• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:৩৫

নারী টেস্টে ২৫ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে ভারত

পথরেখা অনলাইন : ১৯৯৮ সালে কলম্বোয় পাকিস্তান নারী দলকে ৩০৯ রানে হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা নারী দল। এত দিন পর্যন্ত সেটিই ছিল মেয়েদের টেস্ট ক্রিকেটে রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয়। ২৫ বছর পর অবশেষে ভাঙল সেই রেকর্ড। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে ৩৪৭ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে নারীদের ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় জয়টি পেয়েছেন ভারতের মেয়েরা। 
 
মুম্বাইয়ের একমাত্র টেস্টে দীপ্তি শর্মার দুর্দান্ত বোলিংয়ে ঐতিহাসিক এই জয় পায় ভারত। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ টেস্ট খেলে এই প্রথম জয় পেলেন ভারতের মেয়েরা। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে চার অর্ধশতকে প্রথম ইনিংসে ভারত তোলে ৪২৮ রান। জবাবে দীপ্তির দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৩৬ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ৫.৩ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন দীপ্তি। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত ৬ উইকেটে ১৮৬ রানে ইনিংস ঘোষণা করলে ইংল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৭৯ রানের। 
 
তাড়া করতে নেমে ফের দীপ্তির তোপের মুখে পড়েন ইংলিশ ব্যাটাররা। সঙ্গে জ্বলে ওঠেন পূজা বস্ত্রকারও। ৩২ রান দিয়ে এবার ৪ উইকেট নেন দীপ্তি, পূজা নেন ৩ উইকেট। এবার ১৩১ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। মূলত দীপ্তির দুর্দান্ত বোলিংয়েই দুই ইনিংস মিলিয়ে ইংল্যান্ডের ইনিংস টেকে মাত্র ৩৭৮ বল। মেয়েদের টেস্টে এর চেয়ে কম বল খেলে আর কোনো দল দুবার অলআউট হয়নি। ভারতের ঐতিহাসিক জয়ে দারুণ পারফর্ম করে ম্যাচসেরা হওয়া দীপ্তি ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘খুব ভালো লাগছে। কারণ, এই টেস্ট শুরু হওয়ার অপেক্ষায় ছিলাম। খুবই গর্ব বোধ হচ্ছে। আমরা নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী বল করেছি। প্রথম দিন আমরা ধৈর্য ধরে ব্যাট করতে চেয়েছি। চেষ্টা ছিল জুটি গড়ার।’
 
নিজের ম্যাচ জেতানো বোলিং নিয়ে দীপ্তি বলেছেন, ‘উইকেট থেকে প্রচুর সাহায্য পেয়েছি এবং নিজের ওপর বিশ্বাস রেখেছি। হারিদি (হারমানপ্রীত কৌর) বলেছিল, নিজের জায়গায় বল করে যাও, উইকেট তোমাকে সাহায্য করবে। আমরা পরবর্তী ম্যাচগুলোতেও এই পারফরম্যান্স ধরে রাখতে চাই।’ বলেছেন, ‘দারুণ অনুভূতি হচ্ছে। এটা প্রমাণ করে যে আমরা কীভাবে ম্যাচ জিততে পারি। সবকিছু পরিকল্পনামতো হয়েছে এবং দলের প্রত্যেককে এ কৃতিত্ব দিতে হবে।’
পথরেখা/আসো

 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।