• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:২৪

গুরুত্বহীন ম্যাচে নয়া ইতিহাস ভারতের

পথরেখা অনলাইন : রোহিত শর্মার শতরান। ব্যর্থ ভারতীয় ব্যাটিংয়ের রক্ষা কর্তা হলেন স্বয়ং অধিনায়ক। বেঙ্গালুরুতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী মেজাজে রোহিত। তাঁর সঙ্গী হলেন রিঙ্কু সিংহ। দু'জনে মিলে শেষ চার ওভারে তুললেন ৮১ রান। তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২০ ওভারে ভারত তুলল ২১২ রান।
 
প্রথম দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জিতে সিরিজ ভারতের। শেষ ম্যাচ শুধুই নিয়মরক্ষার। সেই ম্যাচে অন্য ব্যাটারেরা ব্যর্থ হলেও রোহিত ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। এমন ম্যাচকে জমিয়ে দিয়েছিল আফগানরা। তারাও তিন হাফসেঞ্চুরিতে ছুঁয়েছিল ভারতের ২১২/৬ রান। ম্যাচে গুলবাজ (৫০), জাদরান (৫০) এবং গুলবাদিনের (৫৫) হাফসেঞ্চুরি ছাড়াও মোহাম্মদ নবীর ৩৪ রান টাই করতে সহায়তা করে। ম্যাচ গড়িয়েছিল সুপার ওভারে। সেখানে প্রথম সুপার ওভারের ১৬ রানে টাই দুই দলের। ক্রিকেট নতুন নিয়মে দ্বিতীয় সুপার ওভারে ভারত ১১ রান তুলেছিল। জবাবে মাত্র ১ রানে ২ উইকেট হারিয়েছিল আফগানরা। তাতে ইতিহাসের প্রথম দ্বিতীয় সুপার ওভারে গড়ানো ম্যাচে ১০ রানে জয় পেয়েছে ভারত। 
 
যদিও ভারতের শুরুটা একবারে বাজেভাবে হয়েছিল। রোহিত এবং রিঙ্কু ছাড়া কেউ রান পাননি। ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল ৪ রান করে আউট হয়ে যান। বিরাট কোহলি এবং সঞ্জু স্যামসন প্রথম বলেই আউট হয়ে যাওয়ার পর বেঙ্গালুরুতে সমর্থকেরা শান্ত হয়ে গিয়েছিলেন। শিবম দুবে করেন ১ রান। ২৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ভারত ধুঁকছিল। আফগানিস্তানের বোলারেরা ভাবছিলেন এই ম্যাচে ভারতকে কম রানে আটকে রাখা যাবে। কিন্তু সব হিসাব পাল্টে দিলেন রোহিত এবং রিঙ্কু।
 
১৯০ রানের জুটি গড়েন রোহিত এবং রিঙ্কু। তাঁরা খেলেন মাত্র ১০০ বল। রোহিত অপরাজিত থাকেন ১২১ রানে। টি-টোয়েন্টিতে এটাই রোহিতের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। রিঙ্কু অপরাজিত রইলেন ৬৯ রানে। রিঙ্কুরও এটা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। দু'জনে মিলে মোট ১৪টি ছক্কা মারেন। এর মধ্যে ইনিংসের শেষ তিনটি বলে ছক্কা মারেন রিঙ্কু। ইনিংসের শুরুতে রোহিতের ব্যাটে লেগে একটি বল বাউন্ডারি পার করলেও আম্পায়ার লেগ বাইয়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেটা নিয়ে আম্পায়ারের কাছে প্রশ্নও করতে দেখা যায় রোহিতকে। ইনিংস শেষে যদিও ভারত অধিনায়কের সেই চার রান না পাওয়ার দুঃখ থাকবে না। আফগানিস্তানের বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করলেন রোহিত। সঙ্গ দিলেন রিঙ্কু।
পথরেখা/আসো
 
 
 
 
 
 
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।