• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:২৫

একাডেমি কাপে নতুন চমক দেশের ফুটবলে

  • ক্রীড়া -ফুটবল       
  • ০৩ জানুয়ারি, ২০২৪       
  • ৪৩
  •       
  • ০৩-০১-২০২৪, ২০:৪০:২২

পথরেখা অনলাইন :  বাংলাদেশের ফুটবলে সদ্য শেষ হওয়া বছরটি একেবারে খারাপ কাটেনি। বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব থেকে শুরু করে সাফ চ্যাম্পিয়নশীপের সেমিফাইনালে খেলা বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। এটি যেন নতুন বছরে অব্যহত থাকে সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে দেশের ফুটবল পরিচালনাকারী কর্মকর্তারা। বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য ২০২৩ সালকে সাফল্যমন্ডিত ‘বছর’ হিসেবে বিবেচনা করা যেতেই পারে। যার মধ্যে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের প্লে-অফ রাউন্ড পেরিয়ে আসার সাফল্যের সঙ্গে ফিফা র‍্যাংকিংয়ে উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। অনেকেই মনে করছেন সা¤প্রতিক সাফল্যে ফুটবলের পালে নতুন হাওয়া লেগেছে। এখনই সময় ফুটবলের দৈন্যদশা থেকে বেরিয়ে আসার কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনও (বাফুফে) নড়েচড়ে বসেছে। উদ্যোগ নিয়েছে একাডেমিভিত্তিক অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের। যে কোনো দেশের ফুটবলের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে বয়সভিত্তিক দলের ওপর। অল্প বয়স থেকে বিভিন্ন একাডেমি থেকে ফুটবলে হাতেখড়ি নেওয়া ফুটবলাররাই জায়গা করে নেয় জাতীয় আর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। সেই ভাবনা থেকে ফিফার অর্থায়নে প্রথমবার বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে ‘বাফুফে একাডেমি চ্যাম্পিয়নশিপ’।
 
বাফুফের তালিকায় ব্যক্তি উদ্যোগে প্রায় ২০০ ফুটবল একাডেমি রয়েছে। যার মধ্যে ১৭০টি অংশ নিচ্ছে বাফুফে একাডেমি চ্যাম্পিয়নশিপে। ডিসেম্বর কমলাপুর স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে একাডেমি চ্যাম্পিয়নশিপ। পর্যায়ক্রমে দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে এবারের আসরের খেলা। আশা করা হচ্ছে, একাডেমি চ্যাম্পিয়নশিপ বাংলাদেশের ফুটবলে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। তবে জরুরি হচ্ছে টুর্নামেন্টের নিয়মিত আয়োজন। এ নিয়ে ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ও বাফুফে সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূইয়া মানিক বলেছেন, ‘দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা থেকেই আমরা এমনটি করছি। ফিফা আমাদের ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্ট খাতে বিশেষভাবে কোটি টাকার মতো বরাদ্দ দিচ্ছে। আশা করছি ফিফার এ অর্থ দিয়ে এ প্রতিযোগিতা ভালোমতো সম্পন্ন করতে পারব।’ ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হবে সাফ ক্লাব কাপ চ্যাম্পিয়নশিপ। সাফের কম্পিটিশন কমিটির সভায় নতুন টুর্নামেন্টের ফরম্যাট ও বাইলজ চূড়ান্ত করা হয়েছে। সাফ সেক্রেটারি আনোয়ারুল হক হেলাল জানিয়েছেন, দক্ষিণ এশিয়ার সাত দেশের আট ক্লাব অংশ নেবে টুর্নামেন্টে।
 
তবে এএফসি আসরে খেলা কোনো দল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে পারবে না। কারণ টুর্নামেন্টের খেলা আয়োজিত হবে এএফসি আসরের উইন্ডোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে। সে ক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারী ক্লাবের নাম জমা দেবে সংশ্লিষ্ট দেশের ফেডারেশন। বাংলাদেশের ফুটবলের সা¤প্রতিক সাফল্যে দারুণ খুশি বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। অর্থের জোগান পেলে ঘরোয়া ফুটবলে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) চালু করতে চান। তাতে রেফারিং নিয়ে বিতর্ক লাঘব হবে। পেশাদার লিগ কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইমরুল হাসানের হাতে। বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি আর বাফুফের সহ-সভাপতি হয়েও ইমরুল নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন। বাংলাদেশে এক সময় নিয়মিত জেলাভিত্তিক ফুটবল লিগ অনুষ্ঠিত হয়েছে। যা এখন প্রায় স্থবির। যদিও জেলাভিত্তিক ফুটবল লিগ বা টুর্নামেন্ট আয়োজনের দায়িত্ব স্থানীয় কমিটির। নিজস্ব অর্থায়নে তারাই আয়োজন করে লিগ। বিভাগীয় আর জেলা ক্রীড়া সংস্থার ফুটবল কমিটিকে শুধু তৎপর দেখা যায় বাফুফে নির্বাচনে। এ ছাড়া যেন আর কোনো কাজ নেই। বাফুফে সভাপতি জেলা কমিটির দায় নিতে রাজি নন। তিনি জানিয়েছেন, জেলা পর্যায়ের লিগ স্থানীয় কমিটিকেই করতে হবে।
 
লিগ আয়োজনে বাফুফের পক্ষে ৬০-৭০ জেলাকে আর্থিক সহায়তা করাও সম্ভব না। জেলা লিগ কমিটির চেয়ারম্যান কয়েক লাখ টাকার সংস্থান করে প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে না পারলে সেটা দুঃখজনক। আবার এই অপরাধে লিগ কমিটির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকারও বাফুফের নেই! কাজী সালাউদ্দিন অনেক সমালোচনার পর সাফল্যের ছোঁয়া পেতে শুরু করেছেন। সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে তিনি বাফুফে সভাপতি পদে পুনরায় নির্বাচন করবেন। ২০২৪ সালে টানা পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশের ফুটবলের অভিভাবক হওয়ার জন্য নির্বাচনে লড়বেন সালাউদ্দিন। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘ফুটবলে আরও কিছু কাজ করার আছে আমার। আমরা সাউথ এশিয়ায় আধিপত্য করতে চাই। এর সঙ্গে মধ্য এশিয়াতে নিজেদের শক্তির জানান দিতে চাই। এটা করার জন্য আমি আরেকটা টার্ম নির্বাচন করব। আর এটাই হবে আমার শেষ নির্বাচন।’ সালাউদ্দিন সভাপতি থাকুন, কোনো সমস্যা নেই। মূল কথা হচ্ছে, বাংলাদেশের ফুটবল উন্নয়ন। যদিও হৃদরোগে হয়ে বড় ঝুকির মধ্যে ছিলেন বাফুফে বস। সামনের সময়গুলো তার জন্য কঠিন বিপদের।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।