• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:০০

স্মৃতির আয়নায় ফিরে দেখা -১৫

 

নির্বাচন শেষ হল। শহর বাদ দিলে গ্রাম গঞ্জে বিনোদনের বড়ই অভাব। নির্বাচন এলে সর্বত্র এক ঝাকানাকা অনূভুতি নাড়া দেয়। এবারও তার ব্যত্তয় ঘটেনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয় নি। বিএনপি অফিসে তালা- কেন তালা; তাদের দল কি রাজনীতির জন্য নন গ্রাটা? কেন যেন নির্জীব। বিএনপিতে সব কুণ্ডলি পাকিয়ে শীতের উম উপভোগ করে স্থবির। বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ।
 
উপমহাদেশের শতবর্ষের ইতিহাস দেখলে দেখা যায় আমরা নেতা নির্ভর। নেতা যুদ্ধে মারা গেলে দল হেরেই যায়। কালিন্দ যুদ্ধে শেরশাহ কামানের গোলাতে আহত হবার পরও যুদ্ধ জিতা পর্যন্ত মনের জোরে বেঁচে ছিলেন। জয়ী হবার সংবাদ আসার পর মৃত্যুবরণ করেন। যুদ্ধ চলা অবস্থায় মারা গেলে শেরশাহ জানতেন দল হেরে যাবে। এই নেতা-কালচার আমরা বহন করি। বিএনপি; এমন কি আওয়ামী লীগও পরবর্তী নেতাকে হবেন তা নির্ধারিত হয়নি। বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতালের বেডে অসুস্থ আর সমগ্র দল উনার সুস্থতার জন্য উৎকন্ঠিত। হাসপাতালের কথা আসাতে অবাক আর লজ্জিত হতে হয় যখন চার বছরের ছেলে আয়ান খৎনা করাতে গিয়ে মারা যায়। সব হেভি হেভি ইউনাইটেড হাসপাতালের ডাক্তারদের হাতে। ১৭ কোটি জনসংখ্যার ৯০% মুসলমান। এদের ৭০% গ্রাম গঞ্জের। সবাই খাৎনা করিয়েছেন। মৃত্যু সংখ্যা শূন্যের কোঠায়। ইউনাইটেডের এই বিজ্ঞ ডাক্তারদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি। 
 
উল্টা পাল্টা করলে লোকের চোখে পরে। জাতীয় পার্টি ১১ জন জিতেই এখন পর্যন্ত বিরোধী দল। কেননা স্বতন্ত্র ৬২ জন। মুজিবুল হক চুন্নু অনেকক্ষণ ফাল পারল শপথ এক সাথে নিব না। পরে দেখল এই আহাজারিতে সমর্থন নাই। তখন ‘না মিটিতে আশা ভাংগিল খেলা’র মধ্যে পরে যদি একুল ওকুল দুকুল হারায়। তাই লেজ গুটিয়ে শপথ নিয়ে বিরোধী দল নেতা হতেই প্রস্তুত। সংবিধানে অবশ্য বিরোধী দল থাকতেই হবে নির্দিষ্ট করা নাই। এখন স্পিকারের ইচ্ছা।
 
বেনানা রিপাবলিক হল অর্থনৈতিক আর রাজনৈতিকভাবে আনস্টাবেল করা। বিএনপির মাথা বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ, মেজর হাফিজ বললেন বিএনপিতে কেউ নাই সরাসরি বেগম সাহেবার সামনে যাওয়ার। আগে প্রয়াত সাইফুর রহমান যেতেন। যার ফলে দূরের বাদ্য লাভ কি শুনে মাঝখানে যে বিরাট ফাঁক। এই ‘ফাঁকটা নির্দেশটা কি ছিল তার যর্থাথতা নিয়ে সন্দেহ তৈরি করে। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ না নেওয়াতে দলটি মিশরের মমি হয়ে যাচ্ছে। টেবিলে পরে আছে। ভাল খারাপ করার ক্ষমতা নাই, তবে উৎসুক জনতার অভাব নাই। ভুল বললাম- খারাপ করার দক্ষতা আছে। ট্রেনে বগিতে আগুন, আরে ভাই খালি বগিতে আগুন দিলেইত প্রতিবাদ হয়। মানুষ ছোট্ট শিশুসহ বগিতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা কেন? আমি বিএনপির কাছে এর জবাব চাই; চাই ই চাই।
 
আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনাকে কঠিন পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত দক্ষতায় দলীয় বিমানকে ল্যান্ড করাতে হয়েছে। জয়ী হওয়ার পর শুধু সরকার গঠন করলেই চলবে না। দেশকে এগিয়ে নেবার শপথ চাই।
[চলবে]
পথরেখা/আসো
 
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।