পথরেখা অনলাইন : বোলারদের পর ব্যাটারদের দায়িত্বপূর্ণ পারফরমেন্সে অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সুপার সিক্সে গ্রুপ-১এ নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশ ৫ উইকেটে হারিয়েছে নেপালকে। এই জয়ে যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখলো বাংলাদেশ। ৩ ম্যাচে সমান ৬ করে পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষ দু’টিস্থানে আছে ভারত ও পাকিস্তান। ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয়স্থানে বাংলাদেশ। সুপার সিক্সে নিজেদের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি বেনোনিতে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে খেলতে হলে ঐ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জিততে হবে বাংলাদেশকে। হেরে গেলে সুপার সিক্স থেকে বিশ^কাপ শেষ করবে ২০২০ সালের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ।
ব্লুমফন্টেইনে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ২৯ রানে ৩ উইকেট হারায় নেপাল। এসময় ১টি করে উইকেট শিকার করেন দুই পেসার মারুফ মৃধা-ইকবাল হোসেন ইমন ও বর্ষন। চতুর্থ উইকেটে বাংলাদেশের বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে ৬২ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক ডেভ খানাল ও বিশাল বিক্রম। ৩৫ রান করা খানালকে শিকার করে বাংলাদেশকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন অফ-স্পিনার জিশান আলম। ৯১ রানে চতুর্থ উইকেট পতনের পর নেপালের বাকী উইকেটগুলো ভাগাভাগি করে নেন বর্ষন ও জীবন। এতে ১ বল বাকী থাকতে ১৬৯ রানে অলআউট হয় নেপাল। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন বিশাল। বল হাতে বর্ষন ৮ দশমিক ৫ ওভারে ১৯ রানে ৪ এবং জীবন ১০ ওভারে ৩৪ রানে ৩ উইকেট নেন। এছাড়া ইমন-মারুফ ও জিশান ১টি উইকেট শিকার করেন।
১৭০ রানের টার্গেটে ৭০ বলে ৬৭ রানের সূচনা করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার জিশান ও আশিকুর রহমান শিবলি। জুটিতে ৩৪ বলে ১৬ রান করে ফিরেন শিবলি। ১টি করে চার-ছক্কায় শুরু করলেও, ১১ বলে ১৫ রানে থামেন তিন নম্বরে নামা এমডি রিজওয়ান। সতীর্থদের যাওয়া আসার মাঝে হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে দলীয় ৯২ রানে আউট হন জিশান। ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৩ বলে ৫৫ রান করেন জিশান। জিশান ফেরার পর নেপালের বোলারদের উপর চড়াও হন গ্রুপ পর্বে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা আরিফুল ইসলাম। তার ৩৮ বলে ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় অনবদ্য ৫৯ রানের সুবাদে ১৪৮ বল বাকী রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
পথরেখা/আসো