বছর ধরেই গলফ খেলা যায়। সময় সাপেক্ষ আর খরচ বেশী হওয়াতে অনেকটাই জন বিচ্ছিন্ন। আমাদের আছে ২১ টা গলফ কোর্স।আর্মি গলফ ক্লাব সব কিছু মেনে ক্যাটেগরি-১ এর প্রথমেই। কুর্মিটোলা, ঘাটাইল, যশোহর আর খাগড়াছড়ির গলফ কোর্সগুলি আধুনিক আর ক্যাটেগরি -১ এর। পতেঙ্গা আর রংপুর আছে দ্বিতীয় ক্যাটেগরির। গাজীপুর, মৌলভীবাজার, নড়াইল আর শ্রীমংগল তৃতীয় ক্যাটেগরির। চতুর্থ ক্যাটেগরির পতেংগা, খুলনা এবং ব্যক্তিগত পরিচালিত জিরাব গলফ কোর্স। গলফ খেলা দেশের ভাবমূর্তির অংশ। ব্যবসা, সরকারি বা বেসরকারি কাজে যারাই আসেন তারা গলফ খেলতে আগ্রহী, এ ট্রেন্ডস চলছে।
গলফ শুরু হয় ১৫শ শতকে স্কটল্যান্ডে।এটা আধুনিক গলফ। তবে রোমানার পেগানিকা নামে যে খেলা খেলত তার সাথে বর্তমান গলফের প্রচুর মিল। খৃষ্ট পূর্ব প্রথম শতকে প্রায় পুরো ইউরোপ রোমানার কব্জা করে সেই সাথে ইউরোপ ব্যাপি গলফও প্রসার লাভ করে। সব কিছুতেই চীনের ছোয়া আছে, তারা চুই ওয়ান নামে যে খেলা খেলত, চুই মানে হিট মারা অর ওয়ান হল বল চীনরা গলফ ধরনের খেলাই খেলত। এখন ট্যুরিজমের সাথে রাখি বন্ধনে আবদ্ধ বলাই যায়।
বাংলাদেশে গলফ শুরু হয় ১৯৫০ সনে। তবে সেভাবে গলফ চর্চা হচ্ছিল না। গল্ফ ১৯৯০ সনে একটা গভর্নিংবডির সৃষ্টি করে। বিজিএফ বা বাংলাদেশ গলফ ফেডেরেশন ১৯৯৮ সনে জন্ম লাভ করে।বাংলাদেশের প্রথম পাঁচজন গলফার হল- সিদ্দিকুর, জামাল, আকবর, বাদ আর সায়েম। সিদ্দিকুর ২০১৬ সনে রিও ডি জেনেরিওতে সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। এ্যামেচার আর প্রফেশনাল গলফাররা সব্বাই এশিয়ার গলফ মান ধরে রেখেছেন।
গলফ প্রচারে প্রথম দরকার টিন এজারদের আগ্রহ, গলফ গিয়ারসের এত মূল্য যে ইচ্ছা থাকতেও পিছিয়ে যাচ্ছে যুবকরা। টুর্নামেন্ট আরো বেশী করা। গিয়ারসের মূল্য কমানো। আর প্রচার বাড়ালেই গলফ খেলা প্রিয় জাতির আগ্রহের খেলাতে পরিণত হবে।
লেখক জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব