• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২০:৩৬

হকি : কৃত্রিম মাঠের সংযোজন

হকির যাদুকর বলা হয় ধ্যান চাঁদকে। ১৯২৮,৩২,৩৬ এই তিন অলিম্পিক গোল্ড তার একবার স্টিকের  ছন্দে ভারত পেয়েছিল। মেজর ধ্যান চাঁদা তার ইউনিট ঝাসি হিরোজ নিয়ে ঢাকার পিলখানাতে ছিলেন, তার ভাই অলিম্পিয়ান রূপচাঁদ ও ওই ইউনিটে ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়রে মাঠে অনুশীলন করতে আসতেন, আমার বাবা শামসুদ্দিন চাকলাদার ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় দলের হকি অধিনায়ক প্রায়ই অনুশীলন ম্যাচ হতো। সব সময়ই এ উপমহাদেশ ‘দাদা গিরি’ দেখিয়েছে ইউরোপীয়দের উপর। শারীরিকভাবে ইউরোপীয়দের থেকে পিছনে থাকলেও স্টিক ওয়ার্ক আর বল কন্ট্রোলে বারবার শুধু হারেই নাই, এবারও হয়েছে সাদা চামড়ারা। অন্তর্জাতিক হকির শাসন ইউরোপীয়দের হাতেই। কৃত্রিম মাঠে রাগবি খেলা হয়, ১৯৭৬ সনের মন্ট্রিল অলিম্পিকে প্রথমবারের মতন কৃত্রিম মাঠে হকি চালু হল। 
 
এ মাঠে খেলার শুরুতে চার হাজার গ্যালন আর হাফ টাইমে আর দুই হাজার গ্যালন পানি ঢালতে হয়, বিরাট এক কার্পেট তা আবার অতি মসৃণ এমনই মাঠের ‘সারফেসে’ খেলা দ্রুত গতি হতে বাধ্য। মাঠ মসৃন হওয়াতে হঠাৎ বল লাফিয়ে উঠে শরীরে লেগে ফাউল হবার ভয়ও কম, ফাউল হলে কিছুক্ষনের জন্য ছোট্ট রেস্ট এ দম জমা করা যায়। টার্ফে সে সুযোগ নৈবচ্য। অনেক এস আছে তবে স্টেমিনা, স্পিড আর স্কিল এ তিন বাদে পুরো খেলা নান্দনিকভাবে সম্পন্ন করা অসম্ভব। উপমহাদেশ স্কিল মানে হাতের দখলে স্টিকে ছন্দ তুলে দর্শককে আপ্লুত করে তবে বল যত স্টিকে থাকবে তত স্টেমিনা লস হবে আর গতির মাঠে এ সব কারিকুরি বুমেরাং হয়ে নিজেদেরই সর্বনাশ করে। ইউরোপীয় বুঝে বিজিনেস, নো দর্শক মজা। পেনাল্টি কর্নার আদায় কর তা থেকে গোল আদায় কর। ওদের খেলাতে ফিল্ড গোল হয়ই না বলা চলে। এ মাতব্বরি ইউরোপীয়রা পেয়েছে আর্টিফিসিয়াল মাঠ সংযোজন করার পরই। ওরা নির্ভর করে স্টেমিনা আর স্পিডের উপর আর আমরা স্কিল যেটা আবার ড্রিবলিং নির্ভর। কৃত্রিম মাঠ নীল কালারের। হকি খেলা অতি দ্রুত। হলুদ বলের বিপরীতে নীল মাঠ এই জন্যই যে দ্রুত গতির খেলাতে খেলোয়াড় বলকে সহজেই দৃষ্টির সিমানায় রাখতে পারে।
 
আমরা স্কিলে প্রচুর দক্ষ। স্টেমিনা আর স্পিডে প্রথম থেকেই প্রয়োজন শারীরিক স্বচ্ছন্দতা। এর জন্য দরকার সুষম খাদ্য। আমি মনে করি বিশ্বকে চমকে দিকে হলে বছর ব্যাপী হকি ক্যাম্প করা। এ দল বি দল আর সি দল তৈরি করা।
শেষ হয়েও হইল না শেষ। আরো দশটি টার্ফ এনে জেলা শহরগুলোতে সংযোজন করা। ঘাসের মাঠে আমরা পায়ের টোর উপর নির্ভর করে দৌড়াই, ভিজা টার্ফে ফ্লাট ফুটেড দৌড়াতে হয় এতে ক্কাফ মাসেলে বেশী চাপ পরে, কোমড়ের নীচ যাতের জন্মগত শক্তিশালী তারা সহজাত ভাবেই এই টার্ফে ভাল খেলবে। রামা লুসাই, জনডন লুসাই এরা পাহাড়-জীবনে উচুতে উঠা নামতে শারীরিক ভাবেই কৃত্রিম  মাঠ এদের স্বাভাবিক খেলাতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে না। 
 
মাঠে না দৌড়ে স্টেডিয়ামের সিড়িতে উঠা নামা করে চক্কর কাটলে কৃত্রিম মাঠ আর অপরিচিতর মতন ব্যবহার করবে না। হকি খেলোয়াড়, আম্পায়ার, কোচ সবই এশিয় মানের, দরকার এদের আর্থিক সাপোর্ট। এ জন্য হকি কর্তারা স্পন্সর যোগাড় করুন। 
লেখক : সাবেক জাতীয় হকি দল অধিনায়ক এবং জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।