়ি। ঘরে পরার সান্ডেল ওরাই বানিয়ে দিত। ভাল সান্ডেল বা স্যু আমরা বাবার সাথে বরিশাল গিয়ে কিনতাম। স্টিমার আর লঞ্চ দুইটাতেই যেতাম। তিন ঘণ্টা লাগত। আব্বা খুব চ্যুজি মানুষ ছিলেন। ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পড়ারসময় দেরাদুন আর্মি একাডেমিতে চান্স পেয়ে চলে যান। দাদা ছিলেন পুলিশ ইন্সপেক্টর, পোস্টিং ছিল চিটাগং। দাদীমা ছিলেন ডাক সাইটে। তিনি শেরে বাংলা ফজলুল হকের সাথে কথা বলে বাবাকে একাডেমি থেকে উইথড্র করিয়ে ফেরত নিয়ে আসেন। তখন সূর্যসেনের যুগ৷ দাদীমা তার ভক্ত ছিলেন। একাডেমি থেকে উইথড্র হবার পর বাবাকে চাকরি দেবার জন্য দাদিমা শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের সাথে দেখা করেন। আর ছেলেকে সাবরেজিস্টার করেই শেরে বাংলার রুম থেকে বেড় হন। গেজেটেড অফিসার এত অল্প বয়সে কমই হয়েছে।
 
বাবা ছিলেন ইউনিভার্সিটির হকি ব্লু। ফুটবল দলের ক্যাপ্টেন। ছিলেন ক্রিকেট দলেরও ক্যাপ্টেন। আজ যেমন আবাহনী আর মোহামেডান; ঐ সময় ছিল ওয়ারী আর ভিক্টরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব। বাবা ক্রিকেট খেলতেন ওয়ারি ক্লাবে। ছিলেন ওপেনিং ব্যাট আর উইকেট কিপার। আর ভিক্টোরিয়াতে ছিলেন ফুটবল অর হকি দলের ক্যাপ্টেন। তখন প্রতিদলেই ইংরেজ প্লেয়ার রা খেলত। সাবরেজিস্টার হবার কারণে ঢাকার বাইরে পোস্টিং হয়। খেলা তার মনে বাসা বেঁধেই ছিল। যেখানেই গেছেন সেখানেই ফুটবল দল করেছেন। ঢাকা থেকে মাকরানি ফুটবলার ওমর, মুসা, দেশি  কবীর, জাকারিয়া পিন্টু , হাফিজ নূরন্নবি, গজনবী, রেমন্ড, প্যাট্রিকসহ সবাই খেলতে। এই গ্রাম উপশহরের জনগন দেশ শ্রেষ্ঠ ফুটবলারদের হাতের কাছে পেত। বাবা এ জন্য দেশের ক্রীড়া উন্নয়নের দিকপাল বলা হতো।
 
গৌরনদীতে বাসা চারদিকে বিরাট জায়গা। উচু বাঁশের বেড়া গিয়ে ঘেড়া। একপাশে ক্রিকেট পিচ তৈরি করা হয়। আর এক পাশে সুপারি গাছে দিয়ে উঁচু বেড়া বানিয়ে তার ভিতর হরিণ রাখা হত। সারাদিন বাইরেই থাকত। সন্ধ্যার সময় ঐ খাঁচাতে ঢুকান হত। একদিন এক লোক খালি গা, ধুতি পরা, খাঁচা ধরে হরিণ দেখছে। একটু পর বাবার সাথে কথা বলতে দেখলাম। বাবা আমাকে ডাকলেন। তখন বয়স ৮/৯ হবে । বললেন উনাকে হাত দেখাও। না বুঝেই হাত দেখালাম, বলল আপনার এই ছেলে সেনাবাহিনীতে যাবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স শেষ করে এম এ পড়ছি। আর মনে মনে ভাবছি- গণক বেটা কইছিল আর্মিতে যাব । এম এ পড়ে কেউ আর্মিতে যায়? অথচ হলো কিন্তু তাই...
(চলবে)
পথরেখা/আসো
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।