পথরেখা অনলাইন : রোহিত শর্মার শতরান। ব্যর্থ ভারতীয় ব্যাটিংয়ের রক্ষা কর্তা হলেন স্বয়ং অধিনায়ক। বেঙ্গালুরুতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী মেজাজে রোহিত। তাঁর সঙ্গী হলেন রিঙ্কু সিংহ। দু'জনে মিলে শেষ চার ওভারে তুললেন ৮১ রান। তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২০ ওভারে ভারত তুলল ২১২ রান।
প্রথম দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জিতে সিরিজ ভারতের। শেষ ম্যাচ শুধুই নিয়মরক্ষার। সেই ম্যাচে অন্য ব্যাটারেরা ব্যর্থ হলেও রোহিত ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। এমন ম্যাচকে জমিয়ে দিয়েছিল আফগানরা। তারাও তিন হাফসেঞ্চুরিতে ছুঁয়েছিল ভারতের ২১২/৬ রান। ম্যাচে গুলবাজ (৫০), জাদরান (৫০) এবং গুলবাদিনের (৫৫) হাফসেঞ্চুরি ছাড়াও মোহাম্মদ নবীর ৩৪ রান টাই করতে সহায়তা করে। ম্যাচ গড়িয়েছিল সুপার ওভারে। সেখানে প্রথম সুপার ওভারের ১৬ রানে টাই দুই দলের। ক্রিকেট নতুন নিয়মে দ্বিতীয় সুপার ওভারে ভারত ১১ রান তুলেছিল। জবাবে মাত্র ১ রানে ২ উইকেট হারিয়েছিল আফগানরা। তাতে ইতিহাসের প্রথম দ্বিতীয় সুপার ওভারে গড়ানো ম্যাচে ১০ রানে জয় পেয়েছে ভারত।
যদিও ভারতের শুরুটা একবারে বাজেভাবে হয়েছিল। রোহিত এবং রিঙ্কু ছাড়া কেউ রান পাননি। ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল ৪ রান করে আউট হয়ে যান। বিরাট কোহলি এবং সঞ্জু স্যামসন প্রথম বলেই আউট হয়ে যাওয়ার পর বেঙ্গালুরুতে সমর্থকেরা শান্ত হয়ে গিয়েছিলেন। শিবম দুবে করেন ১ রান। ২৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ভারত ধুঁকছিল। আফগানিস্তানের বোলারেরা ভাবছিলেন এই ম্যাচে ভারতকে কম রানে আটকে রাখা যাবে। কিন্তু সব হিসাব পাল্টে দিলেন রোহিত এবং রিঙ্কু।
১৯০ রানের জুটি গড়েন রোহিত এবং রিঙ্কু। তাঁরা খেলেন মাত্র ১০০ বল। রোহিত অপরাজিত থাকেন ১২১ রানে। টি-টোয়েন্টিতে এটাই রোহিতের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। রিঙ্কু অপরাজিত রইলেন ৬৯ রানে। রিঙ্কুরও এটা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। দু'জনে মিলে মোট ১৪টি ছক্কা মারেন। এর মধ্যে ইনিংসের শেষ তিনটি বলে ছক্কা মারেন রিঙ্কু। ইনিংসের শুরুতে রোহিতের ব্যাটে লেগে একটি বল বাউন্ডারি পার করলেও আম্পায়ার লেগ বাইয়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেটা নিয়ে আম্পায়ারের কাছে প্রশ্নও করতে দেখা যায় রোহিতকে। ইনিংস শেষে যদিও ভারত অধিনায়কের সেই চার রান না পাওয়ার দুঃখ থাকবে না। আফগানিস্তানের বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করলেন রোহিত। সঙ্গ দিলেন রিঙ্কু।
পথরেখা/আসো