• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:০০

স্মৃতির আয়নায় ফিরে দেখা -১৩

নির্বাচন চলে আসছে। আজ না হয়, আমার গল্পে নির্বাচন নিয়ে অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। ১৯৮৬ সালে আমার পোস্টিং ঘাটাইলে। তখন জেনারেল এরশাদ নির্বাচন দিলেন। করটিয়ার দায়িত্ব অমার উপর। করটিয়ার সাদত কলেজে আমাদের ক্যাম্প করলাম। পন্নি সাহেব স্বতন্ত্র দাঁড়িয়েছন। আমরা ৯ ডিভিশনের আন্ডারে। জেনারেল নুরুদ্দিন আমাকে ডেকে জানাল যে এরশাদ স্যারের লোককে যাতে জয়ী করার চেষ্টা করি। ওই ব্যক্তির নাম মনে নাই। জেনারেল এরশাদের দল থেকে দাঁড়িয়েছে আর আমাকে তার সাপোর্ট করতে হবে এ মেসেজ তার কাছে পৌঁছে যাওয়াতে সে যখন তখন এসে  ক্যাপ্টেন সাহেব চা কোথায়। চা দিতে বলেন- হলে ৪/৫ বন্ধু নিয়ে হাজির হন। এরশাদ স্যারের লোক তাই আমরাও বিগলিত করুনায় দেদারস চা পরোটা খাওয়াইয়া। তার আধিপত্য, বেসুর আওয়াজে উচ্চকণ্ঠে কথা অসহ্য তবু মানতে হয়।
 
তবে স্থানীয় রিপোর্ট হল পন্নি সাহেব বিরুল ভোটেই জিতবেন। ডিজিএফআই, এন এস আই তাদের রিপোর্টে এ সব তথ্য পাঠাচ্ছিল। এক দিন সন্ধ্যা বেলা ৯ ডিভিশন থেকে এক ডি আর (ডেস্প্যাচ রাইডার) মোটর সাইকেলে করে আসল। আমাকে বলল- স্যার, জিওসি  স্যার ডেকেছেন। জিপ নিয়ে রাতেই চলে গেলাম। স্যার বললেন সব খবর পাচ্ছি পন্নি সাহেবই জিতবে। তুমি এখনই গিয়ে বল, তিনি স্বতন্ত্র তবে জিতে গেলে যাতে স্যারর পার্টিতে যোগ দেয়। তার ডিমান্ড কি, তা কাল সকালে আমার কাছে এসে যাতে বলে। ফিরলাম। রাত দশটা বাজলে পর রওনা হলাম পন্নি সাহেবের বাসায়। সাথে আমার রানার। অত রাত তখনও পন্নি সাহেবের বাসাতে ভালই ভীড়। ইলেকশন বলে কথা।
 
আমি এসেছি সে খবর ভিতরে পৌছে দেয়া হল, পন্নি সাহেব আসে না। পন্নি সাহেবের হয়ে এক জন এসে বলল- কোন খারাপ কিছু। আমি বললাম অ্যারেস্ট করতে হলে ত শুধু রানার নিয়ে আসতাম না। পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট ও লগে আনতাম, কথা বলব। আসতে বলেন। বেশ কিছুক্ষণ পর আমাকে তার বসার ঘরে নিয়ে গেল, ছিমছাম সাজানো ঘর, আসলেন, উদ্বিগ্ন, বললাম একাই কথা বলব। তারপর জানালাম, জেনারেল নুরুদ্দিন স্যার আপনাকে দেখা করার কথা বলেছেন। আপনিত মোটর সাইকেলে পুরো এলাকাতে প্রচারণা করছেন। ভোর রাতে সাভারে স্যারের সাথে দেখা করেন- আপনার ডিমান্ড বিবেচনা করবেন। 
 
ক্যাম্পে আসলাম- এরশাদ স্যারের ভোটের প্রতিনিধি এসব জানেন না। সকালে এসেই চিৎকার ক্যাপ্টেন সাহেব কোথায়? নীচে আসেন। দোতালার রুম থেকে নামলাম। বললাম- এত সকালে কি কাজ। আকাশ থেকে পরলেন। বললেন- মশকরা করেন। বলা শেষ করার আগেই বললাম আসুন আর এ ক্যাম্পে আর ঢুকবেন না। সুবেদার সোলেমানকে বললাম উনাকে গেট পর্যন্ত এগিয়ে দিতে। ভাংগা গলায় জিজ্ঞেস করল কি হইছে স্যার। কি বলব, বললাম- আকেল মদ্দ কে লিয়ে ইশারায় কাফি। বাইরে গেলেই সব খবর পেতে থাকবেন।
[চলবে]
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।