• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:২২

ফিলিস্তিনের পক্ষে সাহসী উসমান খাজা

পথরেখা অনলাইন : বছরের পর বছর ধরে নির্যাতিত ফিলিস্তিনের মুসলমানরা। কোন প্রতিবাদই ইসরাইলের রক্ষচক্ষুকে কিছু করতে পারছেনা। সারা দুনিয়াতেই এর প্রতিবাদ হচ্ছে। বর্তমানে নির্বিচারে ফিলিস্তিনের মানুষদের হত্যা করা হচ্ছে। তারই প্রতিবাদ করেছেন অষ্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার উসমান খাজা। ইসরায়েলি বাহিনীর টানা দেড় মাসের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তুুপে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষ। নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন অনেকেই। ক্রীড়াঙ্গনেও যার নজির দেখা যাচ্ছে। ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিশেষ বার্তা সম্বলিত জুতা পরে খেলতে চেয়েছিলেন খাজা। কিন্তু তাতে বাধ সাধে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। তাদের নিয়ম অনুযায়ী, ক্রিকেটার বা ম্যাচের দায়িত্বরত কর্মকর্তা কোনো ধরনের বার্তাসংবলিত পোশাক, খেলার সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ঘোষণা দেন খাজা। পাকিস্তানের বিপক্ষে পার্থ টেস্ট শুরুর আগে গা গরমের সময় স্লোগানসংবলিত সেই জুতা পরে মাঠে নামেন। তবে জুতার ওপর লেখা বার্তাটা টেপ দিয়ে ঢেকে রাখেন। এর আগে দলের অনুশীলনেও ওই জুতা পরে খেলেছিলেন ৩৬ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ান এই ওপেনার।
 
যেখানে লেখা ছিল, ‘স্বাধীনতা একটি মানবাধিকার, প্রতিটি জীবনের মূল্য সমান।’ এ ছাড়া ব্যাট করতে নেমেছিলেন কালো বাহুবন্ধনী জড়িয়ে। এর আগে ২০১৪ সালে ইংলিশ ক্রিকেটার মঈন আলীকে, ‘সেভ গাজা, ফ্রি প্যালেস্টাইন’ রিস্টব্যান্ডের পরায় নিষিদ্ধ করেছিল আইসিসি। ক্রীড়াঙ্গনের প্রায় সব ইভেন্টেই ম্যাচ চলাকালে চলমান কোনো যুদ্ধের পক্ষে বার্তা দেওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অবশ্য আইসিসির নিয়মের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ঘোষণা দেন খাজা। এরপরই এক ভিডিওবার্তায় পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা আমার কথায় কোনোভাবে কষ্ট পেয়েছেন, তাদের উদ্দেশে প্রশ্ন করতে চাই। স্বাধীনতা কি সবার জন্য নয়? প্রতিটি জীবন কি সমান নয়? ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে আপনি কোন জাতি, কোন ধর্মের, কোন সংস্কৃতির তাতে কিছু আসে যায় না। সত্যি কথা বলুন তো, আমি প্রতিটি জীবন সমান বলায় যদি অনেক মানুষ কষ্ট পান, আমাকে ফোন করেন এবং বলেন, সেটাই কি বড় সমস্যা নয়? এই মানুষগুলো অবশ্যই আমি যা লিখেছি, তাতে বিশ্বাস করেন না। সংখ্যাটা অল্প নয়। কত মানুষ এভাবে ভাবেন, শুনলে আশ্চর্য হবেন।’
 
এরপরই নিজের দেওয়া বার্তাটি রাজনৈতিক নয় বলে দাবি করেন খাজা, ‘আমি আমার জুতায় যেটা লিখেছি, সেটা রাজনৈতিক নয়। আমি কোনো পক্ষ নিইনি। আমার কাছে প্রত্যেকটি মানুষের জীবন সমান। একজন ইহুদি, মুসলিম, হিন্দু কিংবা অন্য ধর্মের, প্রত্যেকের জীবন আমার কাছে সমান। যাদের কথা বলা অধিকার নেই, আমি তাদের হয়ে কথা বলছি। এটা আমার হৃদয় ছুঁয়ে যায়। যখন আমি দেখি হাজার হাজার নিরপরাধ শিশু মারা যাচ্ছে, ওই জায়গাতে আমি আমার দুটি মেয়েকে কল্পনা করি। কী হতো যদি ওখানে ওরা থাকত?’ অজি এই ক্রিকেটারের অভিযোগ ফিলিস্তিনের দিক থেকে বিশ্ব মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে, ‘কে কোথায় জন্ম নেবেন, সেটা তো কেউ বেছে নিতে পারেন না। এরপর আমি দেখছি, পুরো বিশ্ব তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। আমার মন এটা মানতে পারেনি। আমি এরই মধ্যে এটা অনুভব করছি, যখন আমি বেড়ে উঠেছি আমার জীবন অন্য সবার মতো ছিল না। তবে ভাগ্যক্রমে আমি এমন কোনো দুনিয়ায় বাস করিনি, যেখানে বৈষম্য মানে জীবন-মৃত্যু।’
 
আইসিসির এমন সিদ্ধান্তের বিপক্ষে লড়াই করার ঘোষণা দিয়ে খাজা বলেন, ‘আইসিসি আমাকে বলেছে, তাদের নিয়ম অনুযায়ী আমি আমার জুতা পরতে পারব না। কারণ এখানে রাজনৈতিক বিবৃতি আছে। আমি এমনটা বিশ্বাস করি না, এটা মানবিক আবেদন। তাদের মতামত ও সিদ্ধান্তকে আমি সম্মান করি, কিন্তু আমি এর বিরুদ্ধে লড়াই করব। অনুমোদন নেওয়ার চেষ্টা করব। স্বাধীনতা মানবিক অধিকার।’
পথরেখা/আসো
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।