• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:৩১

এবার অনুর্ধ্ব-১৯ দলের বিশ্বকাপ মিশন

পথরেখা অনলাইন : প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এবার বিশ্বকাপ খেলতে দক্ষিন আফ্রিকা গেছে বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। যুব বিশ্বকাপ মিশনে বদলে যাওয়া ফরম্যাটে ভাগ্য বদলের খোঁজে এবার দল। শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযানে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে এবার নতুন বিন্যাসে খেলবে দল। প্রথাগত কোয়ার্টার-ফাইনালের বদলে এবার প্রথম পর্ব শেষে হবে সুপার সিক্স রাউন্ড। সেখান থেকে সেমিফাইনাল পেরিয়ে শিরোপা নির্ধারণী লড়াই। গত সেপ্টেম্বরে শ্রীলঙ্কাকে আয়োজক ধরে বিশ্বকাপ সূচি ঘোষণা করার সময় প্রথম ফরম্যাট বদলের কথা জানায় আইসিসি। পরে দক্ষিণ আফ্রিকাকে স্বাগতিক হিসেবে বেছে নেওয়ার পর দেওয়া হয় নতুন সূচি। সেখানেও অপরিবর্তিত রাখা হয় নতুন বিন্যাস। আগামী ১৯ জানুয়ারি শুরু হবে যুব বিশ্বকাপের ১৫তম আসর। অংশগ্রহণকারী ১৬ দলকে ভাগ করা হয়েছে চারটি গ্রুুপে। প্রতিটি গ্রুুপ থেকে সেরা তিনটি দল পাবে সুপার সিক্স পর্বের টিকেট। সেখানে ‘এ’ ও ‘ডি’ গ্রুপের দলগুলো থাকবে একটি গ্রুপে। আরেক গ্রুপে থাকবে ‘বি’ ও ‘সি’ গ্রুপের দলগুলো। এই দুই গ্রুপের শীর্ষ দুটি করে দল সেমিফাইনাল খেলার সুযোগ পাবে।
 
যদিও সুপার সিক্স পর্বে প্রতিটি দল একে অপরের মুখোমুখি হবে না। এখানে তারা পাবে স্রেফ দুটি করে ম্যাচ। অন্য গ্রুপ থেকে আসা পয়েন্ট টেবিলের সমপর্যায়ের দলের বিপক্ষে কোনো ম্যাচ খেলবে না তারা। অন্য দুটি দলের বিপক্ষে খেলবে একটি করে ম্যাচ। স্বাভাবিকভাবেই নিজ গ্রুপ থেকে আসা দল দুটির বিপক্ষেও নেই কোনো ম্যাচ। উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক, ‘এ’ গ্রুপ বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন, ভারত দ্বিতীয় ও আয়ারল্যান্ড তৃতীয় হয়ে সুপার সিক্সে গেল। আর ‘ডি’ গ্রুপ থেকে নিউজিল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন, পাকিস্তান দ্বিতীয় ও আফগানিস্তান তৃতীয় হলো। সুপার সিক্স রাউন্ডে ভারত ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ থেকে পাওয়া পয়েন্ট সঙ্গে নিয়ে যাবে বাংলাদেশ। একইভাবে ভারতের পাশে থাকবে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের পয়েন্ট। আয়ারল্যান্ডের নামের পাশেও থাকবে ভারত ও বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের পয়েন্ট।
 
