• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:০০

স্মৃতির আয়নায় ফিরে দেখা-৯

আমি অ্যাথলিট হিসাবে বরিশাল অন্চলে প্রথম সারির ছিলাম। যেখানেই বাবার পোস্টিং হত। তিনি জাম্পিং পিট তৈরি করতেন। করতেন ক্রিকেট পিচও। আমি হপ স্টেপ এন্ড জাম্প ৪১ ফুট আর লং জাম্পে ২১ ফুট যেতাম। ফলে আমাকে পরাস্ত করা ওই সময় যে কারোরই কষ্টকর ছিল। বাবা বিভিন্ন স্পোর্টস ম্যাগাজিন পরে আমাকে তৈরি করতেন।
 
একবার ইন্টার কলেজ স্পোর্টস মিট ছিল যশোরে। আমরা গিয়েছিলাম বরিশাল বিএম কলেজের প্রতিনিধি হয়ে। থাকতে দিয়েছিল যশোর এম এম কলেজের তিন তালাতে। কলেজের বেঞ্চ সরিয়ে দুটো বেঞ্চের মধ্যে আমি হোল্ডঅল বিছিয়ে থাকার ব্যবস্থা করলাম। বন্ধুরাও পুরো রুমের আশে পাশে শোয়ার ব্যবস্থা করল। প্রথম দিন সকালে ছিল লংজাম্প আর দুপুরের দিকে হপ স্টেপ এন্ড জাম্প। আমাদের তরফ থেকে দুপুরের হপ স্টেপ এন্ড জাম্পের সময় পিছিয়ে দেবার জন্য আবেদন করা হল। তবে কর্পক্ষ নাকোচ করে দেয়। লংজাম্পে প্রথম হব এবং হলামও। ঘণ্টা দুয়েক পর হপ স্টেপ। তাই কলা আর কমলার জুস খেয়ে সময় পার করে হপ স্টেপ এন্ড জাম্প দিলাম। বিশ্বাস ছিল ফাস্ট হবো। হলাম। এরপর শেষ আইটেম চারxচার শত মিটার রিলে। অমি চার জনের এক জন। এর মধ্যে আমি দুটোতে ফাস্ট। রিলে দৌড়িয়ে অন্য তিন জনকে কেন প্রাইজ পাওয়াব। তাই শরীর খারাপ লাগছে বলে রুমে এসে শুয়ে পরলাম। সবাই মাঠে। একদম শুনসান চারিদিক। ঘুম না আসাতে দেয়ালে পিঠ দিয়ে বসে আছি। হঠাৎ দরজাতে একটা লোক। পিছনে আলো বলে মুখটা অস্পষ্ট। আমার দিকে তাকাল তারপর লম্বা কদমে আমাকে পার করে অন্য পাশে পাখা ব্লাক বোর্ডে মনে হল কিছু লিখছে।
 
বললাম আরে ভাই এই রুম বিএম কলেজের থাকার জন্য। এইখানে কি করেন। কোনো উত্তর নাই। আমি বসে আছি হঠাৎ মনে হল। আমার রুম থেকে বের হওয়া একান্ত দরকার। এ রকম ভাবতে ভাবতেই লোকটা আমার দিকে তাকাল। এমন মুখ আর দেখতে চাই না। ডান দিকের গালে চামড়া নাই দাঁত মাড়ি পর্যন্ত দেখতে পেলাম। বর্তমানের উইসান বোল্টের স্পিডে রুম খেকে বের হলাম। চার পাঁচ রুম পরে বাম দিকে সিঁড়ি। আর কোনো সিড়ি নাই। সিঁড়ি নেমেছি দেখি বেশ কজন বন্ধু ফিরছে। আমাকে রুদ্ধশ্বাসে নামতে দেখে বলল ব্যাপার কি। বলা শেষ করতে পারি নাই ওরা আমাকে নিয়ে দৌড়ে রুমে ঢুকল। রুমে কেউ নাই ।
(চলবে)
পথরেখা/আসো

 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।