পথরেখা অনলাইন : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বৈধ প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়
১৭ ডিসেম্বর। অফিস চলাকালীন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করে ইচ্ছুকরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন আজ সোমবার প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এদিন থেকেই নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন প্রার্থীরা।
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল দুই হাজার ৭১৬টি। এর মধ্যে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১টি। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বাছাইয়ে বৈধ প্রার্থী ছিল এক হাজার ৯৮৫ জন।’ তবে পরে আপিলে অনেকেই প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, ‘৩৫টি আপিল দায়ের হয়েছিল রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিরুদ্ধে। আর বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল হয়েছিল ৫২৫টি। সবমিলিয়ে ৫৬০টি আপিল দায়ের হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘ছয়দিনে (১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর) আপিল শুনানিতে বাতিল আপিলের বিরুদ্ধে ২৮০টি আপিল আবেদন কমিশন মঞ্জুর করেছে। অর্থাৎ ২৮০ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। আর ৩৫টি গ্রহণ আপিল আবেদনের মধ্যে পাঁচটি মঞ্জুর বা পাঁচজনের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে, দুটি আপিল আবেদন খারিজ করা হয়েছে, ২৮টি নামঞ্জুর করা হয়েছে। এই হিসাবে ইসিতে আপিল শুনানি শেষে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২৬০ জন। তবে এটিই চূড়ান্ত সংখ্যা নয়।’
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এরই মধ্যে হাইকোর্টে দুটি বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে। সেখানে ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে। এতে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা কমতে বা বাড়তে পারে। তফসিল অনুযায়ী, ১৭ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। এদিন কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিলে মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা কমবে। ১৮ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। প্রতীক নিয়েই প্রার্থীরা ভোটের প্রচার চালাতে পারবেন, যা চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। এরপর ৭ জানুয়ারি হবে ভোটগ্রহণ।
পথরেখা/আসো