• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:২৯

জয়ে নিউজিল্যান্ড সফরের প্রস্তুতি শুরু বাংলাদেশের

পথরেখা অনলাইন : এশিয়ার দলগুলোর জন্য নিউজিল্যান্ড সফর সবসময়ই বেশ কঠিন থাকে। সেখানকার পেস আর বাউন্সি উইকেটে সবচেয়ে বড় পরীক্ষাটি দিতে হয় ব্যাটসম্যানদের। বাংলাদেশের পরীক্ষা এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে ২৭ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এই ম্যাচে ব্যাটে-বলে নিজেকে আলাদাভাবে চিনিয়েছেন রিশাদ হোসেন। মূলত ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতেও গরম পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেছেন এই স্পিনিং অলরাউন্ডার। অস্ট্রেলিয়ায় গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে নিউজিল্যান্ডেও গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখানে নির্ধারিত ত্রিদেশীয় সিরিজে খুব ভালো করতে না পারলেও একটি ব্যাপার অন্তত গা-সওয়া হয়ে গিয়েছিল ক্রিকেটারদের। তাই বিশ্ব আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচের ভেন্যু হোবার্টের হাড় হিম করা ঠান্ডাকেও নস্যি মনে হয়েছিল তাঁদের। এবার বুঝুন নিউজিল্যান্ডে শীতের তীব্রতা কেমন ছিল! খেলার পাশাপাশি সেখানে শীত সামলে নেওয়ার লড়াইও চলে। লিঙ্কনে নিউজিল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নামার পর যে লড়াই চলছিল রিশাদ হোসেনের সঙ্গেও।
 
এই লড়াইয়ে জেতার ঘোষণা আছে তরুণ লেগস্পিনিং অলরাউন্ডারের পারফরম্যান্সেও। ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতেও গরম পারফরম্যান্সে রিশাদ ব্যাটে-বলে দলের সেরা পারফরমারও। ভারত পপলির নেতৃত্বাধীন নিউজিল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে ফিফটি করেছেন বাংলাদেশের চার ব্যাটার। এঁদের মধ্যে দলীয় সর্বোচ্চ ৮৭ রানের ইনিংসটি রিশাদের খেলা। মাত্র ৫৪ বলে এই ইনিংস খেলার পথে ঝড়ও বইয়ে দিয়েছেন তিনি। চারটি ছক্কার সঙ্গে মেরেছেন ১১টি চারও। শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে দলকে এনে দিয়েছেন ৩৩৪ রানের পুঁজিও। পরে দলের ২৬ রানের জয়ে নিজের লেগস্পিন দিয়েও রেখেছেন ভূমিকা। ৭.২ ওভার বোলিং করে ৫২ রানে নিয়েছেন তিনটি উইকেট। এমন উজ্জ্বল পারফরম্যান্সের দিনে ঠান্ডায় ঠকঠক করেও কাঁপতে হচ্ছিল রিশাদকে। ম্যাচের পর বলেছেন শীতের সঙ্গে তাঁর হাড্ডাহাড্ডি সেই লড়াইয়ের কথাও। বিশেষ করে বোলিংয়ের সময়ই নাকি ঠান্ডায় কাবু হচ্ছিলেন বেশি, ‘আমার কাছে প্রথমত একটু ঠান্ডা কন্ডিশন ছিল।
 
কারণ বাংলাদেশের মানুষের কাছে কিউইদের দেশের কন্ডিশন সবসময়ই দুরুহ হতে পারে। রিশাদ আরও বলেন, ’আমরা গত দুই-তিন দিন মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। সেখান থেকে আজ (বৃহস্পতিবার) প্রস্তুতি ম্যাচ খেললাম। ম্যাচ যখন শুরু হয়েছে, তখন আর আবহাওয়া বা ঠান্ডা এসব মাথায় ছিল না। চেষ্টা করেছি মানিয়ে নিয়ে খেলতে। ব্যাটিং নিয়ে বলব, অনেক দিন পর লম্বা সময় ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছি। চেষ্টা করেছি উইকেটে থেকে রান করার। আর বোলিংয়ের সময় ঠান্ডা কন্ডিশনে চেষ্টা করেছি নিজেকে গরম রাখার। একই সঙ্গে এটাও মাথায় ছিল, যখন-তখন বোলিং করা লাগতে পারে। মানসিক ভাবে তৈরি ছিলাম। কিন্তু তারপরও অনেক ঠান্ডা। এ জন্য একটু অস্বস্তি অনুভব হয়েছিল। এ ছাড়া সব কিছু ঠিক আছে। আশা করি দল ভালো করবে।’ তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের আগে একটিই প্রস্তুতি ম্যাচ। সেই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ব্যাটে-বলে দারুণ পারফরম্যান্সে সফরকারীদের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রিশাদ হোসেনের।
 
আগে ব্যাটিং করে চার ফিফটিতে ৪৯.৫ ওভারে ৩৩৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। এনামুল হক বিজয় ও তানজিদ হাসান তামিমের ওপেনিং জুটি থেকে আসে ৪৭ রান। ৩১ বলে ৩৩ রান করে আউট হন বিজয়। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৪ চার ও এক ছক্কা। দলীয় ১৪৮ রানের সময় ৫৮ রানে আউট হয়ে যান তানজিদ। তাঁর ৪৬ বলের ইনিংসে ৫ চার ও ৪ ছক্কা। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন সৌম্য সরকার ও লিটন দাসও। ২৩তম ওভারের তৃতীয় বলে স্বন্দীপ প্যাটেলের বলে সৌম্য যখন আউট হচ্ছেন, তখন বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৭০ রান। ৭১ বলে ৮ চার ও এক ছক্কায় ৫৯ রান করেন সৌম্য। এরপর দ্রুতই তাওহীদ হৃদয় (০) ও আফিফ হোসেনের (১০) উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ষষ্ঠ উইকেট রিশাদের সঙ্গে লিটনের ৭০ রানের জুটি। লিটন ৫৫ করে আউট হলেও দলের সংগ্রহ ৩০০ ছাড়িয়ে শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন রিশাদ। নিউজিল্যান্ড বোলারদের ঝড় বইয়ে দিয়ে সাতে নেমে ব্যাট হাতে দলের পক্ষে সবচেয়ে বেশি ৮৪ রান করেছেন রিশাদ।
 
তাঁর ৫৪ বলের ইনিংসে ১১ চার ও ৪টি ছক্কার মার রয়েছে। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ৪টি উইকেট নিয়েছেন ডানহাতি পেসার সামরাথ সিং। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন জেমস হার্টশর্ন ও জোসেফ ফিল্ড। বোলিংয়েও দলের সেরা বোলার রিশাদ। ৫২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে প্রস্তুতি ম্যাচ জয় দিয়ে শেষ করতে বড় ভূমিকা রেখেছেন এই লেগ স্পিনার। ৪৯.২ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ৩০৮ রান করেছে নিউজিল্যান্ড। দলের পক্ষে সবচেয়ে বেশি ৯২ রান করেছেন ভারত পপলি। এ ছাড়া প্যাটেল ৮৯, ফিল্ড অপরাজিত ৩৩ ও কুইন সানডে ২৩ রান করেছেন। রিশাদ ছাড়া বোলিংয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন আফিফ ও হাসান মাহমুদ। জয়ের চেয়ে বড় হিসেবে দেখা হচ্ছে, ব্যাটসম্যান ও বোলারদের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করার সুযোগ মিলেছে।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।