• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:২১

নারী ক্রিকেটারদের সামনে শিরোপার হাতছানি

মোয়াজ্জেম হোসেন রাসেল : সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে দারুণ সময় কাটাচ্ছে বাংলাদেশ নারী জাতীয় ক্রিকেট দল। দেশে ও দেশের বাইরে লাল-সবুজ পতাকার মান সমুজ্জল করে চলেছেন নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। বড় বোনদের দেখিয়ে দেওয়া পথে দারুণভাবেই হাটছেন উনিশ না পেরুনো মেয়েরা। তিন জাতি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে অপরাজিত থেকে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে জুনিয়র টাইগাররা। শুক্রবার ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামতে যাচ্ছে কিশোরীদের দলটি। তিন জাতির অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি নারী ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল আগেই নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। সবশেষ ম্যাচে পাকিস্তান নারী যুবাদের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল আনুষ্ঠানিকতার। তবে পাকিস্তানের জন্য ছিল ফাইনালে উঠার সমীকরণের ম্যাচ। এমন সমীকরণের ম্যাচে টাইগার নারী যুবারা পাত্তাই দেয়নি পাকিস্তানকে। সাগর কণ্যা খ্যাত কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তানকে ৪ উইকেটে হারিয়ে টানা চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ।
 
টুর্নামেন্টের ফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। এক জয়ে ফাইনাল খেলছে শ্রীলঙ্কা। ডাবল লিগ পদ্ধতির টুর্নামেন্টের এক ম্যাচে পাকিস্তানকে হারালেও আরেক ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়েছিল ৩৬ রানে এবং জয় পায় ৪ উইকেটে। টস হেরে প্রথম ব্যাটিংয়ে ২০ ওভারে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৫ উইকেটে ৯৬ রান। সামিয়া আনসারী ৪৮ রান করেন ৫৮ বলে ৫ চারে। আরিশা করেন ২৬ রান। টাইগারদের পক্ষে ম্যাচ সেরা রাবেয়া খান ১৬ রানের খরচে নেন ২ উইকেট। নারী যুবারা ১৭ ওভারেই জয়ের বন্দরে পা রাখে। সুমাইয়া আক্তার ৩৮ রান করেন ৪০ বলে ৩ চারে এবং আফিয়া ১৬ রান করেন এক চারে। ত্রিদেশীয় সিরিজে টানা তিন জয়ে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দল। প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচও জয় পেলো ইয়ং টাইগ্রেসরা।
 
পাকিদের বিপক্ষে টস জিতে পাকিস্তানের মেয়েদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এই সিরিজে নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৯৫ রানের পুঁজি গড়ে পাকিস্তান। জবাবে ১৮ বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেটের জয় পায় সুমাইয়া আক্তারের দল। প্রথম পর্বে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা, দুই দলকেই দু’বার করে হারালো বাংলাদেশ। গত ২৪শে জানুয়ারি উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয়ে সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষেও খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। স্বাগতিকরা জেতে ৩৬ রানে। তৃতীয় ম্যাচে ছিল টানটান উত্তেজনা। ৪ ম্যাচে চার জয়ে বয়সভিত্তিক এই ত্রিদেশীয় সিরিজে গ্রুপপর্বে অপরাজিতই থাকলো বাংলাদেশ। অন্যদিকে, ৪ ম্যাচে ১ জয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে ফাইনালের টিকিট কাটে লংকান দেশটি। কোনো জয় না পাওয়া পাকিস্তান ছিটকে গেছে সিরিজ থেকে।
 
টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৫ রানের মাথায় উদ্বোধনী জুটি ভাঙলেও দ্বিতীয় উইকেটে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। যদিও তাদের রানটা ঠিক টি-টোয়েন্টি সুলভ ছিল না। এর মধ্যে দলীয় ৮৮ থেকে স্কোরবোর্ডে মাত্র ৪ রান যোগ করতেই আরও চার উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা। যার ভেতর রান আউটই ছিল তিনটি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৯৫ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় পাকিস্তানের মেয়েরা। সফরকারীদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন সামিয়া আফসার। এ ছাড়া ৪১ বল মোকাবিলায় ২৬ রান করেন আরেশা আনসারি। বাংলাদেশের হয়ে চার ওভারের স্পেলে মাত্র ১৬ রানে দুই উইকেট নেন স্পিনার রাবেয়া খাতুন। হাতের নাগালে থাকা টার্গেট তাড়ায় শুরুতেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
 
এরপরই এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন সুমাইয়া আক্তার সুবর্ণা। ৫ বল খেলে কোনো রান করতে পারেননি এই উইকেটকিপার-ব্যাটার। এরপর ব্যাক্তিগত ১৪ রানে সাজঘরে ফেরেন আরেক ওপেনার ইভা। রান তাড়ায় এদিন নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। যদিও জয় পেতে তেমন বেগ পেতে হয়নি। তিন ওভার বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত হয় স্বাগতিকদের। বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে ৪০ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তার। এ ছাড়া দুই অঙ্ক পৌঁছেন কেবল দুজন, ইভা (১৪) ও ইরা (১৬)। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন মুবিন আহমেদ। আসরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এক রানের রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে এটি টানা তৃতীয় জয় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের। বাংলাদেশের মেয়েদের দেওয়া ১১৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শেষ ওভারে শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দরকার ছিল ৯ রান। নো বলের সঙ্গে জান্নাতুল মাওয়ার প্রথম বল থেকে দুই রান নেন ভিশ্মি গুনারাথনা। পরের বল থেকেও দুই রান। দ্বিতীয় বল ডট। তৃতীয় বলে গুনারাথনাকে ডিপ এক্সট্রা কাভারে আশরাফি ইয়াসমিন আর্থির ক্যাচ বানিয়ে ফেরান জান্নাতুল। চতুর্থ, পঞ্চম থেকে আসে একরান করে। তবে শেষ বলে দুইরানের হিসেব মেলাতে পারেননি শশীনি গিমহানি বিজয়ারত্ন। উল্টো রান আউট হয়ে হতাশার পরিমাণ বাড়িয়েছেন। তবে ফাইনালে এমন ম্যাচ চায়না বাংলাদেশ। ভাল খেলে বড় ব্যবধানে জিতে শিরোপা জয় করতে চায় স্বাগতিকরা।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।