• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:২১

সৌম্য আর পিংকি যেখানে এক কাতারে

পথরেখা অণরঅইন : ভোরে আর রাতে যেন একই দৃশ্যের অবতারনা হলো। পুরুষ ও নারী জাতীয় দলের দুই ক্রিকেটার সেঞ্চুরি পেলেন, কিন্তু দল জয় পেলনা। পরাজয় সঙ্গী এই দুই ম্যাচটিই অবশ্য হয়েছে দেশের বাইরে। সেখানে পুরুষ দলের সৌম্য সরকার আর নারী দলের ফারজানা হক পিংকি নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিন আফ্রিকার বিপক্ষে তিন অংকের দেখা পেলেও দলের জয়ে কোন অবদান রাখতে পারেননি। ছন্দে নেই বলে অনেক কথা শুনতে হয়েছে সৌম্য সরকারকে। সমালোচনার জবাব দিতে বেছে নিয়েছিলেন নেলসনের মাঠকে। ১৬৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংসে খেলে জবাবও দিয়েছেন বাঁহাতি ওপেনার। কিন্তু সৌম্যের দুর্দান্ত ইনিংসের ওপর ভর করে নিউজিল্যান্ডকে রেকর্ড ২৯২ রানের লক্ষ্য দিয়েও ৭ উইকেটে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। এতে করে বৃথাই গেছে ৫ বছর পর সৌম্যের পাওয়া সেঞ্চুরি। তাঁর মতোই বুধবার রাতে কপাল পুড়েছে ফারজানা হক পিংকিরও। বাংলাদেশের মেয়েদের কাছে যখন সেঞ্চুরি ‘সোনার হরিণ’, সেটিই ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো করে দেখিয়েছিলেন পিংকি। কিন্তু সেঞ্চুরি করেও হারের সাক্ষী হতে হয়েছে তাঁকে। তাঁর সেঞ্চুরিতে ৪ উইকেটে ২২২ রান করেছিল বাংলাদেশ।
 
এই রান তাড়া করতে নেমে ২৯ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাটিংয়ে দারুণ সংগ্রহ করলেও বাংলাদেশি বোলাররা ম্যাচে কোনো প্রতিযোগিতাই তৈরি করতে পারেননি। পচেফস্ট্রুমে রান তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ১০৬ রান করেন প্রোটিয়াদের দুই ওপেনার লরা ভলভার্ট ও তাজমিন ব্রিটস। ফাহিমা খাতুন ও রিতু মনি পর পর দুই বলে দুই ব্যাটারকে তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরাতে চেষ্টা করলেও সফল হতে দেননি দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন দুই ব্যাটার অ্যানেকে বচ ও সুনে লুস। তৃতীয় উইকেটে ১১৭ রানের অবিচ্ছেদ জুটি গড়ে দলকে ৮ উইকেটের জয় এনে দেন বচ ও লুস জুটি। এতেই বৃথা যায় পিংকির দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। ১৬৭ বলে ১০২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন এই ওপেনার। ইনিংসে কোনো ছক্কা না থাকলেও ১১ চারে সাজিয়েছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশ ম্যাচ হেরে যাওয়ায় তাঁর সেঞ্চুরি কোনো কাজে এল না দলের।
 
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জয় পাওয়ায় তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরিয়েছে প্রোটিয়ারা। প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ রেকর্ড ১১৯ রানের জয় পেয়েছিল। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচটি আগামী ২৩ ডিসেম্বর বেনোনিতে। অন্যদিকে পুরুষ জাতীয় দল তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুটিতে হেরে এরই মধ্যে সিরিজও হেরে বসে আছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ফারজানা হক। ফারজানা এর আগে ভারতের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম শতরান পেয়েছিলেন, গত জুলাইয়ে মিরপুরে। পচেফস্ট্রুমে গতকাল তাঁর ১০২ রানের ইনিংসেই স্বাগতিকদের বিপক্ষে ২২২ রানের সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। সফরকারীদের ওই রান ২৯ বল বাকী থাকতে  দুই উইকেট হারিয়ে ছাড়িয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা। ৮ উইকেটের জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজেও ১-১-এ সমতা ফেরাল স্বাগতিকরা। ফারজানাদের সামনে এই ম্যাচ জিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করারও সুযোগ ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ওয়াডেতে সফরকারীদের হারে আগামী ২৩ ডিসেম্বর বেনোনির তৃতীয় ওয়ানডেতেই তাই ফয়সালা হবে সিরিজের।
 
প্রথম ম্যাচে প্রোটিয়াদের মাত্র ১৩১ রানে গুটিয়ে দিয়ে বিজয় উৎসব করেছিল বাংলাদেশ। বল হাতে এবার আর অমন বর্নীল কিছু করে দেখাতে পারেননি বোলাররা।  রান তাড়ায় শতরানের জুটিতে দারুণ শুরু করে প্রোটিয়া মেয়েরা। দলীয় ১০৬ রানে দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে লড়াইয়ে ফেরে বাংলাদেশ। কিন্তু অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেটে শতরানের জুটি গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে সহজ জয় এনে দেন আনিকে বোশ (৬৫* রান) এবং সুনি লুস (৪৭* রান)। এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ফারজানা ছাড়া সঙ্গী কেউ আর তেমন বড় ইনিংস খেলতে পারেননি, ফারজানা নিজেও ১৬৭ বল খেলেছেন। দলীয় সংগ্রহ যে কারণে খুব একটা বড় হয়নি। পাঁচ নম্বরে নেমে ফাহিমা খাতুন ৪৮ বলে ৪৬ রানের কার্যকর ইনিংস খেলেছেন। ফারজানা-ফাহিমার জুটিই ৯২ রানের। এবার আর জিতেও মাঠ ছাড়তে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। এদিকে সাড়ে চার বছর আগে সর্বশেষ ফিফটি করেছেন সৌম্য সরকার। সর্বশেষ ওয়ানডে শতকটিও করেছেন পাঁচ বছর আগে। সাড়ে চার বছরের মাঝে ব্যাট ধরতে পেরেছেন মোটে ছয়বার। অথচ আগের আট মাসে ব্যাটিং করেছেন ২০ ইনিংস। পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে, সর্বশেষ চার বছরে জতীয় দলে কতটা অনিয়মিত সৌম্য সরকার। বাংলাদেশ দলে তার আসা-যাওয়ার কারণ পড়তি ফর্ম। মাঝে এমনও সময় গেছে, প্রিমিয়ার লিগের একাদশ থেকে বাদ পড়তে হয়েছে সৌম্য সরকারকে। ঘরোয়া ক্রিকেটে যে খুব ভালো করে আবার জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন, এমনও নয়। তার নিউজিল্যান্ড সফরের দলভুক্তি নিয়ে বেশ আলোচনার ঝড় বয়ে যায়। তবে আজ সেসব অনেকটা শান্ত করেছেন নিজের ব্যাটে। ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসে করেছেন ১৬৯ রান। যদিও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি জিততে পারেনি বাংলাদেশ। সিরিজটিও হারতে হয়েছে। এই ম্যাচ শেষে সৌম্য বলেছেন, ‘আমরা ক্রিকেটাররা হাসার চাইতে বেশি কাঁদি।’ 
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।