অর্থাৎ বাংলাদেশ যদি প্রাথমিক গ্রুপে ভারত ও আয়ারল্যান্ডকে হারায়, তাহলে সুপার সিক্স শুরুর আগেই তাদের নামের পাশে থাকবে ৪ পয়েন্ট। এর সঙ্গে যোগ হবে সুপার সিক্সের দুই ম্যাচের পয়েন্ট। এভাবে পয়েন্ট হিসাব করে ঠিক হবে সেমিফাইনালের ওঠার ভাগ্য। সুপার সিক্সে ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে বাংলাদেশের দুই ম্যাচ হবে ‘ডি’ গ্রুপের দ্বিতীয় পাকিস্তান ও তৃতীয় আফগানিস্তানের বিপক্ষে। ‘এ’ গ্রুপের দ্বিতীয় দল ভারত খেলবে ‘ডি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড ও তৃতীয় আফগানিস্তানের বিপক্ষে। আর ‘ডি’ গ্রুপের প্রথম দুই দল নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে ‘এ’ গ্রুপে তৃতীয় হওয়া আয়ারল্যান্ড। একইভাবে বিন্যাস হবে ‘বি’ ও ‘সি’ গ্রুপ থেকে ওঠা ছয় দল নিয়ে অন্য সুপার সিক্স গ্রুপের খেলা। এই পর্ব শেষে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা দুটি করে দল যাবে শেষ চারে। গত আসরগুলোর মতো এবার রাখা হয়নি কোনো স্থান নির্ধারণী ম্যাচ। টুর্নামেন্টের আগের আসরগুলোতে চার গ্রুপ থেকে দুটি করে দল পেত কোয়ার্টার-ফাইনালের টিকেট। সেখানে হেরে যাওয়া চার দল আবার পেত পঞ্চম থেকে অষ্টম স্থান নির্ধারণী প্লে-অফ খেলার সুযোগ।
 
এরপরে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া দুই দলকে নিয়ে হতো তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ। আর গ্রুপ পর্বে বাদ পড়ে যাওয়া বাকি দুটি করে দল নিয়ে শুরু হতো প্লেট রাউন্ড। সেখানে প্লে-অফ শেষে ঠিক করা হতো টুর্নামেন্টের নবম থেকে ষোড়শ দল। এবার প্রাথমিক গ্রুপ থেকে বাদ পড়া চার দলের জন্য থাকছে বাড়টি একটি ম্যাচ। ‘এ’ গ্রুপের চতুর্থ দল খেলবে ‘ডি’ গ্রুপের চতুর্থ দলের সঙ্গে আর ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল খেলবে ‘সি’ গ্রুপের চতুর্থ দলের সঙ্গে। বিন্যাস বদলের পর এবার কমেছে ম্যাচের সংখ্যা। গত আসরগুলোতে ১৬ দলের আসরে খেলা হয়েছে ৪৮টি করে। এবার ২৪ দিনের টুর্নামেন্টে দক্ষিণ আফ্রিকার পাঁচটি ভিন্ন মাঠে গড়াবে ৪১টি ম্যাচ। ব্লুমফন্টেইনে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিন স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পচেফস্ট্রমে একই দিন অন্য ম্যাচে মাঠে নামবে আয়ারল্যান্ড-যুক্তরাষ্ট্র। বেনোনিতে ৬ ও ৮ ফেব্রুয়ারি মাঠে গড়াবে দুই সেমিফাইনাল। একই মাঠে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি হবে শিরোপা নির্ধারণী লড়াই।
 
ব্লুমফন্টেইনে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ২০ জানুয়ারি, প্রতিপক্ষ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত। একই মাঠে ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের অন্য দুই ম্যাচ ২২ ও ২৬ জানুয়ারি যথাক্রমে আয়ারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। ব্লুমফন্টেইন, পচেফস্ট্রুম ও বোনোনি ছাড়াও ইস্ট লন্ডন ও কিম্বার্লিতে হবে এবারের বিশ্বকাপের খেলা। ২০২০ সাল। করোনা শুরুর ঠিক আগের কথা। যুব বিশ্বকাপ খেলছে বাংলাদেশ। বয়সভিত্তিক পর্যায়ের বিশ্বকাপ, তাই সেভাবে সবার মনোযোগের কেন্দ্রে ছিল না এই আসর। কিন্তু হঠাৎ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সুখবর পেল বাংলাদেশ, ভারতকে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্বজয়ের স্বাদ নিয়েছে যুবারা। প্রথমবার ক্রিকেটের কোনো বিশ্ব আসরের শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছে বাংলাদেশ। সেই দক্ষিণ আফ্রিকায় আবারও বিশ্বকাপ খেলতে গেল লাল সবুজের যুবারা। 
পথরেখা/আসো
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।