• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:৩৮

যুব এশিয়া কাপের শিরোপা বাংলাদেশের

পথরেখা অনলাইন : ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলির সেঞ্চুরিতে প্রথমবারের মত অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ ক্রিকেটের  শিরোপা জিতেছে  বাংলাদেশ। ১৭ ডিসেম্বর টুর্নামেন্টের ফাইনালে বাংলাদেশ ১৯৫ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে। ১৪৯ বলে ১২৯ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন শিবলি। পুরো আসরে ব্যাট দারুন ছন্দে থাকা  ডান হাতি  এ ব্যাটার  ৫ ম্যাচে ২টি করে সেঞ্চুরি ও হাফ-সেঞ্চুরিতে টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ৩৭৮ রান করেছেন । দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। পঞ্চম ওভারে ওপেনার জিশান আলম ৭ রানে আউট হন। 
 
এরপর দ্বিতীয় উইকেটে আরব আমিরাতের বোলারদের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন  শিবলি ও চৌধুরি রিজওয়ান। ১৫৪ বলে ১২৫ রানের জুটি গড়েন তারা। এরমধ্যে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৭১ বলে ৬০ রান করে দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে আউট হন রিজওয়ান। দলীয় ১৩৯ রনে রিজওয়ান ফেরার পর ক্রিজে আসেন আরিফুল ইসলাম। আরব আমিরাতের বোলারদের উপর চড়াও হন তিনি। ৬টি চারে ৪০ বলে ৫০ রান তুলে থামেন আরিফুল। 
 
রিজওয়ান ও আরিফুলের সাথে দুর্দান্ত জুটি গড়ার পর এবারের আসরের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পান শিবলি। ১২৯ বল খেলে ৪২তম ওভারে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। ইনিংসের শেষ ওভারে আউটের আগে  ১৪৯ বলের ইনিংসে  ১২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১২৯ রানের দারুন একটি ইনিংস খেলেন শিবলি। শেষদিকে অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি ১১ বলে ২১ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন। এতে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৮২ রানের বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। আরব আমিরাতের আয়মান আহমেদ ৪টি উইকেট নেন। 
 
২৮৩ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে বাংলাদেশের তিন পেসার মারুফ মৃধা, রোহানাত দৌলা বর্ষন ও ইকবাল হোসেন ইমনের তোপের মুখে পড়ে ৬১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে আরব আমিরাত। শেষ পর্যন্ত ২৪ দশমিক ৫ ওভারে ৮৭ রানে অলআউট হয় আরব আমিরাত। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন ধ্রুব পারাশার। বল হাতে বাংলাদেশের মারুফ ২৯ রানে ও বর্ষন ২৬ রানে ৩টি করে উইকেট নেন। এছাড়া ইমন ও স্পিনার শেখ পারভেজ জীবন ২টি করে উইকেট শিকার করেন। 
 
২০১৯ সালে প্রথমবারের মত ফাইনালে উঠলেও শিরোপা জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ফাইনালে ভারতের কাছে ৫ রানে হেরে গিয়েছিলো বাংলাদেশের যুবারা। এবার সেমিফাইনালে ভারতকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠে বাংলাদেশ। এছাড়া গ্রুপ পর্বে শ্রীলংকা, আরব আমিরাত ও জাপানকে হারিয়েছিলো শিবলি-মারুফরা।  
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।