নির্বাচন শেষ হল। শহর বাদ দিলে গ্রাম গঞ্জে বিনোদনের বড়ই অভাব। নির্বাচন এলে সর্বত্র এক ঝাকানাকা অনূভুতি নাড়া দেয়। এবারও তার ব্যত্তয় ঘটেনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয় নি। বিএনপি অফিসে তালা- কেন তালা; তাদের দল কি রাজনীতির জন্য নন গ্রাটা? কেন যেন নির্জীব। বিএনপিতে সব কুণ্ডলি পাকিয়ে শীতের উম উপভোগ করে স্থবির। বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ।
উপমহাদেশের শতবর্ষের ইতিহাস দেখলে দেখা যায় আমরা নেতা নির্ভর। নেতা যুদ্ধে মারা গেলে দল হেরেই যায়। কালিন্দ যুদ্ধে শেরশাহ কামানের গোলাতে আহত হবার পরও যুদ্ধ জিতা পর্যন্ত মনের জোরে বেঁচে ছিলেন। জয়ী হবার সংবাদ আসার পর মৃত্যুবরণ করেন। যুদ্ধ চলা অবস্থায় মারা গেলে শেরশাহ জানতেন দল হেরে যাবে। এই নেতা-কালচার আমরা বহন করি। বিএনপি; এমন কি আওয়ামী লীগও পরবর্তী নেতাকে হবেন তা নির্ধারিত হয়নি। বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতালের বেডে অসুস্থ আর সমগ্র দল উনার সুস্থতার জন্য উৎকন্ঠিত। হাসপাতালের কথা আসাতে অবাক আর লজ্জিত হতে হয় যখন চার বছরের ছেলে আয়ান খৎনা করাতে গিয়ে মারা যায়। সব হেভি হেভি ইউনাইটেড হাসপাতালের ডাক্তারদের হাতে। ১৭ কোটি জনসংখ্যার ৯০% মুসলমান। এদের ৭০% গ্রাম গঞ্জের। সবাই খাৎনা করিয়েছেন। মৃত্যু সংখ্যা শূন্যের কোঠায়। ইউনাইটেডের এই বিজ্ঞ ডাক্তারদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।
উল্টা পাল্টা করলে লোকের চোখে পরে। জাতীয় পার্টি ১১ জন জিতেই এখন পর্যন্ত বিরোধী দল। কেননা স্বতন্ত্র ৬২ জন। মুজিবুল হক চুন্নু অনেকক্ষণ ফাল পারল শপথ এক সাথে নিব না। পরে দেখল এই আহাজারিতে সমর্থন নাই। তখন ‘না মিটিতে আশা ভাংগিল খেলা’র মধ্যে পরে যদি একুল ওকুল দুকুল হারায়। তাই লেজ গুটিয়ে শপথ নিয়ে বিরোধী দল নেতা হতেই প্রস্তুত। সংবিধানে অবশ্য বিরোধী দল থাকতেই হবে নির্দিষ্ট করা নাই। এখন স্পিকারের ইচ্ছা।
বেনানা রিপাবলিক হল অর্থনৈতিক আর রাজনৈতিকভাবে আনস্টাবেল করা। বিএনপির মাথা বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ, মেজর হাফিজ বললেন বিএনপিতে কেউ নাই সরাসরি বেগম সাহেবার সামনে যাওয়ার। আগে প্রয়াত সাইফুর রহমান যেতেন। যার ফলে দূরের বাদ্য লাভ কি শুনে মাঝখানে যে বিরাট ফাঁক। এই ‘ফাঁকটা নির্দেশটা কি ছিল তার যর্থাথতা নিয়ে সন্দেহ তৈরি করে। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ না নেওয়াতে দলটি মিশরের মমি হয়ে যাচ্ছে। টেবিলে পরে আছে। ভাল খারাপ করার ক্ষমতা নাই, তবে উৎসুক জনতার অভাব নাই। ভুল বললাম- খারাপ করার দক্ষতা আছে। ট্রেনে বগিতে আগুন, আরে ভাই খালি বগিতে আগুন দিলেইত প্রতিবাদ হয়। মানুষ ছোট্ট শিশুসহ বগিতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা কেন? আমি বিএনপির কাছে এর জবাব চাই; চাই ই চাই।
আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনাকে কঠিন পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত দক্ষতায় দলীয় বিমানকে ল্যান্ড করাতে হয়েছে। জয়ী হওয়ার পর শুধু সরকার গঠন করলেই চলবে না। দেশকে এগিয়ে নেবার শপথ চাই।
[চলবে]
পথরেখা/আসো