• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২০:৪২

স্মৃতির আয়নায় ফিরে দেখা -৮

আমরা পাঁচ ভাই আর এক বোন। সবার বড় ছিল বোন আরজু। নমাস বয়সে মারা যায়। আমরা দেখিনি তবে বাবা মা আমরা সবাই আরজু বোনকে বিস্মৃত হতেও দেননি। মা খুব কড়াভাবে আমাদের শাসন করতেন। খুব খেয়াল রাখতেন আমরা কাদের সাথে মিশি। আজিজ বাসাতে এসে স্যার অংক করাতেন তিনি বিড়ি খেতেন। বিড়ির যেখানে সূতা বাঁধা আ পর্যন্ত টেনে ফেলে দিতেন। আমি ওই গোড়াটা মুখে দিয়ে টানতাম। আজ যিনি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, স্বপন ভাই, ছোট কাল থেকেই কোন খারাপ সহ্য করতে পারে না। আমাকে বলল আর একবার দেখলে মাকে বলে দিব।
 
আমি বললাম একবার বইলাই দেখ। হয়েছে কি মা স্বপন ভাইকে খুব বেশী আদর দিত, অংকে তার ৮০ / ৯০ এমনিতেই পেতে। আর আমার অংক মাথা তেই আসত না। কত ধরনের অংক, যেমন একটা পিচ্ছিল কলাগাছে একটা বাঁদর তিন হাত উঠেত পিছলে দুই হাত নেমে যায়, বাঁদর কতবারের চেষ্টায় কলাগাছের মাথাতে চড়বে। আমি বলতাম বাঁদর এত গাছ থাকতে এই পিচ্ছিল কলা গাছে কেন উঠবে? ভাই স্যার চলে গেলে আমাকে অংক কষাত, অংকে এতই খারাপ ছিলাম, তারপরও অন্য সাবজেক্ট খুব ভাল করে ক্লাসে রোল নম্বর সব সময়ই তিন চারের মধ্যে থাকতে। 
 
বড় ভাই খুব রাশভারি, তবে মেজ ভাই ছিলেন খুব হেল্পিং, তিনি বিড়ির গোড়া টানি এটা শুনে বল্ল কাল থেকে লজেন্স আনব, খাবে এসব কেউ খায়। পরের ২/৩ দিন লজেন্স দিল তাও একটা করে। আমি ডিক্লেয়ার দিলাম আমাকে চারটা করে লজেন্স না দিলে বিড়ির গোড়া টানব।
 
সান্ধ্য চা চক্র সবাই এক সাথেই করতাম। বাবা সবাইকে নিয়েই দলেবলে থাকতেনও। দাদী মা, শিপু ফুপু। মনু কাকা সহ চার টেবিলে স্বপন ভাই বলল জুঁই বিড়ির গোড়া খায়। শুনে বাবা চায়ের টেবিল থেকে উঠে গেল। আমি বিপদ হতে পারে মনে করে বাবার পিছন পিছন যেতে চাইলাম। মা বলল। কৈ যাচ্ছ। এ দিক আয়। তোরে বিড়ি খাওয়াব। মিনিট খানেক পর বাবা ফেরত এসে মাকে বললেন হয়েছে, ও এই ছাইপাঁশ আর খাবেননা। আমরা পাঁচ ভাই, তবে মা বাবা আমার জন্মের সময় আর ছোট ভাই জলির জন্মের সময় মনে করেছিল মেয়েই হবে, তাই জুঁই ও জলি রেখেছিল। এখনও ডাক নাম হিসাবে বহাল।
(চলবে)
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।